সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে হওয়া স্পিচ অফেন্স-সম্পর্কিত (মুক্তমত প্রকাশের কারণে মামলা) মামলাগুলো আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এছাড়া, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে ২৫ জেলায় আড়াই হাজারের বেশি ‘গায়েবি’ মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ‘গায়েবি’ সব মামলা প্রত্যাহার করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
স্পিচ অফেন্স-সম্পর্কিত মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের আমলে করা ৩২২টি স্পিচ অফেন্স-সম্পর্কিত মামলার বিচার চলছে। এগুলো প্রত্যাহার করার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা রাখার অবকাশ আছে। ৩২২টি মামলার মধ্যে সরকারি কৌঁসুলির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১১৩টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা আশা করছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে এ-সংক্রান্ত যতগুলো মামলা আছে সব প্রত্যাহার করা হবে।
হয়রানি মূলক মামলা প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে বহু ‘গায়েবি’ মামলা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসব মামলা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়। তবে এই উদ্যোগ (গায়েবি মামলা প্রত্যাহার) নিতে দেরি হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২৫ জেলায় আড়াই হাজারের বেশি মামলাকে গায়েবি হিসেবে চিহ্নিত করতে পেরেছি। এর বাইরেও অনেক থাকতে পারে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আশা করছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের কাজ সম্পন্ন করতে পারব।’
*মানদণ্ড*
‘গায়েবি’ মামলা শনাক্তে কয়েকটি মানদণ্ড নির্ধারণের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যেমন, মামলাগুলো পুলিশ দায়ের করেছে কি না, বিস্ফোরক আইনে করা কিনা, অস্ত্র আইনে করা কিনা, কিংবা পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে কিনা। গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে এসব প্রবণতা আমরা নজরে রেখেছি। এসব মামলায় অনেক অজ্ঞাত আসামি থাকে। আমরা দেখেছি, মামলাগুলো হতো বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর বড় বড় আন্দোলনের আগে-পরে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনটি ‘ভুয়া’ নির্বাচনের আগে-পরেও হয়েছে। এসব ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে আমরা আড়াই হাজারেরও বেশি মামলা শনাক্ত করেছি। এগুলো প্রত্যাহার হবে আশা করছি।’
*চুক্তি লঙ্ঘন*
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকার পরেও ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে, তা ওই চুক্তির লঙ্ঘন হবে।’ শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যে ভারতকে চিঠি দেয়া হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে (ইন্টারপোলের) রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে।’
*দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল*
আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণহত্যার বিচার এবং আগামী নির্বাচন আয়োজন সাংঘর্ষিক বিষয় হবে না। বিচার কাজের জন্য প্রয়োজনে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এমন কোনো বিষয় অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নেবে না বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে হওয়া স্পিচ অফেন্স-সম্পর্কিত (মুক্তমত প্রকাশের কারণে মামলা) মামলাগুলো আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এছাড়া, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে ২৫ জেলায় আড়াই হাজারের বেশি ‘গায়েবি’ মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ‘গায়েবি’ সব মামলা প্রত্যাহার করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
স্পিচ অফেন্স-সম্পর্কিত মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের আমলে করা ৩২২টি স্পিচ অফেন্স-সম্পর্কিত মামলার বিচার চলছে। এগুলো প্রত্যাহার করার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা রাখার অবকাশ আছে। ৩২২টি মামলার মধ্যে সরকারি কৌঁসুলির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১১৩টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা আশা করছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে এ-সংক্রান্ত যতগুলো মামলা আছে সব প্রত্যাহার করা হবে।
হয়রানি মূলক মামলা প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে বহু ‘গায়েবি’ মামলা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসব মামলা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়। তবে এই উদ্যোগ (গায়েবি মামলা প্রত্যাহার) নিতে দেরি হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২৫ জেলায় আড়াই হাজারের বেশি মামলাকে গায়েবি হিসেবে চিহ্নিত করতে পেরেছি। এর বাইরেও অনেক থাকতে পারে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আশা করছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের কাজ সম্পন্ন করতে পারব।’
*মানদণ্ড*
‘গায়েবি’ মামলা শনাক্তে কয়েকটি মানদণ্ড নির্ধারণের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যেমন, মামলাগুলো পুলিশ দায়ের করেছে কি না, বিস্ফোরক আইনে করা কিনা, অস্ত্র আইনে করা কিনা, কিংবা পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে কিনা। গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে এসব প্রবণতা আমরা নজরে রেখেছি। এসব মামলায় অনেক অজ্ঞাত আসামি থাকে। আমরা দেখেছি, মামলাগুলো হতো বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর বড় বড় আন্দোলনের আগে-পরে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনটি ‘ভুয়া’ নির্বাচনের আগে-পরেও হয়েছে। এসব ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে আমরা আড়াই হাজারেরও বেশি মামলা শনাক্ত করেছি। এগুলো প্রত্যাহার হবে আশা করছি।’
*চুক্তি লঙ্ঘন*
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকার পরেও ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে, তা ওই চুক্তির লঙ্ঘন হবে।’ শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যে ভারতকে চিঠি দেয়া হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে (ইন্টারপোলের) রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে।’
*দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল*
আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণহত্যার বিচার এবং আগামী নির্বাচন আয়োজন সাংঘর্ষিক বিষয় হবে না। বিচার কাজের জন্য প্রয়োজনে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এমন কোনো বিষয় অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নেবে না বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।