পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় বিস্তারিত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ বুধবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে কমিটি অন্য কর্মকর্তাদের সহায়তা নিতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা প্রথমে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জমায়েত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজিং বোর্ডের কিছু সদস্যের অপসারণসহ ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এরপর তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষা ভবনের সামনে এবং পরবর্তী সময়ে সচিবালয়ের গেট পর্যন্ত পৌঁছে যায়। শিক্ষার্থীরা গেট টপকে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করাই তদন্ত কমিটির মূল কাজ।
শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ ৯ দফা। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সমস্যাগুলো সমাধান না হওয়ায় তারা এ প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের দাবি খুবই সুনির্দিষ্ট। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সচিবালয়ের এক নম্বর গেটে এসে অপেক্ষা করছিলাম। তবে পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।”
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিলেও পরে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। শাহবাগ থানার ওসি মনসুর খালিদ জানান, “কেউ কেউ দেওয়াল বেয়ে উঠতে চেষ্টা করছিলেন। এর ফলে জনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।”
অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীদের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে প্রবেশ করে তাদের দাবি তুলে ধরেন। তবে সচিবালয়ের বাইরে অপেক্ষমান শিক্ষার্থীরা এ সময় উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।
ডিএমপি বলেছে, তদন্ত কমিটি এ ঘটনার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া ও আন্দোলনের প্রকৃতি পর্যালোচনাও করা হবে।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও পুলিশের অবস্থান থেকে বিষয়টি আরও বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দ্রুত তদন্ত শেষ করে একটি সমাধানমুখী প্রতিবেদন পেশ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না তাদের দাবি পূরণ করা হয়।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় বিস্তারিত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ বুধবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে কমিটি অন্য কর্মকর্তাদের সহায়তা নিতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা প্রথমে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জমায়েত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজিং বোর্ডের কিছু সদস্যের অপসারণসহ ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এরপর তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষা ভবনের সামনে এবং পরবর্তী সময়ে সচিবালয়ের গেট পর্যন্ত পৌঁছে যায়। শিক্ষার্থীরা গেট টপকে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করাই তদন্ত কমিটির মূল কাজ।
শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ ৯ দফা। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সমস্যাগুলো সমাধান না হওয়ায় তারা এ প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের দাবি খুবই সুনির্দিষ্ট। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সচিবালয়ের এক নম্বর গেটে এসে অপেক্ষা করছিলাম। তবে পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।”
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিলেও পরে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। শাহবাগ থানার ওসি মনসুর খালিদ জানান, “কেউ কেউ দেওয়াল বেয়ে উঠতে চেষ্টা করছিলেন। এর ফলে জনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।”
অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীদের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে প্রবেশ করে তাদের দাবি তুলে ধরেন। তবে সচিবালয়ের বাইরে অপেক্ষমান শিক্ষার্থীরা এ সময় উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।
ডিএমপি বলেছে, তদন্ত কমিটি এ ঘটনার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া ও আন্দোলনের প্রকৃতি পর্যালোচনাও করা হবে।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও পুলিশের অবস্থান থেকে বিষয়টি আরও বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দ্রুত তদন্ত শেষ করে একটি সমাধানমুখী প্রতিবেদন পেশ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না তাদের দাবি পূরণ করা হয়।