![]()
‘বঞ্চিত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো’ কর্মকর্তাদের মধ্যে ৭৬৪ জনের ভূতাপেক্ষা সুযোগ সুবিধাসহ পদোন্নতি অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তাদের মধ্যে সচিব পদে ১১৯ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এ তথ্য দিয়েছেন।
নিজের ফেইসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ সুসংবাদ দিয়ে তিনি লিখেছেন, “অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য গঠিত ‘বঞ্চনা নিরসন কমিটির (বনিক)’ প্রতিবেদনের আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত সারসংক্ষেপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।”
কর্মকর্তাদের মধ্যে সচিব পদ ছাড়াও গ্রেড-১ পদে ৪১ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, যুগ্মসচিব পদে ৭২ জন ও উপসচিব পদে চারজনের পদোন্নতির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি লিখেছেন, পদভিত্তিক আলাদা আলাদা পদোন্নতির সরকারি আদেশ-জিও জারি করে দ্রুত বকেয়া টাকা প্রাপ্তির জিও জারি করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে জনপ্রশাসনে ‘বঞ্চিত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো’ কর্মকর্তাদের মধ্যে ৭৬৪ জনকে ভূতাপেক্ষা সুযোগ সুবিধাসহ পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করে এ সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি।
গত ১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত ‘বঞ্চিত ও বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া’ সচিব থেকে শুরু করে উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা এই তালিকায় রয়েছেন।
সেইসব কর্মকর্তাদের চাকরিতে ফিরিয়ে আনা বা তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। যার নেতৃত্বে আসেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জাকির আহমেদ খান।
‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের সমস্যা সমাধানে এই কমিটিকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পদ পদবি ও পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতিকার পেতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করার সময় ছিল। পরে আরো তিনদিন সময় বাড়নো হয়।
এ সময়ে কমিটি ১৫৪০ জনের মত আবেদন পায়। তা যাচাই-বাছাই করে ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষা সুযোগ সুবিধা নিয়ে পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করে।
গণআন্দোলনে গত বছর ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার প্রশাসনে রদবদল, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল এবং গত সরকারের আমলে ‘বঞ্চিতদের’ পদোন্নতির সিদ্ধান্ত নেয়। সে ধারাবাহিকতায় ৭৬৪ কর্মকর্তাকে পদোন্নতির অনুমোদন দেওয়ার খবর এল।