alt

আন্দোলনরত শিক্ষকদের আহাজারি: ‘হয় আমাদের যোগদান করতে দিন, নয় জীবন নিন’

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আন্দোলনকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে গতকাল পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে -সোহরাব আলম

‘হয়তো মোদের যোগদান দিন, নয়তো মোদের জীবন নিন, এক দফা এক দাবি, আমাদের নিয়োগ দাবি, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ এমন স্লোগানে রবিবার ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা। শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মহাসমাবেশ থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়মুখী হন আন্দোলনকারীরা। তবে পথিমধ্যে হাইকোর্ট মাজারের সামনে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার এবং লাঠিপেটা করে সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বিকেল ৪টার পর পুলিশের এই পদক্ষেপে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। তবে এর আগে তাদের সচিবালয়মুখী মিছিল থামাতে ও সড়ক থেকে সরাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পুলিশের। বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় সড়কে। বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে টানা ১১ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করে যাচ্ছেন তারা।

বেলা ১১টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে তাদের পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ শুরু হয়। বিকেল ৩টার দিকে তারা শাহবাগ থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে হাইকোর্টে মাজার রোডের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। পরে হঠাৎ সচিবালয়ের দিকে রওনা দেন। এ সময় পুলিশ শিক্ষা ভবনের সামনের সড়কে তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। বিকেল ৪টার দিকে তাদের ওপর জলকামান থেকে পানি ছিটানো হয়। তখন আন্দোলনকারীরা ওই রাস্তায় অবস্থান নেন। পুলিশ জলকামান থেকে পানি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তবে জলকামানের তীব্র গতির পানির মুখেও রাস্তায় শুয়ে পড়েন নারী প্রার্থীরা। পরে পানি ছিটানো বন্ধ করে পুরুষ প্রার্থীদের লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে সেখানে থেকে সরে যান। তবে নারী প্রার্থীরা রাস্তা ছাড়েননি। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেখানে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করা হয়। এরপর আন্দোলনকারীরা যে যার মতো দৌড়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। শবনম ফারিহা নামের একজন আন্দোলনকারী বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল। পুলিশ তাতে বাধা দিয়েছে। লাঠিপেটা ও পরে জলকামান ব্যবহার করেছে। এমন একটা যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ কেন জবরদস্তি করছে, এটা বুঝতে পারছেন না।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য এসেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাব না। আন্দোলনকারী সানজিদা আক্তার রুমা বলেন, প্রতিযোগিতা করে, সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরে ১১ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করতে হচ্ছে, পুলিশের মার খেতে হচ্ছে। এত অন্যায় হচ্ছে, এটা বলে বোঝাতে পারবেন না। রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট মাজার প্রাঙ্গণে আসতেই পুলিশ তাদের আটকে দেয়। তখন সেখানেই অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এতে পুলিশের সঙ্গে হট্টগোল বাধে। পুলিশ প্রথমে আন্দোলনকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা সরছিল না। পরে জলকামান থেকে গরম পানি নিক্ষেপ করা হয়। এতেও কাজ হচ্ছিল না। এরপর পুরুষদের লাঠিপেটা করা হলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তবে নারী আন্দোলনকারীদের সরানো যাচ্ছিল না। গায়ে ব্যানার পেঁচিয়ে জলকামানের পানি ঠেকানোর চেষ্টা করেন। ভেজা শরীর নিয়েই সড়কে শুয়ে পড়েন এবং স্লোগান দিতে থাকেন। পরে কাঁদানে গ্যাস, ব্যাপক জলকামান আর লাঠিচার্জে ৪টার পর সড়ক থেকে সরে যেতে বাধ্য হন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে তারা জাতীয় জাদুঘরের সামনে চলে যান।

শাহবাগ ও হাইকোর্ট মাজারে আন্দোলনকারীদের সড়ক অবরোধের ফলে এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কে আটকে যায় যানবাহন। ফলে এই রুটে চলাচলকারী যানবাহন ও সাধারণ মানুষ যানজটের ভোগান্তিতে পড়েন। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। দুপুরের পর তারা পদযাত্রা করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট মাজারের সামনে এসে তারা প্রেসক্লাবের দিকে না গিয়ে সচিবালয়ের দিকে রওনা দেন। তখন তাদের ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়া হয়। তারা ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। ৪টার পর এই এলাকা দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন: প্রেস সচিব

ছবি

আইআরআইয়ের প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন প্রতিবেদন, বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচনী পরিবেশ এখনও নাজুক

ছবি

মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করলেন সেতু বিভাগের সচিব

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায় ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ দেয়া হয়েছিল দাবি অ্যাটর্নি জেনারেলের

হালদা নদীকে মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: দলগুলোকে দায়িত্ব দেয়ার চার দিনেও অগ্রগতি নেই

ছবি

শতভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে বড় বাধা দুর্বল আইন, শক্তিশালীকরণের দাবি

ছবি

ইন্টারনেট বন্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, বিলুপ্ত হচ্ছে এনটিএমসি

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪ জন

ছবি

আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনও কাজ হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

জুলাইযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমকে নির্যাতনের অভিযোগে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

ছবি

সাবেক বিচারপতিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১,০৬৯ জন

জামিনে মুক্তি পাওয়া আ’লীগ নেতারা অপরাধে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: উপদেষ্টা

ছবি

তদন্ত প্রতিবেদন: পাইলটের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়

ছবি

বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার আগ্রহ আয়ারল্যান্ডের

ছবি

নির্বাচন হলে দেশে স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে, আশা সেনাবাহিনীর

ছবি

অগ্নিঝুঁকিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের পণ্যাগার, ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ, নিরাপত্তা জোরদার

ছবি

নির্বাচন হলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে, সেনাবাহিনী ফিরবে ব্যারাকে: জিওসি মাইনুর রহমান

ছবি

নিষিদ্ধ দলের মিছিলের চেষ্টা করলে আইনের কঠোর প্রয়োগ: প্রেস সচিব

দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতা: হাই কোর্টের বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের অপসারণ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে একদিনে প্রাণ গেল ১০ জনের

ছবি

আইসিটি মামলায় আটক ১৫ সেনা কর্মকর্তার চাকরি নিয়ে সেনাসদরের ব্যাখ্যা: “এটি একটি আইনগত প্রক্রিয়া”

ছবি

১৪ মাসে ৪০ বিচারবহির্ভূত হত্যা, আইনের মাধ্যমে ফয়সালা করা হবে: স্বরাষ্ট্র্র উপদেষ্টা

ছবি

আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি: বিএনপির আপত্তি আমলে নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার

কোটা আন্দোলনে হামলায় ঢাবির আরও ২৭৫ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত

ছবি

নির্বাচন: দেড় লাখের মধ্যে ৪৮ হাজার পুলিশের প্রশিক্ষণ শেষ

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় তিনবারেও সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থ প্রসিকিউশন

ছবি

নভেম্বর মাসেও কমছে না ডেঙ্গু, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

ছবি

সনদ, গণভোট: দলগুলোকে দ্রুত ‘সিদ্ধান্ত’ নেয়ার আহ্বান, নইলে পদক্ষেপ নেবে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় মাধবদীতে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি

ছবি

বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে ইন্টারনেটের দাম বাড়বে: আইএসপিএবি

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৪৭ জন

ছবি

পঞ্চদশ সংশোধনী পুরো বাতিল চেয়ে আপিল

tab

আন্দোলনরত শিক্ষকদের আহাজারি: ‘হয় আমাদের যোগদান করতে দিন, নয় জীবন নিন’

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আন্দোলনকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে গতকাল পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে -সোহরাব আলম

রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

‘হয়তো মোদের যোগদান দিন, নয়তো মোদের জীবন নিন, এক দফা এক দাবি, আমাদের নিয়োগ দাবি, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ এমন স্লোগানে রবিবার ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা। শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মহাসমাবেশ থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়মুখী হন আন্দোলনকারীরা। তবে পথিমধ্যে হাইকোর্ট মাজারের সামনে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার এবং লাঠিপেটা করে সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বিকেল ৪টার পর পুলিশের এই পদক্ষেপে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। তবে এর আগে তাদের সচিবালয়মুখী মিছিল থামাতে ও সড়ক থেকে সরাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পুলিশের। বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় সড়কে। বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে টানা ১১ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করে যাচ্ছেন তারা।

বেলা ১১টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে তাদের পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ শুরু হয়। বিকেল ৩টার দিকে তারা শাহবাগ থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে হাইকোর্টে মাজার রোডের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। পরে হঠাৎ সচিবালয়ের দিকে রওনা দেন। এ সময় পুলিশ শিক্ষা ভবনের সামনের সড়কে তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। বিকেল ৪টার দিকে তাদের ওপর জলকামান থেকে পানি ছিটানো হয়। তখন আন্দোলনকারীরা ওই রাস্তায় অবস্থান নেন। পুলিশ জলকামান থেকে পানি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তবে জলকামানের তীব্র গতির পানির মুখেও রাস্তায় শুয়ে পড়েন নারী প্রার্থীরা। পরে পানি ছিটানো বন্ধ করে পুরুষ প্রার্থীদের লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে সেখানে থেকে সরে যান। তবে নারী প্রার্থীরা রাস্তা ছাড়েননি। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেখানে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করা হয়। এরপর আন্দোলনকারীরা যে যার মতো দৌড়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। শবনম ফারিহা নামের একজন আন্দোলনকারী বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল। পুলিশ তাতে বাধা দিয়েছে। লাঠিপেটা ও পরে জলকামান ব্যবহার করেছে। এমন একটা যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ কেন জবরদস্তি করছে, এটা বুঝতে পারছেন না।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য এসেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাব না। আন্দোলনকারী সানজিদা আক্তার রুমা বলেন, প্রতিযোগিতা করে, সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরে ১১ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করতে হচ্ছে, পুলিশের মার খেতে হচ্ছে। এত অন্যায় হচ্ছে, এটা বলে বোঝাতে পারবেন না। রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট মাজার প্রাঙ্গণে আসতেই পুলিশ তাদের আটকে দেয়। তখন সেখানেই অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এতে পুলিশের সঙ্গে হট্টগোল বাধে। পুলিশ প্রথমে আন্দোলনকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা সরছিল না। পরে জলকামান থেকে গরম পানি নিক্ষেপ করা হয়। এতেও কাজ হচ্ছিল না। এরপর পুরুষদের লাঠিপেটা করা হলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তবে নারী আন্দোলনকারীদের সরানো যাচ্ছিল না। গায়ে ব্যানার পেঁচিয়ে জলকামানের পানি ঠেকানোর চেষ্টা করেন। ভেজা শরীর নিয়েই সড়কে শুয়ে পড়েন এবং স্লোগান দিতে থাকেন। পরে কাঁদানে গ্যাস, ব্যাপক জলকামান আর লাঠিচার্জে ৪টার পর সড়ক থেকে সরে যেতে বাধ্য হন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে তারা জাতীয় জাদুঘরের সামনে চলে যান।

শাহবাগ ও হাইকোর্ট মাজারে আন্দোলনকারীদের সড়ক অবরোধের ফলে এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কে আটকে যায় যানবাহন। ফলে এই রুটে চলাচলকারী যানবাহন ও সাধারণ মানুষ যানজটের ভোগান্তিতে পড়েন। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। দুপুরের পর তারা পদযাত্রা করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট মাজারের সামনে এসে তারা প্রেসক্লাবের দিকে না গিয়ে সচিবালয়ের দিকে রওনা দেন। তখন তাদের ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়া হয়। তারা ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। ৪টার পর এই এলাকা দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

back to top