পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর নতুন ইউনিফর্ম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, "পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। পুলিশের জন্য, র্যাবের জন্য এবং আনসারের জন্য আলাদা করে তিনটি ইউনিফর্ম নির্বাচন করা হয়েছে। এটি ধাপে ধাপে কার্যকর হবে। একসঙ্গে সব পরিবর্তন সম্ভব নয়।"
তিনি আরও বলেন, "শুধু পোশাক পরিবর্তনই নয়, মনোভাবেও পরিবর্তন আনতে হবে। এটি সমগ্র ব্যবস্থার উন্নয়নের অংশ।"
বৈঠক শুরুর আগে বিভিন্ন পোশাক পরে উপস্থিত হন ১৮ জন পুলিশ, আনসার ও র্যাব সদস্য। তাদের পরিধান করা পোশাকগুলোর মধ্যে থেকে তিনটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "এই পোশাকগুলো শুধুমাত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজন এবং তাদের দায়িত্বের ধরন বিবেচনা করেই নির্বাচন করা হয়েছে।"
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরই মধ্যে আন্দোলনকারীদের হামলা ও হত্যার শিকার হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এতে সদস্যদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয় এবং অনেকেই কাজে ফেরার সাহস হারান।
দেখা যায়, কর্মস্থলে ফিরে গেলেও অনেক সদস্য সাদা পোশাকে থাকছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে নতুন পোশাক প্রবর্তনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ইউনিফর্ম পরিবর্তনের দাবি। ১১ আগস্ট সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে নতুন পোশাকের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন পোশাকের ডিজাইন ও সরবরাহ নিয়ে কাজ শুরু হবে। এটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু ইউনিটে এই পোশাক সরবরাহ করা হবে।
সরকার আশা করছে, এই পদক্ষেপ বাহিনীর সদস্যদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং জনগণের মধ্যে তাদের প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধার করবে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোভাব ও আচরণেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর ভাষায়, "পরিবর্তন শুধু বাহ্যিক নয়, অভ্যন্তরীণ সংস্কারও জরুরি। আমাদের লক্ষ্য একটি জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৈরি করা।"
পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর নতুন ইউনিফর্ম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, "পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। পুলিশের জন্য, র্যাবের জন্য এবং আনসারের জন্য আলাদা করে তিনটি ইউনিফর্ম নির্বাচন করা হয়েছে। এটি ধাপে ধাপে কার্যকর হবে। একসঙ্গে সব পরিবর্তন সম্ভব নয়।"
তিনি আরও বলেন, "শুধু পোশাক পরিবর্তনই নয়, মনোভাবেও পরিবর্তন আনতে হবে। এটি সমগ্র ব্যবস্থার উন্নয়নের অংশ।"
বৈঠক শুরুর আগে বিভিন্ন পোশাক পরে উপস্থিত হন ১৮ জন পুলিশ, আনসার ও র্যাব সদস্য। তাদের পরিধান করা পোশাকগুলোর মধ্যে থেকে তিনটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "এই পোশাকগুলো শুধুমাত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজন এবং তাদের দায়িত্বের ধরন বিবেচনা করেই নির্বাচন করা হয়েছে।"
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরই মধ্যে আন্দোলনকারীদের হামলা ও হত্যার শিকার হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এতে সদস্যদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয় এবং অনেকেই কাজে ফেরার সাহস হারান।
দেখা যায়, কর্মস্থলে ফিরে গেলেও অনেক সদস্য সাদা পোশাকে থাকছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে নতুন পোশাক প্রবর্তনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ইউনিফর্ম পরিবর্তনের দাবি। ১১ আগস্ট সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে নতুন পোশাকের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন পোশাকের ডিজাইন ও সরবরাহ নিয়ে কাজ শুরু হবে। এটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু ইউনিটে এই পোশাক সরবরাহ করা হবে।
সরকার আশা করছে, এই পদক্ষেপ বাহিনীর সদস্যদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং জনগণের মধ্যে তাদের প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধার করবে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোভাব ও আচরণেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর ভাষায়, "পরিবর্তন শুধু বাহ্যিক নয়, অভ্যন্তরীণ সংস্কারও জরুরি। আমাদের লক্ষ্য একটি জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৈরি করা।"