ভারত থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সঙ্গে ‘ভূরাজনীতির সম্পর্ক’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি, প্রাবন্ধিক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় নাগরিক কমিটির এক সভায় তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা হঠাৎ করে বক্তব্য দেননি। নয়া দিল্লি শুরু থেকেই বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে।”
ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
ফরহাদ মজহার বলেন, “বন্যা থেকে শুরু করে খাদ্য এবং অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ানোর কাজটাও করেছে ভারত। তবে সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের আগের লিটমাস টেস্টের অংশ। ১২ ফেব্রুয়ারির সেই বৈঠকের আগে তারা বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া দেখার চেষ্টা করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা যারা ভাঙার রাজনীতি চান না, আমি তাদের সঙ্গে একমত। কিন্তু ভাঙার রাজনীতি একই সঙ্গে গড়ারও রাজনীতি।”
গণঅভ্যুত্থানের পরিপূর্ণতার আহ্বান
জাতীয় নাগরিক কমিটির সভায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, “সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লবের কারণে গণঅভ্যুত্থান সফল হয়নি। এখন পরিপূর্ণ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণসার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নের রাজনীতি করতে হবে।”
তিনি নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে বলেন, “আপনারা যদি আরেকটি নির্বাচনকেন্দ্রিক দল তৈরি করেন, তাহলে সেটা দুঃস্বপ্ন হবে। সত্যিকারের গণঅভ্যুত্থান সম্পন্ন করার সাংগঠনিক শক্তি তৈরি করাই হবে আসল কাজ।”
ফ্যাসিবাদ নিয়ে সতর্কবার্তা
ফরহাদ মজহার ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে বলেন, “ফ্যাসিবাদ শুধুমাত্র একটি মতাদর্শ নয়; এটি রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং একটি ফ্যাসিস্ট শক্তি। এই তিনটি বিষয় আলাদা করে বুঝতে হবে এবং লড়াইয়ের রণনীতি তৈরি করতে হবে। আজ বাঙালি জাতীয়তাবাদ উৎখাত হতে চলেছে, কিন্তু তার জায়গায় ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ (হিন্দুত্ববাদ বা ইসলামপন্থি) ফ্যাসিবাদের আরেকটি রূপ হয়ে উঠছে।”
সংবিধান বাতিলের আহ্বান
তিনি বলেন, “৭২-এর সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার বিরোধী। আমাদের লক্ষ্য ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সেই মুক্তিযুদ্ধ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দিল্লি। সংবিধান বাতিল এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তন নিশ্চিত করতে আমাদের আবার উদ্যোগ নিতে হবে।”
সভায় প্রতিনিধি ও অতিথিরা
জাতীয় নাগরিক কমিটির এই সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২৪টি থানার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং দল গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে মতামত দেন।
সভায় অতিথি আলোচক ফরহাদ মজহার ছাড়াও নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বক্তব্য দেন।
বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়া সভাটি শেষ হয় রাত ৯টার পর।
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ভারত থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সঙ্গে ‘ভূরাজনীতির সম্পর্ক’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি, প্রাবন্ধিক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় নাগরিক কমিটির এক সভায় তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা হঠাৎ করে বক্তব্য দেননি। নয়া দিল্লি শুরু থেকেই বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে।”
ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
ফরহাদ মজহার বলেন, “বন্যা থেকে শুরু করে খাদ্য এবং অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ানোর কাজটাও করেছে ভারত। তবে সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের আগের লিটমাস টেস্টের অংশ। ১২ ফেব্রুয়ারির সেই বৈঠকের আগে তারা বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া দেখার চেষ্টা করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা যারা ভাঙার রাজনীতি চান না, আমি তাদের সঙ্গে একমত। কিন্তু ভাঙার রাজনীতি একই সঙ্গে গড়ারও রাজনীতি।”
গণঅভ্যুত্থানের পরিপূর্ণতার আহ্বান
জাতীয় নাগরিক কমিটির সভায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, “সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লবের কারণে গণঅভ্যুত্থান সফল হয়নি। এখন পরিপূর্ণ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণসার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নের রাজনীতি করতে হবে।”
তিনি নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে বলেন, “আপনারা যদি আরেকটি নির্বাচনকেন্দ্রিক দল তৈরি করেন, তাহলে সেটা দুঃস্বপ্ন হবে। সত্যিকারের গণঅভ্যুত্থান সম্পন্ন করার সাংগঠনিক শক্তি তৈরি করাই হবে আসল কাজ।”
ফ্যাসিবাদ নিয়ে সতর্কবার্তা
ফরহাদ মজহার ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে বলেন, “ফ্যাসিবাদ শুধুমাত্র একটি মতাদর্শ নয়; এটি রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং একটি ফ্যাসিস্ট শক্তি। এই তিনটি বিষয় আলাদা করে বুঝতে হবে এবং লড়াইয়ের রণনীতি তৈরি করতে হবে। আজ বাঙালি জাতীয়তাবাদ উৎখাত হতে চলেছে, কিন্তু তার জায়গায় ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ (হিন্দুত্ববাদ বা ইসলামপন্থি) ফ্যাসিবাদের আরেকটি রূপ হয়ে উঠছে।”
সংবিধান বাতিলের আহ্বান
তিনি বলেন, “৭২-এর সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার বিরোধী। আমাদের লক্ষ্য ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সেই মুক্তিযুদ্ধ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দিল্লি। সংবিধান বাতিল এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তন নিশ্চিত করতে আমাদের আবার উদ্যোগ নিতে হবে।”
সভায় প্রতিনিধি ও অতিথিরা
জাতীয় নাগরিক কমিটির এই সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২৪টি থানার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং দল গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে মতামত দেন।
সভায় অতিথি আলোচক ফরহাদ মজহার ছাড়াও নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বক্তব্য দেন।
বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়া সভাটি শেষ হয় রাত ৯টার পর।