অস্ত্র ও বোমাসহ হাতিয়া থানায় গ্রেপ্তারকৃতরা -সংবাদ
যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর তৃতীয় দিনে নোয়াখালী জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় অভিযানের সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও হাতবোমাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর এক ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, গত সোমবার গভীররাতে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাওসার মিয়ার ব্রিকফিল্ড এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলোÑ চরকিং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মতিনের ছেলে ইমাম হোসেন ও একই ওয়ার্ডের প্রয়াত নুরুল হকের ছেলে নবীর উদ্দিন। তার কাছ থেকে ম্যাগাজিন ও একটি গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি একনলা দেশীয় বন্দুক, আটটি কার্তুজ, ২০টি হাতবোমা, দুইটি ডেগার, তিনটি কিরিচ ও একটি তলোয়ার জব্দ করা হয়েছে। এই অভিযান নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হাতিয়া থানার প্রধান ফটকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া শাখা থেকে বলা হয়, ডেভিল হান্টের তৃতীয় দিনের অভিযানে সারাদেশে আরও ৬০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার বিকেল থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ১টি এলজি, ১টি ওয়ান শুটারগান, ১টি পাইপগান, ২ রাউন্ড গুলি ও ৫টি কার্তুজসহ অন্যান্য ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।
হাতিয়ায় ঘটনা : হাতিয়ার অভিযান ও গোলাগুলি সম্পর্কে নৌবাহিনী হাতিয়া কন্টিজেন্টের প্রধান কমান্ডার আফসার আহাম্মেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, তিন দিন থেকে অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় হাতিয়ার বিভিন্ন স্থানে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় অভিযান পরিচালনায় অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। প্রতিরাতে আমরা দুর্গম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসছি। এই দ্বীপকে পুরোপুরি সন্ত্রাস নির্মূল করা পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রেস বিফ্রিংয়ে হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওসি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার গভীররাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানের খবর টের পেয়ে সেখানে অবস্থানকারী দুর্বৃত্তরা বেশ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। তখন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের আত্মরক্ষা ও সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে ২৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় যৌথ বাহিনী। একই রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ফখরুল ইসলাম টিপু নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ দিকে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সর্বশেষ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে।
অস্ত্র ও বোমাসহ হাতিয়া থানায় গ্রেপ্তারকৃতরা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর তৃতীয় দিনে নোয়াখালী জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় অভিযানের সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও হাতবোমাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর এক ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, গত সোমবার গভীররাতে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাওসার মিয়ার ব্রিকফিল্ড এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলোÑ চরকিং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মতিনের ছেলে ইমাম হোসেন ও একই ওয়ার্ডের প্রয়াত নুরুল হকের ছেলে নবীর উদ্দিন। তার কাছ থেকে ম্যাগাজিন ও একটি গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি একনলা দেশীয় বন্দুক, আটটি কার্তুজ, ২০টি হাতবোমা, দুইটি ডেগার, তিনটি কিরিচ ও একটি তলোয়ার জব্দ করা হয়েছে। এই অভিযান নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হাতিয়া থানার প্রধান ফটকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া শাখা থেকে বলা হয়, ডেভিল হান্টের তৃতীয় দিনের অভিযানে সারাদেশে আরও ৬০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার বিকেল থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ১টি এলজি, ১টি ওয়ান শুটারগান, ১টি পাইপগান, ২ রাউন্ড গুলি ও ৫টি কার্তুজসহ অন্যান্য ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।
হাতিয়ায় ঘটনা : হাতিয়ার অভিযান ও গোলাগুলি সম্পর্কে নৌবাহিনী হাতিয়া কন্টিজেন্টের প্রধান কমান্ডার আফসার আহাম্মেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, তিন দিন থেকে অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় হাতিয়ার বিভিন্ন স্থানে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় অভিযান পরিচালনায় অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। প্রতিরাতে আমরা দুর্গম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসছি। এই দ্বীপকে পুরোপুরি সন্ত্রাস নির্মূল করা পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রেস বিফ্রিংয়ে হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওসি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার গভীররাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানের খবর টের পেয়ে সেখানে অবস্থানকারী দুর্বৃত্তরা বেশ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। তখন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের আত্মরক্ষা ও সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে ২৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় যৌথ বাহিনী। একই রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ফখরুল ইসলাম টিপু নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ দিকে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সর্বশেষ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে।