দেশের শিক্ষা খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। একই সঙ্গে বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনে সরকারি চাকরিজীবী ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
রোববার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগ–সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনে ডিসিদের উদ্দেশে এই নির্দেশনা দেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, "পুরো সরকারি প্রশাসনেই অনিয়ম ও দুর্নীতি আছে, তবে শিক্ষায় এটি বেশি প্রকট। শিক্ষকরা নিয়মিত ভাতা পান না, পরিদর্শকদের হেনস্তার শিকার হন, আবার অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও দায় থাকে। এসব বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।"
বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলোর পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "প্রথমে পরিচালনা পর্ষদে যারা ছিলেন, তারা সরে যাওয়ার পর নতুন প্রভাবশালীরা জায়গা দখলের চেষ্টা করেছেন। এজন্য একসময় এগুলো ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছিল, কিন্তু ডিসি ও ইউএনওদের জন্য এত দায়িত্ব সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক চাপ প্রতিহত করে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের, বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবী ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নতুন পরিপত্র অনুসারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে থাকতে হলে অন্তত স্নাতক ডিগ্রি এবং কলেজের ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।"
পরিকল্পনা বিভাগ–সম্পর্কিত নির্দেশনা নিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, "স্থানীয় পর্যায়ে অনেক প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে অসমাপ্ত রয়ে গেছে, কারণ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অনুপস্থিতির কারণে নতুন প্রকল্প গ্রহণেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।"
ডিসিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেতু ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোর বিষয়ে স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কিংবা সরাসরি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।" এছাড়া অসমাপ্ত প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু করে দ্রুত শেষ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দেশের শিক্ষা খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। একই সঙ্গে বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনে সরকারি চাকরিজীবী ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
রোববার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগ–সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনে ডিসিদের উদ্দেশে এই নির্দেশনা দেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, "পুরো সরকারি প্রশাসনেই অনিয়ম ও দুর্নীতি আছে, তবে শিক্ষায় এটি বেশি প্রকট। শিক্ষকরা নিয়মিত ভাতা পান না, পরিদর্শকদের হেনস্তার শিকার হন, আবার অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও দায় থাকে। এসব বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।"
বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলোর পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "প্রথমে পরিচালনা পর্ষদে যারা ছিলেন, তারা সরে যাওয়ার পর নতুন প্রভাবশালীরা জায়গা দখলের চেষ্টা করেছেন। এজন্য একসময় এগুলো ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছিল, কিন্তু ডিসি ও ইউএনওদের জন্য এত দায়িত্ব সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক চাপ প্রতিহত করে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের, বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবী ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নতুন পরিপত্র অনুসারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে থাকতে হলে অন্তত স্নাতক ডিগ্রি এবং কলেজের ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।"
পরিকল্পনা বিভাগ–সম্পর্কিত নির্দেশনা নিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, "স্থানীয় পর্যায়ে অনেক প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে অসমাপ্ত রয়ে গেছে, কারণ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অনুপস্থিতির কারণে নতুন প্রকল্প গ্রহণেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।"
ডিসিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেতু ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোর বিষয়ে স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কিংবা সরাসরি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।" এছাড়া অসমাপ্ত প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু করে দ্রুত শেষ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।