পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা ৪শ’রও বেশি যাত্রীকে বহন করা একটি ট্রেন ছিনতাইয়ের পর নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৯০ জন বেসামরিককে উদ্ধার ও ৩০ হামলাকারীকে হত্যা করেছে বলে দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা ডনকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ৯টার দিকে নয় বগির জাফর এক্সপ্রেস খাইবার পাখতুনখওয়ার পেশোয়ার শহরের উদ্দেশে বেলুচিস্তানের কোয়েটা ছেড়ে যায়। দুপুর প্রায় ১টার দিকে তারা খবর পান বেলুচিস্তানের বোলান জেলার পানির ও পেশি রেল স্টেশনের মাঝামাঝি মুশকাফের নিকটবর্তী রেলওয়ে টানেল ৮ এর কাছে ট্রেনটিতে হামলা হয়েছে। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সশস্ত্র ব্যক্তিরা ট্রেনের লোকোমোটিভ লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে ও গুলিবর্ষণ করে, এতে ট্রেনটি থেমে যায়।’
প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা গেছে, হামলাকারীরা ট্রেনটির বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করে ট্রেনটি ছিনতাই করে। তারপর তারা যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র পরীক্ষা শুরু করে এবং কিছু যাত্রীকে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যায়।
কোয়েটা থেকে পাকিস্তান রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মুহাম্মদ কাশিফ আন্তর্জাতিক এক বার্তা সংস্থাকে বলেছিলেন, ‘ট্রেনটিতে থাকা ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রীকে বন্দুকধারীরা জিম্মি করে রেখেছে। যাত্রীদের মধ্যে নারী ও শিশু আছে।’
যদিও হতাহত কত, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রেনের চালকসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।
কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি মঙ্গলবার বালুচিস্তানের বোলান এলাকায় পৌঁছানোর পর হামলার শিকার হয়। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেললাইনের একটি অংশও উড়িয়ে দেয়া হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বালুচ লিবারেশন আর্মি।
হামলার সময় ট্রেনে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক সদস্যসহ কমপক্ষে ৪শ’ যাত্রী ছিলেন যাদের বেশিরভাগই হামলাকারীদের হাতে জিম্মি হন।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে যে, যাত্রীদের জিম্মি করে বালুচিস্তানের রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দাবি করেছে বালুচ লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মেনে না নেয়া হলে জিম্মিদের হত্যা করারও হুমকি দিয়েছে তারা।
হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। এরপর জিম্মি যাত্রীদের উদ্ধারে শুরু হয় বিশেষ অভিযান।
বুধবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে যে, অভিযানে শিশুসহ ১০৪ জন যাত্রীকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে আহত ১৭ জন যাত্রীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা ৪শ’রও বেশি যাত্রীকে বহন করা একটি ট্রেন ছিনতাইয়ের পর নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৯০ জন বেসামরিককে উদ্ধার ও ৩০ হামলাকারীকে হত্যা করেছে বলে দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা ডনকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ৯টার দিকে নয় বগির জাফর এক্সপ্রেস খাইবার পাখতুনখওয়ার পেশোয়ার শহরের উদ্দেশে বেলুচিস্তানের কোয়েটা ছেড়ে যায়। দুপুর প্রায় ১টার দিকে তারা খবর পান বেলুচিস্তানের বোলান জেলার পানির ও পেশি রেল স্টেশনের মাঝামাঝি মুশকাফের নিকটবর্তী রেলওয়ে টানেল ৮ এর কাছে ট্রেনটিতে হামলা হয়েছে। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সশস্ত্র ব্যক্তিরা ট্রেনের লোকোমোটিভ লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে ও গুলিবর্ষণ করে, এতে ট্রেনটি থেমে যায়।’
প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা গেছে, হামলাকারীরা ট্রেনটির বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করে ট্রেনটি ছিনতাই করে। তারপর তারা যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র পরীক্ষা শুরু করে এবং কিছু যাত্রীকে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যায়।
কোয়েটা থেকে পাকিস্তান রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মুহাম্মদ কাশিফ আন্তর্জাতিক এক বার্তা সংস্থাকে বলেছিলেন, ‘ট্রেনটিতে থাকা ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রীকে বন্দুকধারীরা জিম্মি করে রেখেছে। যাত্রীদের মধ্যে নারী ও শিশু আছে।’
যদিও হতাহত কত, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রেনের চালকসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।
কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি মঙ্গলবার বালুচিস্তানের বোলান এলাকায় পৌঁছানোর পর হামলার শিকার হয়। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেললাইনের একটি অংশও উড়িয়ে দেয়া হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বালুচ লিবারেশন আর্মি।
হামলার সময় ট্রেনে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক সদস্যসহ কমপক্ষে ৪শ’ যাত্রী ছিলেন যাদের বেশিরভাগই হামলাকারীদের হাতে জিম্মি হন।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে যে, যাত্রীদের জিম্মি করে বালুচিস্তানের রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দাবি করেছে বালুচ লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মেনে না নেয়া হলে জিম্মিদের হত্যা করারও হুমকি দিয়েছে তারা।
হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। এরপর জিম্মি যাত্রীদের উদ্ধারে শুরু হয় বিশেষ অভিযান।
বুধবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে যে, অভিযানে শিশুসহ ১০৪ জন যাত্রীকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে আহত ১৭ জন যাত্রীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।