রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি গোলাম মোর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বুধবার এ আদেশ দেয় বলে প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ জানান।
আর যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানার আদেশ হয়েছে, তারা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান এবং সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলাম। এই পাঁচজনের মধ্যে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর থেকে ভারতে পালিয়ে আছেন। বাকি চারজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, তাদের প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের মাধ্যমে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে সুলতান মাহমুদ জানান।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাইয়ে সংঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে এই ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ নেয়। পাশাপাশি শেখ হাসিনার সময়ে গুমের অভিযোগেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে ট্রাইব্যুনালে। ইতোমধ্যে ‘গণহত্যা’ ও ‘গুমের’ দুই মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ সরকার তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানালেও ভারত তাতে সাড়া দেয়নি।
হত্যা, গণহত্যার বিভিন্ন অভিযোগের পাশাপাশি শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ জমা পড়ে গত আগস্টে। শেখ হাসিনা ছাড়াও ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, লেখক, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় সেখানে।
নারী উন্নয়ন নীতি ও শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে ২০১০ সালে গড়ে উঠেছিল কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। তবে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণজাগরণ আন্দোলনের পাল্টায় রাজপথে নেমে সংগঠনটি বেশি পরিচিতি পায়। শাহবাগের আন্দোলনের বিপরীতে ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলে সমাবেশ ডাকে সংগঠনটি। সেই সমাবেশ ঘিরে পুরো মতিঝিল এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা আর তা-ব চলে। পরে সেই রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের মতিঝিল থেকে সরানো হয়। শাপলা চত্বরের অভিযানে ৬১ জন নিহত হন বলে সে সময় এক প্রতিবেদনে দাবি করে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’। যদিও পুলিশের দাবি, রাতের অভিযানে কেউ মারা যাননি, আর দিনভর সংঘাতে নিহতের সংখ্যাটি ১১।
সাভারে লাশ পোড়ানোর মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার
সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশের নায়েক মো. সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল বুধবার ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর নায়েক মো. সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।’
প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। এছাড়া প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, তারেক আব্দুল্লাহ ও শাইখ মাহাদী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি গোলাম মোর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বুধবার এ আদেশ দেয় বলে প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ জানান।
আর যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানার আদেশ হয়েছে, তারা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান এবং সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলাম। এই পাঁচজনের মধ্যে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর থেকে ভারতে পালিয়ে আছেন। বাকি চারজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, তাদের প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের মাধ্যমে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে সুলতান মাহমুদ জানান।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাইয়ে সংঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে এই ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ নেয়। পাশাপাশি শেখ হাসিনার সময়ে গুমের অভিযোগেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে ট্রাইব্যুনালে। ইতোমধ্যে ‘গণহত্যা’ ও ‘গুমের’ দুই মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ সরকার তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানালেও ভারত তাতে সাড়া দেয়নি।
হত্যা, গণহত্যার বিভিন্ন অভিযোগের পাশাপাশি শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ জমা পড়ে গত আগস্টে। শেখ হাসিনা ছাড়াও ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, লেখক, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় সেখানে।
নারী উন্নয়ন নীতি ও শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে ২০১০ সালে গড়ে উঠেছিল কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। তবে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণজাগরণ আন্দোলনের পাল্টায় রাজপথে নেমে সংগঠনটি বেশি পরিচিতি পায়। শাহবাগের আন্দোলনের বিপরীতে ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলে সমাবেশ ডাকে সংগঠনটি। সেই সমাবেশ ঘিরে পুরো মতিঝিল এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা আর তা-ব চলে। পরে সেই রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের মতিঝিল থেকে সরানো হয়। শাপলা চত্বরের অভিযানে ৬১ জন নিহত হন বলে সে সময় এক প্রতিবেদনে দাবি করে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’। যদিও পুলিশের দাবি, রাতের অভিযানে কেউ মারা যাননি, আর দিনভর সংঘাতে নিহতের সংখ্যাটি ১১।
সাভারে লাশ পোড়ানোর মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার
সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশের নায়েক মো. সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল বুধবার ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর নায়েক মো. সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।’
প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। এছাড়া প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, তারেক আব্দুল্লাহ ও শাইখ মাহাদী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।