গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে বিচারের জন্য ফেরত চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত তার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। শেখ হাসিনার ভারতে থাকার সময়সীমা দীর্ঘায়িত করার সুযোগ দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে। তবে ঠিক কবে এবং কতদিনের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল।
এদিকে, শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। সূত্রের ভাষ্যমতে, ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই।
শেখ হাসিনা বর্তমানে দিল্লির একটি সেইফ হাউজে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তার সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে গুম ও হত্যার অভিযোগে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। গণহত্যা এবং গুমের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জনের পাসপোর্ট ‘গুম এবং হত্যাকাণ্ডের’ অভিযোগে এবং ৭৫ জনের পাসপোর্ট ‘জুলাই অভ্যুত্থানের’ সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে বাতিল করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়টি ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর ভারতকে একটি কূটনৈতিক পত্র (নোট ভার্বাল) পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, দিল্লি এই পত্রের কোনো জবাব দেবে না। কারণ, এই ধরনের প্রত্যর্পণের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।
শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের পর ভারত তাকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করেছে বলে জানা গেছে। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়টি ভারতকে জানানো হয়েছে এবং তারা এ বিষয়ে অবগত।
শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং তাকে ফেরত চাওয়ার কূটনৈতিক টানাপোড়েন দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে ভারত এই পরিস্থিতিতে তার অবস্থান নিয়ে এখনো সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনার ফেরত চাওয়া বা আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে।
গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে বিচারের জন্য ফেরত চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত তার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। শেখ হাসিনার ভারতে থাকার সময়সীমা দীর্ঘায়িত করার সুযোগ দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে। তবে ঠিক কবে এবং কতদিনের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল।
এদিকে, শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। সূত্রের ভাষ্যমতে, ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই।
শেখ হাসিনা বর্তমানে দিল্লির একটি সেইফ হাউজে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তার সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে গুম ও হত্যার অভিযোগে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। গণহত্যা এবং গুমের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জনের পাসপোর্ট ‘গুম এবং হত্যাকাণ্ডের’ অভিযোগে এবং ৭৫ জনের পাসপোর্ট ‘জুলাই অভ্যুত্থানের’ সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে বাতিল করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়টি ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর ভারতকে একটি কূটনৈতিক পত্র (নোট ভার্বাল) পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, দিল্লি এই পত্রের কোনো জবাব দেবে না। কারণ, এই ধরনের প্রত্যর্পণের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।
শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের পর ভারত তাকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করেছে বলে জানা গেছে। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়টি ভারতকে জানানো হয়েছে এবং তারা এ বিষয়ে অবগত।
শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং তাকে ফেরত চাওয়ার কূটনৈতিক টানাপোড়েন দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে ভারত এই পরিস্থিতিতে তার অবস্থান নিয়ে এখনো সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনার ফেরত চাওয়া বা আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে।