ফাইল ছবি: এএনআই
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঘোলাটে হওয়ার পেছনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই দায়ী করেছে নয়া দিল্লি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণ বন্ধ করতে ঢাকায় ভারতের শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করার পাল্টায়, ভারতও বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারকে তলব করে কঠোর কূটনৈতিক বার্তা দিয়েছে।
বাংলাদেশের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বিকেলে এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের নিয়মিত বিবৃতিগুলোতে ভারতকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। অভ্যন্তরীণ সুশাসন প্রশ্নে আমাদের দোষারোপ করা বন্ধ হওয়া উচিত। বরং বাস্তবিক অর্থে, এইসব বিবৃতিই দুই দেশের মধ্যকার বিরাজমান নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য দায়ী।”
শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ভারত আরও জানায়, তার মন্তব্যে দিল্লির কোনো ভূমিকা নেই। এ ধরনের অভিযোগ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না।
গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকে অনলাইনে বক্তব্য দিচ্ছেন। তার বক্তব্যের জেরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও তাদের বক্তব্যে শেখ হাসিনাকেই এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বলা হয়, “ভারতে বসে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে এই সহিংসতা ঘটেছে।”
ঢাকার তলব ও ভারতের প্রতিক্রিয়া
শেখ হাসিনার বক্তব্য বন্ধ করতে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার ভারতের শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ জানায়। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “ভারতকে আমরা লিখিতভাবে অনুরোধ জানিয়েছি যে শেখ হাসিনাকে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখা হোক। এই বক্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। আমরা এখনও ভারতের কোনো সাড়া পাইনি।”
এর জবাবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “শেখ হাসিনার বক্তব্য তার ব্যক্তিগত অবস্থান। এতে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। এমন মন্তব্যকে ভারত সরকারের অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত করলে তা দুই দেশের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”
ধানমন্ডি ৩২-এর হামলার নিন্দা
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করে।
সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পরস্পরের জন্য মঙ্গলজনক সম্পর্ক চায়। কিন্তু এ জন্য প্রয়োজন পরিস্থিতিকে ঘোলাটে না করে একে অপরের প্রতি সম্মান দেখানো।”
ফাইল ছবি: এএনআই
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঘোলাটে হওয়ার পেছনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই দায়ী করেছে নয়া দিল্লি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণ বন্ধ করতে ঢাকায় ভারতের শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করার পাল্টায়, ভারতও বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারকে তলব করে কঠোর কূটনৈতিক বার্তা দিয়েছে।
বাংলাদেশের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বিকেলে এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের নিয়মিত বিবৃতিগুলোতে ভারতকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। অভ্যন্তরীণ সুশাসন প্রশ্নে আমাদের দোষারোপ করা বন্ধ হওয়া উচিত। বরং বাস্তবিক অর্থে, এইসব বিবৃতিই দুই দেশের মধ্যকার বিরাজমান নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য দায়ী।”
শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ভারত আরও জানায়, তার মন্তব্যে দিল্লির কোনো ভূমিকা নেই। এ ধরনের অভিযোগ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না।
গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকে অনলাইনে বক্তব্য দিচ্ছেন। তার বক্তব্যের জেরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও তাদের বক্তব্যে শেখ হাসিনাকেই এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বলা হয়, “ভারতে বসে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে এই সহিংসতা ঘটেছে।”
ঢাকার তলব ও ভারতের প্রতিক্রিয়া
শেখ হাসিনার বক্তব্য বন্ধ করতে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার ভারতের শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ জানায়। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “ভারতকে আমরা লিখিতভাবে অনুরোধ জানিয়েছি যে শেখ হাসিনাকে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখা হোক। এই বক্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। আমরা এখনও ভারতের কোনো সাড়া পাইনি।”
এর জবাবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “শেখ হাসিনার বক্তব্য তার ব্যক্তিগত অবস্থান। এতে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। এমন মন্তব্যকে ভারত সরকারের অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত করলে তা দুই দেশের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”
ধানমন্ডি ৩২-এর হামলার নিন্দা
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করে।
সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পরস্পরের জন্য মঙ্গলজনক সম্পর্ক চায়। কিন্তু এ জন্য প্রয়োজন পরিস্থিতিকে ঘোলাটে না করে একে অপরের প্রতি সম্মান দেখানো।”