অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নামে শ্রম আইনে করা পাঁচটি মামলার কার্যক্রম বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দেওয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ আদেশ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের ওপর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর এই আদেশ দেন। সম্প্রতি প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ আদেশে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রায়ে কোনো আইনি দুর্বলতা বা হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা পাওয়া যায়নি। তাই মেরিটবিহীন হিসেবে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলগুলো খারিজ করা হলো ।
২০১৯ সালে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যখন গ্রামীণ টেলিকমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যদের চাকরিচ্যুতির অভিযোগ তুলে শ্রম আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। কর্মীদের অভিযোগ ছিল, প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার কারণে তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
মামলাগুলোর কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০২০ সালে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক ইউনূস। আবেদনকারীর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নের আবেদন শ্রম অধিদপ্তর থেকে আগেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তাই এ অভিযোগ দাঁড়ায় না যে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের কারণে চাকরিচ্যুতি হয়েছে। উপরন্তু, এসব কর্মীর চাকরির মেয়াদ চুক্তিভিত্তিক ছিল এবং মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
তাঁদের আরও যুক্তি ছিল, শ্রম আইন অনুসারে এ ধরনের মামলার অভিযোগ করার অধিকার শুধু শ্রম অধিদপ্তরের রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এ বিষয়ে শ্রম অধিদপ্তরে অভিযোগ করলেও অধিদপ্তর থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে রুল জারি করে। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ২৪ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে মামলাগুলোর কার্যক্রম বাতিল করে।
হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক পাঁচটি লিভ টু আপিল দায়ের করে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আপিলগুলো খারিজ করে। অতঃপর সম্প্রতি প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ আদেশে আপিল বিভাগ জানিয়েছে যে হাইকোর্টের রায় আইনত সঠিক এবং তা বাতিল করার কোনো প্রয়োজন নেই।
অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণকারী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান জানান, এই আদেশের ফলে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমিউনিকেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মামলা থেকে চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি পেয়েছেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক অংশ নেন। তিনি হাইকোর্টের রায় বাতিলের জন্য যুক্তি তুলে ধরলেও আদালত তা গ্রহণ করেনি।
আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান জানান, এই আদেশ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ন্যায়বিচারের প্রতিফলন। আদালতের এই সিদ্ধান্তে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এতে নিশ্চিত হলো, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তৎকালীন কর্মকর্তারা আর এ বিষয়ে আইনি জটিলতার মুখে পড়বেন না।
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নামে শ্রম আইনে করা পাঁচটি মামলার কার্যক্রম বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দেওয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ আদেশ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের ওপর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর এই আদেশ দেন। সম্প্রতি প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ আদেশে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রায়ে কোনো আইনি দুর্বলতা বা হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা পাওয়া যায়নি। তাই মেরিটবিহীন হিসেবে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলগুলো খারিজ করা হলো ।
২০১৯ সালে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যখন গ্রামীণ টেলিকমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যদের চাকরিচ্যুতির অভিযোগ তুলে শ্রম আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। কর্মীদের অভিযোগ ছিল, প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার কারণে তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
মামলাগুলোর কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০২০ সালে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক ইউনূস। আবেদনকারীর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নের আবেদন শ্রম অধিদপ্তর থেকে আগেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তাই এ অভিযোগ দাঁড়ায় না যে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের কারণে চাকরিচ্যুতি হয়েছে। উপরন্তু, এসব কর্মীর চাকরির মেয়াদ চুক্তিভিত্তিক ছিল এবং মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
তাঁদের আরও যুক্তি ছিল, শ্রম আইন অনুসারে এ ধরনের মামলার অভিযোগ করার অধিকার শুধু শ্রম অধিদপ্তরের রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এ বিষয়ে শ্রম অধিদপ্তরে অভিযোগ করলেও অধিদপ্তর থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে রুল জারি করে। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ২৪ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে মামলাগুলোর কার্যক্রম বাতিল করে।
হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক পাঁচটি লিভ টু আপিল দায়ের করে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আপিলগুলো খারিজ করে। অতঃপর সম্প্রতি প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ আদেশে আপিল বিভাগ জানিয়েছে যে হাইকোর্টের রায় আইনত সঠিক এবং তা বাতিল করার কোনো প্রয়োজন নেই।
অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণকারী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান জানান, এই আদেশের ফলে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমিউনিকেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মামলা থেকে চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি পেয়েছেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক অংশ নেন। তিনি হাইকোর্টের রায় বাতিলের জন্য যুক্তি তুলে ধরলেও আদালত তা গ্রহণ করেনি।
আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান জানান, এই আদেশ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ন্যায়বিচারের প্রতিফলন। আদালতের এই সিদ্ধান্তে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এতে নিশ্চিত হলো, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তৎকালীন কর্মকর্তারা আর এ বিষয়ে আইনি জটিলতার মুখে পড়বেন না।