দায়িত্ব পালনে সময়ের অভাব উল্লেখ করে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সারজিস আলম। মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সারজিস জানিয়েছেন, ব্যস্ততার কারণে তিনি ফাউন্ডেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারছেন না, তাই পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, "যতদিন পর্যন্ত আমি ফাউন্ডেশনের জন্য সময় দিতে পেরেছি, ততদিন দায়িত্ব পালন করেছি। এখন প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব নয়, তাই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করা এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনো দুর্বলতা নয়, বরং এটি সৎ সাহসের পরিচয়। তিনি চেষ্টা করেছেন দায়িত্বের প্রতি শতভাগ সৎ থাকতে।
সারজিস জানিয়েছেন, এখন থেকে ‘সাধারণ সম্পাদক’ নামে কোনো পদ থাকবে না। ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে এক্সিকিউটিভ কমিটির ওপর।
বর্তমানে ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। এছাড়া, গভর্নিং বডি নীতিনির্ধারণী কাজ করবে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জন উপদেষ্টা রয়েছেন।
গত জুলাই-আগস্টে কোটা ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে হতাহতদের সহায়তায় গঠিত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও নিহতদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার কাজ করছে।
সারজিস জানান, তার দায়িত্ব পালনকালে (২১ অক্টোবর – ৩১ ডিসেম্বর) ৮২৬ জন শহীদের মধ্যে ৬২৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১১ হাজার আহতের মধ্যে ২ হাজার জনকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত ১০৯ কোটি ২০ লাখ ৫ হাজার টাকা অনুদান জমা হয়েছে, যার মধ্যে ৪৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
ফাউন্ডেশনের বর্তমান সিইও মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ২,২২৯ পরিবারকে মোট ৪৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
ফাউন্ডেশনের ফান্ডে বর্তমানে ৬১ কোটি টাকা অবশিষ্ট রয়েছে, যা হতাহতদের সহায়তায় ব্যয় করা হবে। এখনো ১৯৮ জন নিহতের পরিবার সহায়তা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
সারজিস আলম দায়িত্ব ছাড়লেও ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
দায়িত্ব পালনে সময়ের অভাব উল্লেখ করে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সারজিস আলম। মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সারজিস জানিয়েছেন, ব্যস্ততার কারণে তিনি ফাউন্ডেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারছেন না, তাই পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, "যতদিন পর্যন্ত আমি ফাউন্ডেশনের জন্য সময় দিতে পেরেছি, ততদিন দায়িত্ব পালন করেছি। এখন প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব নয়, তাই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করা এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনো দুর্বলতা নয়, বরং এটি সৎ সাহসের পরিচয়। তিনি চেষ্টা করেছেন দায়িত্বের প্রতি শতভাগ সৎ থাকতে।
সারজিস জানিয়েছেন, এখন থেকে ‘সাধারণ সম্পাদক’ নামে কোনো পদ থাকবে না। ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে এক্সিকিউটিভ কমিটির ওপর।
বর্তমানে ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। এছাড়া, গভর্নিং বডি নীতিনির্ধারণী কাজ করবে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জন উপদেষ্টা রয়েছেন।
গত জুলাই-আগস্টে কোটা ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে হতাহতদের সহায়তায় গঠিত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও নিহতদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার কাজ করছে।
সারজিস জানান, তার দায়িত্ব পালনকালে (২১ অক্টোবর – ৩১ ডিসেম্বর) ৮২৬ জন শহীদের মধ্যে ৬২৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১১ হাজার আহতের মধ্যে ২ হাজার জনকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত ১০৯ কোটি ২০ লাখ ৫ হাজার টাকা অনুদান জমা হয়েছে, যার মধ্যে ৪৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
ফাউন্ডেশনের বর্তমান সিইও মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ২,২২৯ পরিবারকে মোট ৪৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
ফাউন্ডেশনের ফান্ডে বর্তমানে ৬১ কোটি টাকা অবশিষ্ট রয়েছে, যা হতাহতদের সহায়তায় ব্যয় করা হবে। এখনো ১৯৮ জন নিহতের পরিবার সহায়তা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
সারজিস আলম দায়িত্ব ছাড়লেও ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।