চূড়ান্ত সময় ১৪ ফেব্রুয়ারি, সময় বাড়াবে না সৌদি সরকার
চলতি বছরের হজ কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপে এখনো পিছিয়ে রয়েছে অনেক এজেন্সি। নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হতে মাত্র চার দিন বাকি থাকলেও প্রায় অর্ধেক এজেন্সি এখনো সৌদি আরবের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেনি।
ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবারের (১৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যেই বাকি থাকা এজেন্সিগুলোকে সৌদি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না।
সোমবার সচিবালয়ে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, “বেসরকারি এজেন্সিগুলো সৌদি সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ করছে। অনেকের অগ্রগতি সন্তোষজনক হলেও কিছু এজেন্সি এখনো ধীরগতিতে চলছে।
"সৌদি সরকার চুক্তি সম্পন্নের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারির সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। এ সময়সীমার মধ্যেই সব এজেন্সিকে মিনা ও আরাফায় তাবু, ক্যাটারিং, আবাসন এবং পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। গতকালও সৌদি হজ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, চুক্তি প্রক্রিয়ার গতি খুবই শ্লথ, এবং অনেক এজেন্সির তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।”
এ পর্যন্ত অর্ধেকের কিছু বেশি এজেন্সি চুক্তি সম্পন্ন করেছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আমাদের হাতে মাত্র চার দিন সময় আছে। এরপর কেউ সময় বাড়ানোর অনুরোধ করলেও তা সম্ভব হবে না, কারণ এটি সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত।”
তিনি আরও বলেন, “গত বছরের ২৩ অক্টোবর সৌদি সরকার চুক্তির সময়সীমা ঘোষণা করেছিল। এরপর ধর্ম মন্ত্রণালয় বারবার এজেন্সিগুলোকে বিষয়টি জানিয়েছে। এখনো যারা চুক্তি করেনি, তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা এজেন্সিগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। গতকালও তাদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কোনো নিবন্ধিত হজযাত্রী এজেন্সির অবহেলার কারণে হজ করতে না পারলে এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকেই নিতে হবে। এ দায় কোনোভাবেই সৌদি সরকার বা ধর্ম মন্ত্রণালয় বহন করবে না।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ বছর হজযাত্রীরা সন্তোষজনক সেবা পাবেন। “অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা বিশ্বস্ত হজসেবা প্রদানকারী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছি। ইতোমধ্যে সৌদি সরকারের চাহিদা অনুযায়ী হজযাত্রী প্রতি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯১ টাকা হিসাবে ১,২৮৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ সৌদি রিয়াল পাঠানো হয়েছে।”
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৭ হাজার ১০০ জন হজ পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজে যাবেন।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের কাজ শুরু হবে এবং ২৯ এপ্রিল থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হবে।
চূড়ান্ত সময় ১৪ ফেব্রুয়ারি, সময় বাড়াবে না সৌদি সরকার
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চলতি বছরের হজ কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপে এখনো পিছিয়ে রয়েছে অনেক এজেন্সি। নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হতে মাত্র চার দিন বাকি থাকলেও প্রায় অর্ধেক এজেন্সি এখনো সৌদি আরবের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেনি।
ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবারের (১৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যেই বাকি থাকা এজেন্সিগুলোকে সৌদি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না।
সোমবার সচিবালয়ে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, “বেসরকারি এজেন্সিগুলো সৌদি সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ করছে। অনেকের অগ্রগতি সন্তোষজনক হলেও কিছু এজেন্সি এখনো ধীরগতিতে চলছে।
"সৌদি সরকার চুক্তি সম্পন্নের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারির সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। এ সময়সীমার মধ্যেই সব এজেন্সিকে মিনা ও আরাফায় তাবু, ক্যাটারিং, আবাসন এবং পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। গতকালও সৌদি হজ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, চুক্তি প্রক্রিয়ার গতি খুবই শ্লথ, এবং অনেক এজেন্সির তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।”
এ পর্যন্ত অর্ধেকের কিছু বেশি এজেন্সি চুক্তি সম্পন্ন করেছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আমাদের হাতে মাত্র চার দিন সময় আছে। এরপর কেউ সময় বাড়ানোর অনুরোধ করলেও তা সম্ভব হবে না, কারণ এটি সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত।”
তিনি আরও বলেন, “গত বছরের ২৩ অক্টোবর সৌদি সরকার চুক্তির সময়সীমা ঘোষণা করেছিল। এরপর ধর্ম মন্ত্রণালয় বারবার এজেন্সিগুলোকে বিষয়টি জানিয়েছে। এখনো যারা চুক্তি করেনি, তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা এজেন্সিগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। গতকালও তাদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কোনো নিবন্ধিত হজযাত্রী এজেন্সির অবহেলার কারণে হজ করতে না পারলে এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকেই নিতে হবে। এ দায় কোনোভাবেই সৌদি সরকার বা ধর্ম মন্ত্রণালয় বহন করবে না।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ বছর হজযাত্রীরা সন্তোষজনক সেবা পাবেন। “অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা বিশ্বস্ত হজসেবা প্রদানকারী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছি। ইতোমধ্যে সৌদি সরকারের চাহিদা অনুযায়ী হজযাত্রী প্রতি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯১ টাকা হিসাবে ১,২৮৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ সৌদি রিয়াল পাঠানো হয়েছে।”
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৭ হাজার ১০০ জন হজ পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজে যাবেন।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের কাজ শুরু হবে এবং ২৯ এপ্রিল থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হবে।