আন্দোলনের মুখে শুল্ক কমালো এনবিআর
জনগণের তীব্র সমালোচনা ও বিভিন্ন খাতের আন্দোলনের মুখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মোবাইল ফোন, আইএসপি সেবা, গাড়ির গ্যারেজ, রেস্তোরাঁ এবং ঔষধ খাতে বাড়ানো শুল্ক ও ভ্যাট আগের হারে ফিরিয়ে এনেছে। বুধবার এনবিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
গত ৯ জানুয়ারি সরকার শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করে। এই সিদ্ধান্তের ফলে রেস্তোরাঁ, মিষ্টি, মোবাইল ফোন, আইএসপি এবং গাড়ির গ্যারেজসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনে নামেন। এনবিআরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন রেস্তোরাঁ মালিক ও মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
তাদের দাবি ছিল, এসব খাতে শুল্ক বৃদ্ধি করলে সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি হবে এবং ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অবশেষে এনবিআর শুল্কহার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার লক্ষ্যে ওষুধ শিল্পের ব্যবসায়িক পর্যায়ে বাড়ানো ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে পূর্বের ২.৪ শতাংশ হার বহাল রেখেছে এনবিআর। আগে এই হার ৩ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইল ফোন সেবার ওপর বাড়ানো সম্পূরক শুল্ক এবং আইএসপি সেবায় নতুন করে আরোপিত শুল্কও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এই দুই সেবা খাতের ব্যয় বৃদ্ধির শঙ্কা দূর হলো।
জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে এনবিআর জানিয়েছে, থ্রি-স্টার, ফোর-স্টার এবং ফাইভ-স্টার হোটেল ছাড়া সব ধরনের রেস্তোরাঁর নতুন ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে ভোক্তারা আগের দামেই এসব রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনতে পারবেন।
গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ সেবার ওপর নতুন করে আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করায় আগের দামেই এই সেবা পাওয়া যাবে।
পোশাক খাতেও শুল্কহার হ্রাস করা হয়েছে। নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক ছাড়া অন্যান্য পোশাক বিপণনে নতুন ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া নন-এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এবং নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক বিক্রিতে ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এনবিআর বলেছে, জনগণের জীবনযাত্রার মান সহজতর এবং সুলভমূল্যে সেবা নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুল্ক কমানোর ফলে ব্যবসায়িক খরচ কমবে এবং সাধারণ ভোক্তার ওপর বাড়তি চাপও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে ব্যবসার পরিবেশ স্বাভাবিক হতে শুরু করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আন্দোলনের মুখে শুল্ক কমালো এনবিআর
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
জনগণের তীব্র সমালোচনা ও বিভিন্ন খাতের আন্দোলনের মুখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মোবাইল ফোন, আইএসপি সেবা, গাড়ির গ্যারেজ, রেস্তোরাঁ এবং ঔষধ খাতে বাড়ানো শুল্ক ও ভ্যাট আগের হারে ফিরিয়ে এনেছে। বুধবার এনবিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
গত ৯ জানুয়ারি সরকার শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করে। এই সিদ্ধান্তের ফলে রেস্তোরাঁ, মিষ্টি, মোবাইল ফোন, আইএসপি এবং গাড়ির গ্যারেজসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনে নামেন। এনবিআরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন রেস্তোরাঁ মালিক ও মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
তাদের দাবি ছিল, এসব খাতে শুল্ক বৃদ্ধি করলে সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি হবে এবং ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অবশেষে এনবিআর শুল্কহার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার লক্ষ্যে ওষুধ শিল্পের ব্যবসায়িক পর্যায়ে বাড়ানো ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে পূর্বের ২.৪ শতাংশ হার বহাল রেখেছে এনবিআর। আগে এই হার ৩ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইল ফোন সেবার ওপর বাড়ানো সম্পূরক শুল্ক এবং আইএসপি সেবায় নতুন করে আরোপিত শুল্কও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এই দুই সেবা খাতের ব্যয় বৃদ্ধির শঙ্কা দূর হলো।
জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে এনবিআর জানিয়েছে, থ্রি-স্টার, ফোর-স্টার এবং ফাইভ-স্টার হোটেল ছাড়া সব ধরনের রেস্তোরাঁর নতুন ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে ভোক্তারা আগের দামেই এসব রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনতে পারবেন।
গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ সেবার ওপর নতুন করে আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করায় আগের দামেই এই সেবা পাওয়া যাবে।
পোশাক খাতেও শুল্কহার হ্রাস করা হয়েছে। নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক ছাড়া অন্যান্য পোশাক বিপণনে নতুন ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া নন-এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এবং নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক বিক্রিতে ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এনবিআর বলেছে, জনগণের জীবনযাত্রার মান সহজতর এবং সুলভমূল্যে সেবা নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুল্ক কমানোর ফলে ব্যবসায়িক খরচ কমবে এবং সাধারণ ভোক্তার ওপর বাড়তি চাপও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে ব্যবসার পরিবেশ স্বাভাবিক হতে শুরু করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।