বৈষম্যমুক্ত প্রশাসনের দাবি আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশকে ‘ভাগ-বাটোয়ারার সংস্করণ’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। পরিষদ মনে করে, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% সংরক্ষণ বিধি পরিপন্থী ও বৈষম্যমূলক।
শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতারা এ অবস্থান জানান। সংগঠনের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান বলেন, “আমরা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাইনি, তবে যেটুকু দেখেছি, সেখানে প্রকৃত সংস্কারের কোনো জায়গা নেই। কেবল ভাগ-বাটোয়ারার অনুপাতে পরিবর্তন করা হয়েছে।”
এর আগে, বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে মফিজুর রহমান বলেন, কমিশনের সদস্যদের অধিকাংশই প্রশাসন ক্যাডারের, যা তাদের পক্ষপাতমূলক মনোভাবকে স্পষ্ট করে। তিনি প্রশ্ন করেন, “উপসচিব পদে পদোন্নতি মেধার ভিত্তিতে কেন হবে না? যদি তারা মেধাবী হন, তাহলে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে সমস্যা কোথায়?”
সংবিধানের আলোকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা সংরক্ষণের যৌক্তিকতা থাকলেও প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% সংরক্ষণের যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংগঠনের আরেক সমন্বয়ক শওকত হোসেন মোল্লা বলেন, “জনবান্ধব রাষ্ট্র গঠনের জন্য জনপ্রশাসনের নীতিনির্ধারণী পর্যায় সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। সেখানে কোনো ক্যাডারের জন্য নির্দিষ্ট কোটা রাখা যাবে না।”
সংগঠনটির দাবি, প্রশাসন ক্যাডারের একক আধিপত্যের কারণে অন্যান্য খাতে পেশাদারিত্ব বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শওকত হোসেন অভিযোগ করেন, “শিক্ষায় শিক্ষক নেই, কৃষিতে কৃষিবিদ নেই, অথচ প্রশাসন ক্যাডার সব ক্ষেত্রে একক নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে ফ্যাসিজমের একটি চরিত্র ফুটে উঠছে।”
সংগঠনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রশাসনিক কাঠামোতে মেধার যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় বাংলাদেশ এখনো জনবান্ধব রাষ্ট্র হয়ে ওঠেনি।
সংগঠনের নেতারা বিসিএস অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের পরিবর্তে বিসিএস ভূমি সার্ভিস নামকরণেরও দাবি জানান।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের জন্য ২৫ ক্যাডারের ১৪ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগও করেন তারা।
এক সপ্তাহের মধ্যে বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে কর্মবিরতিসহ ধারাবাহিক কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের নেতারা।
বৈষম্যমুক্ত প্রশাসনের দাবি আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশকে ‘ভাগ-বাটোয়ারার সংস্করণ’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। পরিষদ মনে করে, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% সংরক্ষণ বিধি পরিপন্থী ও বৈষম্যমূলক।
শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতারা এ অবস্থান জানান। সংগঠনের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান বলেন, “আমরা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাইনি, তবে যেটুকু দেখেছি, সেখানে প্রকৃত সংস্কারের কোনো জায়গা নেই। কেবল ভাগ-বাটোয়ারার অনুপাতে পরিবর্তন করা হয়েছে।”
এর আগে, বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে মফিজুর রহমান বলেন, কমিশনের সদস্যদের অধিকাংশই প্রশাসন ক্যাডারের, যা তাদের পক্ষপাতমূলক মনোভাবকে স্পষ্ট করে। তিনি প্রশ্ন করেন, “উপসচিব পদে পদোন্নতি মেধার ভিত্তিতে কেন হবে না? যদি তারা মেধাবী হন, তাহলে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে সমস্যা কোথায়?”
সংবিধানের আলোকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা সংরক্ষণের যৌক্তিকতা থাকলেও প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% সংরক্ষণের যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংগঠনের আরেক সমন্বয়ক শওকত হোসেন মোল্লা বলেন, “জনবান্ধব রাষ্ট্র গঠনের জন্য জনপ্রশাসনের নীতিনির্ধারণী পর্যায় সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। সেখানে কোনো ক্যাডারের জন্য নির্দিষ্ট কোটা রাখা যাবে না।”
সংগঠনটির দাবি, প্রশাসন ক্যাডারের একক আধিপত্যের কারণে অন্যান্য খাতে পেশাদারিত্ব বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শওকত হোসেন অভিযোগ করেন, “শিক্ষায় শিক্ষক নেই, কৃষিতে কৃষিবিদ নেই, অথচ প্রশাসন ক্যাডার সব ক্ষেত্রে একক নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে ফ্যাসিজমের একটি চরিত্র ফুটে উঠছে।”
সংগঠনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রশাসনিক কাঠামোতে মেধার যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় বাংলাদেশ এখনো জনবান্ধব রাষ্ট্র হয়ে ওঠেনি।
সংগঠনের নেতারা বিসিএস অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের পরিবর্তে বিসিএস ভূমি সার্ভিস নামকরণেরও দাবি জানান।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের জন্য ২৫ ক্যাডারের ১৪ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগও করেন তারা।
এক সপ্তাহের মধ্যে বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে কর্মবিরতিসহ ধারাবাহিক কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের নেতারা।