alt

নতুন ও মৃত ভোটার কম কেন? অনুসন্ধান করবে ইসি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রায় অর্ধ কোটি ভোটারযোগ্য নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হলেও ‘লক্ষ্য’ পূরণ হয়নি নির্বাচন কমিশনের।

নতুন ভোটার যেমন কম হয়েছে, তেমনি মৃত ভোটারের তথ্যও পাওয়া গেছে তুলনামুলক কম।

এমন পরিস্থিতিতে ইসির নিয়োগ করা তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন কিনা, সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তথ্যানুসন্ধান করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেন ইসির তথ্য সংগ্রহকারীরা। সেই কাজ ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।

৫ ফেব্রুয়ারি থেকে স্থানীয়ভাবে নির্ধারিত নিবন্ধন কেন্দ্রে আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবিসহ বায়োমেট্রিক তথ্য গ্রহণ ও ছবি তোলার কাজ শুরু হয়েছে, যা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এ হালনাগাদ কাজে সারাদেশে প্রায় ৬৫ হাজার লোকবল সম্পৃক্ত রয়েছে।

ইসি সচিব মঙ্গলবার হালনাগাদের সবশেষ তুলে ধরে বলেন, বাদ পড়া ও নতুন প্রায় ৬১ লাখ ভোটারের তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সংগ্রহ করা হয়েছে প্রায় অর্ধ কোটির তথ্য।

এবার মৃত ভোটারের সংখ্যা মিলেছে প্রায় ১৫ লাখ ২৩ হাজার, যা সবশেষ ২০২২ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদের সংখ্যার চেয়ে প্রায় ৭ লাখ কম।

আখতার আহমেদ বলেন, “এবার মৃত ভোটার কর্তনের পরিমাণ ২০২২ সালের চেয়ে কম। এটা কেন কম হল তা সেভাবে বলা মুশকিল। তবে আমরা এখনও পর্যন্ত ফিল্ড থেকে আঞ্চলিক কর্মকর্তা যারা এটা মনিটরিং করছে তাদের ফিডব্যাকটা পুরোপুরি নিইনি, পরে স্পষ্ট একটা ধারণা পাওয়া যাবে।”

ইসির নিয়োগ করা তথ্য সংগ্রহকারীরা সব জায়গায় সঠিকভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়েছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

আখতার আহমেদ বলেন, “নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল কিনা বা আমরা সবাইকে ডোর টু ডোর অ্যাড্রেস করতে পেরেছি কিনা; যদি (প্রত্যেকটি বাড়ি বাড়ি যাওয়া) পেরে থাকি ভালো, যদি না পেরে থাকি বা পারার ক্ষেত্রে যেসব সীমাবদ্ধতা ছিল আমরা তথ্যানুসন্ধান করব।”

এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চেয়ে ইসি সচিব বলেন, “আপনারাও জানাবেন, এ জায়গায় এ অভিজ্ঞতা হয়েছে। এমন হতে পারে (তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি) কোথাও যাওয়া হয়নি; এমন হতে পারে যাওয়ার পরে আমরা তথ্য সংগ্রহ করতে পারিনি।”

• বাদ পড়া ভোটার: ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৫১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪,৬৪,৩৮০ জন, নারী ১৬,৬২,৯৯২ জন এবং হিজড়া ১৪৭ জন।

• নতুন ভোটার: ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯,৫৩,৩১২ জন; নারী ৮,৯৫,৭৭৬ জন এবং হিজড়া ২৩৮ জন।

• মৃত ভোটার কর্তন: ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪২৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮,৭৩,৪২৯ জন; নারী ৬,৫৩,৪০৯ জন এবং হিজড়া ৫৮৮ জন।

ইসি সচিব বলেন, তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে মূলত দুটো বিষয় রয়েছে- তথ্য সংগ্রহকারীরা যাবেন আর তথ্য যিনি দেবেন তার উপস্থিতি।

“এ দুটো যদি প্রাথমিকভাবে না হয় তাহলে একটা গ্যাপ থেকে যায়। আমার প্রাথমিক ধারণা, এ গ্যাপ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আছে। কাজেই এ গ্যাপটাকে ভবিষ্যতে কীভাবে আমরা পূরণ করতে পারি সেটা ডেফিনেটলি অ্যাড্রেস করব।”

ঢাকা মহানগরে অনেক বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারী যাননি-এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সচিব বলেন, “বিষয়টি আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনার ব্যাপার, এ অভিজ্ঞতা অস্বীকার করছি না। আমি ২১টা অ্যাপার্টমেন্টের একটা অ্যাপার্টমেন্টে থাকি। আমার বাসায় অভিযোগ- আমার বাসাতেই যায়নি। পরে দেখা গেল, আমার বাসায় এসেছিলেন (তথ্য সংগ্রহকারী), উনি যে সময় এসেছিলেন সে সময় তথ্য দেওয়ার মত কেউ ছিলেন না।”

তিনি জানান, তথ্য সংগ্রহকারী তার ফোন নম্বর ও নাম রেখে গেছেন, এটা জানানো হয়নি অ্যাপার্টমেন্টে।

“আমার অবস্থানগত কারণে তথ্যটা হয়ত সহজে পেয়েছি পরিস্থিতিটা জানি, অনেকের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। এটা কীভাবে অ্যাড্রেস করতে পারি সেটা দেখা হবে। যেখানে গ্যাপ আছে সেটা পূরণ করতে হবে, এটা আমাদের দায়বদ্ধতা। পর্যালোচনা করে সীমাবদ্ধতাটাকে কীভাবে ওভারকাম করতে পারি নিশ্চয়ই এড্রেস করব।”

ইসি সচিব বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ নির্ভুল করতে সব প্রচেষ্টা থাকবে, নিবন্ধন প্রক্রিয়া ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।

এসময়েরে মধ্যে স্থানীয় নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন বাদপড়ারা। ছবি তোলার কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সরাসরি ফরম-২ পূরণ করে ছবি ও আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোটার হওয়া যাবে।

২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তর করার তথ্য থাকবে হালনাগাদে।

ছবি

সংবাদমাধ্যম থেকে বিচারকদের ‘অবমাননাকর’ ছবি সরানোর আদেশ

ছবি

জনগণের আস্থা ফেরাতে নির্বাচনী প্রচারণার দিকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান কমনওয়েলথ মহাসচিবের

ছবি

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

ছবি

ভূমিকম্পের সময় করণীয়, জানালো দমকল বিভাগ

ছবি

পোস্টাল ভোটিং: প্রথম পর্বে নিবন্ধনের সময় বাড়লো

প্লট দুর্নীতি মামলায় হাসিনা পরিবারের রায় আগামী বৃহস্পতিবার

ছবি

হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে আবার চিঠি দেয়া হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সম্ভাবনা নেই: উপদেষ্টা

বৈচিত্র্য বাধাগ্রস্ত হলে ফ্যাসিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ছবি

সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান: সেনাদের ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদনে ট্রাইব্যুনাল

ছবি

ঘুমধুম সীমান্তে মায়ানমার সেনা ও বিজিপির ৫ সদস্য আটক

ছবি

ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৮ জনের মৃত্যু

ছবি

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে আবারও ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

টিএফআই ও জেআইসি নির্যাতন মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী জেড আই খান পান্না নিয়োগ

ছবি

প্লট দুর্নীতি মামলায় হাসিনা পরিবারসহ আসামিদের রায় বৃহস্পতিবার

বিমানবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উদাসীনতা: দেড় কোটি টাকায় কেনা তিস্তার দুই রেসকিউ বোট অচল হয়ে পড়েছে

ছবি

‘পুলিশের ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব পালন দেখতে চায় মানুষ’

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে ‘ঘৃণা, বিভ্রান্তি ও মিথ্যাকে’ অর্থায়ন করা হয়: মাহফুজ আনাম

ক্ষমতা, ধন-দৌলত কোনো কিছুই স্থায়ী নয়: ধর্ম উপদেষ্টা

ছবি

সংসদ নির্বাচনে ‘রেকর্ডসংখ্যক’ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে

ছবি

অনিশ্চয়তার সেই মাসগুলোতে বিচার বিভাগ ছিল একমাত্র পূর্ণ কার্যকর সাংবিধানিক অঙ্গ: প্রধান বিচারপতি

ছবি

সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একইদিনে, ইসিকে অন্তর্বর্তী সরকারের চিঠি

ছবি

আরও তিন ভূমিকম্প, বিশেষজ্ঞদের সতর্কতার বার্তা

ছবি

নরসিংদীর ঘোড়াশালে ভূমিক্ষয় তদন্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের নমুনা সংগ্রহ

ছবি

সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর আবার ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশ

ছবি

গত সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় দেশে চারবার ভূমিকম্প, শিশুসহ নিহত ১০

ছবি

রাজধানীতে সন্ধ্যায় পরপর দুবার ভূমিকম্প, সকালে নরসিংদীতেও হালকা কম্পন

ছবি

নরসিংদীতে আজ মৃদু ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল নিয়ে বিভ্রান্তির পর সংশোধন

ছবি

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন, বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা

ছবি

ঢাকা সফরের প্রথম দিনেই বাংলাদেশ–ভুটান দুই সমঝোতা স্মারক সই

ছবি

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত

ছবি

বিশেষজ্ঞের অভিমত: বড় ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা

যারা গণভোটে ‘না’-এর পক্ষে, তারা বাংলাদেশপন্থি হতে পারে না: সারজিস

ছবি

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শনিবার ঢাকায় আসছেন

tab

নতুন ও মৃত ভোটার কম কেন? অনুসন্ধান করবে ইসি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রায় অর্ধ কোটি ভোটারযোগ্য নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হলেও ‘লক্ষ্য’ পূরণ হয়নি নির্বাচন কমিশনের।

নতুন ভোটার যেমন কম হয়েছে, তেমনি মৃত ভোটারের তথ্যও পাওয়া গেছে তুলনামুলক কম।

এমন পরিস্থিতিতে ইসির নিয়োগ করা তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন কিনা, সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তথ্যানুসন্ধান করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেন ইসির তথ্য সংগ্রহকারীরা। সেই কাজ ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।

৫ ফেব্রুয়ারি থেকে স্থানীয়ভাবে নির্ধারিত নিবন্ধন কেন্দ্রে আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবিসহ বায়োমেট্রিক তথ্য গ্রহণ ও ছবি তোলার কাজ শুরু হয়েছে, যা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এ হালনাগাদ কাজে সারাদেশে প্রায় ৬৫ হাজার লোকবল সম্পৃক্ত রয়েছে।

ইসি সচিব মঙ্গলবার হালনাগাদের সবশেষ তুলে ধরে বলেন, বাদ পড়া ও নতুন প্রায় ৬১ লাখ ভোটারের তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সংগ্রহ করা হয়েছে প্রায় অর্ধ কোটির তথ্য।

এবার মৃত ভোটারের সংখ্যা মিলেছে প্রায় ১৫ লাখ ২৩ হাজার, যা সবশেষ ২০২২ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদের সংখ্যার চেয়ে প্রায় ৭ লাখ কম।

আখতার আহমেদ বলেন, “এবার মৃত ভোটার কর্তনের পরিমাণ ২০২২ সালের চেয়ে কম। এটা কেন কম হল তা সেভাবে বলা মুশকিল। তবে আমরা এখনও পর্যন্ত ফিল্ড থেকে আঞ্চলিক কর্মকর্তা যারা এটা মনিটরিং করছে তাদের ফিডব্যাকটা পুরোপুরি নিইনি, পরে স্পষ্ট একটা ধারণা পাওয়া যাবে।”

ইসির নিয়োগ করা তথ্য সংগ্রহকারীরা সব জায়গায় সঠিকভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়েছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

আখতার আহমেদ বলেন, “নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল কিনা বা আমরা সবাইকে ডোর টু ডোর অ্যাড্রেস করতে পেরেছি কিনা; যদি (প্রত্যেকটি বাড়ি বাড়ি যাওয়া) পেরে থাকি ভালো, যদি না পেরে থাকি বা পারার ক্ষেত্রে যেসব সীমাবদ্ধতা ছিল আমরা তথ্যানুসন্ধান করব।”

এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চেয়ে ইসি সচিব বলেন, “আপনারাও জানাবেন, এ জায়গায় এ অভিজ্ঞতা হয়েছে। এমন হতে পারে (তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি) কোথাও যাওয়া হয়নি; এমন হতে পারে যাওয়ার পরে আমরা তথ্য সংগ্রহ করতে পারিনি।”

• বাদ পড়া ভোটার: ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৫১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪,৬৪,৩৮০ জন, নারী ১৬,৬২,৯৯২ জন এবং হিজড়া ১৪৭ জন।

• নতুন ভোটার: ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯,৫৩,৩১২ জন; নারী ৮,৯৫,৭৭৬ জন এবং হিজড়া ২৩৮ জন।

• মৃত ভোটার কর্তন: ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪২৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮,৭৩,৪২৯ জন; নারী ৬,৫৩,৪০৯ জন এবং হিজড়া ৫৮৮ জন।

ইসি সচিব বলেন, তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে মূলত দুটো বিষয় রয়েছে- তথ্য সংগ্রহকারীরা যাবেন আর তথ্য যিনি দেবেন তার উপস্থিতি।

“এ দুটো যদি প্রাথমিকভাবে না হয় তাহলে একটা গ্যাপ থেকে যায়। আমার প্রাথমিক ধারণা, এ গ্যাপ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আছে। কাজেই এ গ্যাপটাকে ভবিষ্যতে কীভাবে আমরা পূরণ করতে পারি সেটা ডেফিনেটলি অ্যাড্রেস করব।”

ঢাকা মহানগরে অনেক বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারী যাননি-এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সচিব বলেন, “বিষয়টি আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনার ব্যাপার, এ অভিজ্ঞতা অস্বীকার করছি না। আমি ২১টা অ্যাপার্টমেন্টের একটা অ্যাপার্টমেন্টে থাকি। আমার বাসায় অভিযোগ- আমার বাসাতেই যায়নি। পরে দেখা গেল, আমার বাসায় এসেছিলেন (তথ্য সংগ্রহকারী), উনি যে সময় এসেছিলেন সে সময় তথ্য দেওয়ার মত কেউ ছিলেন না।”

তিনি জানান, তথ্য সংগ্রহকারী তার ফোন নম্বর ও নাম রেখে গেছেন, এটা জানানো হয়নি অ্যাপার্টমেন্টে।

“আমার অবস্থানগত কারণে তথ্যটা হয়ত সহজে পেয়েছি পরিস্থিতিটা জানি, অনেকের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। এটা কীভাবে অ্যাড্রেস করতে পারি সেটা দেখা হবে। যেখানে গ্যাপ আছে সেটা পূরণ করতে হবে, এটা আমাদের দায়বদ্ধতা। পর্যালোচনা করে সীমাবদ্ধতাটাকে কীভাবে ওভারকাম করতে পারি নিশ্চয়ই এড্রেস করব।”

ইসি সচিব বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ নির্ভুল করতে সব প্রচেষ্টা থাকবে, নিবন্ধন প্রক্রিয়া ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।

এসময়েরে মধ্যে স্থানীয় নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন বাদপড়ারা। ছবি তোলার কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সরাসরি ফরম-২ পূরণ করে ছবি ও আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোটার হওয়া যাবে।

২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তর করার তথ্য থাকবে হালনাগাদে।

back to top