পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করা হবে। তিস্তার যে ৪৬ কিলোমিটার এলাকা ভাঙ্গণপ্রবন, এরমধ্যে যে ২০ কিলোমিটার এলাকা বেশি ভাঙে আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভাঙ্গণ তা প্রতিরোধে টেন্ডার আহ্বান করা হবে, যেন মার্” থেকে কাজ শুরু করা যায়।
রবিবার বিকেলে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত এক সভায় তিস্তা নদী নিয়ে গণশুনানিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান একথা বলেন। এসময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও গণ শুনানিতে অংশ নেন।
তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন ও পানির নায্য হিস্যা আদায়ে অনুষ্ঠিত গণ শুনানির এই সভায় আরো পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করা হবে। তিস্তার ভাঙ্গণপ্রবণ এলাকার ৪৬ কিলোমিটারের মধ্যে ২০ কিলোমিটার এলাকা বেশি ভাঙে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সেই নাজুক ২০ কিলোমিটার এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে টেন্ডার আহ্বান করা হবে, যেন মার্” থেকে কাজ শুরু করা যায়। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে রবিবারই নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, আমরা চীনের সাথে কথা বলেছি, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও তিস্তা পাড়ের মানুষের সাথে আলোচনা করে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করা হবে।
তিনি তিস্তার ন্যায্য হিস্যা প্রসঙ্গে বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাদেরও দায়িত্ব আছে। বর্ষা মৌসুমে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে অকাল বন্যা দেখা দেয়। আমরা বলেছি, ভারতের উজান থেকে পানি ছেড়ে দেবার সময় ভারত যেন অন্তত ৫/৭ ঘন্টা আগে আমাদের অবহিত করে। তাহলে তিস্তা পাড়ের মানুষ আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে। ঘরবাড়ি ও গরু-ছাগল সরিয়ে নেয়ার কাজটা করতে পারে। এটা ভারতের কাছে আমরা দাবি করতেই পারি, তা নাহলে কিসের প্রতিবেশী।
সভায় ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, অবশ্যই তিস্তা মহাপকিল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করবো। সেই সাথে চরাঞ্চলের যে মানুষগুলো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত, যেখানে শিক্ষার হার অনেক কম, সেখানে নতুন সতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী করবো। এছাড়াও তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।
গণশুনানিকালে তিস্তা পাড়ের মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টার কাছে আবেদন জানান, বিদেশীদের মুখাপেক্ষি না হয়ে, দেশীয় অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা এবং ভারতের কাছ থেকে তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায় করার দাবি জানান তারা।
এর আগে, রবিবার দুপুর তিনটায় দুই উপদেষ্টা সভায় হাজির হয়। এ সময় পুরো এলাকা কানায় কানায় মানুষের ভরে যায়।
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করা হবে। তিস্তার যে ৪৬ কিলোমিটার এলাকা ভাঙ্গণপ্রবন, এরমধ্যে যে ২০ কিলোমিটার এলাকা বেশি ভাঙে আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভাঙ্গণ তা প্রতিরোধে টেন্ডার আহ্বান করা হবে, যেন মার্” থেকে কাজ শুরু করা যায়।
রবিবার বিকেলে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত এক সভায় তিস্তা নদী নিয়ে গণশুনানিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান একথা বলেন। এসময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও গণ শুনানিতে অংশ নেন।
তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন ও পানির নায্য হিস্যা আদায়ে অনুষ্ঠিত গণ শুনানির এই সভায় আরো পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করা হবে। তিস্তার ভাঙ্গণপ্রবণ এলাকার ৪৬ কিলোমিটারের মধ্যে ২০ কিলোমিটার এলাকা বেশি ভাঙে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সেই নাজুক ২০ কিলোমিটার এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে টেন্ডার আহ্বান করা হবে, যেন মার্” থেকে কাজ শুরু করা যায়। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে রবিবারই নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, আমরা চীনের সাথে কথা বলেছি, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও তিস্তা পাড়ের মানুষের সাথে আলোচনা করে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করা হবে।
তিনি তিস্তার ন্যায্য হিস্যা প্রসঙ্গে বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাদেরও দায়িত্ব আছে। বর্ষা মৌসুমে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে অকাল বন্যা দেখা দেয়। আমরা বলেছি, ভারতের উজান থেকে পানি ছেড়ে দেবার সময় ভারত যেন অন্তত ৫/৭ ঘন্টা আগে আমাদের অবহিত করে। তাহলে তিস্তা পাড়ের মানুষ আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে। ঘরবাড়ি ও গরু-ছাগল সরিয়ে নেয়ার কাজটা করতে পারে। এটা ভারতের কাছে আমরা দাবি করতেই পারি, তা নাহলে কিসের প্রতিবেশী।
সভায় ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, অবশ্যই তিস্তা মহাপকিল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করবো। সেই সাথে চরাঞ্চলের যে মানুষগুলো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত, যেখানে শিক্ষার হার অনেক কম, সেখানে নতুন সতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী করবো। এছাড়াও তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।
গণশুনানিকালে তিস্তা পাড়ের মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টার কাছে আবেদন জানান, বিদেশীদের মুখাপেক্ষি না হয়ে, দেশীয় অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা এবং ভারতের কাছ থেকে তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায় করার দাবি জানান তারা।
এর আগে, রবিবার দুপুর তিনটায় দুই উপদেষ্টা সভায় হাজির হয়। এ সময় পুরো এলাকা কানায় কানায় মানুষের ভরে যায়।