‘শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের কারণে হত্যা’ গ্রেপ্তারকৃত ২ জনের ‘স্বীকারোক্তি’
রাজধানীর হাবীবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূইয়া হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যা মামলা দায়ের করার ১২ ঘণ্টার মধ্যে দুই হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি তালেবুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের কথা ‘স্বীকার করেছে’ বলে তিনি জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নাজিম হোসেন ও রুপা বেগম ওরফে জান্নাতি। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে ফরিদপুর সদর থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরপরই তারা ওই শিক্ষকের ফ্ল্যাট থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো বঁটি, একটি ধারালো চাকু ও রক্তমাখা জামা-কাপড় এবং বিছানার চাদর উদ্ধার করেছে।
উত্তরখান থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৪টা পর্যন্ত যে কোনো সময়ের মধ্যে হাবীবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া উত্তরখান থানার পুরানপাড়ার বাতান এলাকার একটি ৬তলা বিল্ডিংয়ের ৪র্থ তলার ৬নং ফ্ল্যাটে তিনি খুন হয়। এই খুনের ঘটনায় তার ছোট ভাই মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ভূইয়া বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় গত ১১ মার্চ একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষক সাইফুর রহমান ভূইয়া উত্তরখানের পুরানপাড়া বাতান এলাকায় তার স্ত্রীর পৈতৃক সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য ৩ থেকে ৪ মাস ধরে একটি বাসায় ভাড়া হিসেবে বসবাস করতেন।
সোমবার বিকেলে মামলার বাদী খবর পায়, তার ভাইকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তার শয়ন কক্ষের ভিতরে ফেলে রেখেছে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি
হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান। উত্তরখান থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে উক্ত হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করে উত্তরখান থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ঘটনার ২ থেকে ৩ দিন আগে কমলাপুর রেলস্টেশনে শিক্ষক সাইফুর রহমান ভূইয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত নাজিম হোসেন ও রুপা বেগম ওরফে জান্নাতির পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার সুবাদে ওই শিক্ষক গ্রেপ্তারকৃতদের তার ফ্ল্যাটে নিয়ে যান।
ডিসি তালেবুর রহমান জানান, এক পর্যায়ে শিক্ষক সাইফুর রহমান ভূইয়া তার বাসায় আশ্রয় দেয়া রুপা বেগম ওরফে জান্নাতিকে তার ফ্ল্যাটে আটক করে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন শুরু করে। গ্রেপ্তারকৃতরা নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে অতিরিক্ত রাগ ও ক্ষোভ থেকে সোমবার রাতে ধারালো বঁটি দিয়ে শিক্ষক সাইফুর রহমান ভূইয়াকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
‘শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের কারণে হত্যা’ গ্রেপ্তারকৃত ২ জনের ‘স্বীকারোক্তি’
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
রাজধানীর হাবীবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূইয়া হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যা মামলা দায়ের করার ১২ ঘণ্টার মধ্যে দুই হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি তালেবুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের কথা ‘স্বীকার করেছে’ বলে তিনি জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নাজিম হোসেন ও রুপা বেগম ওরফে জান্নাতি। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে ফরিদপুর সদর থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরপরই তারা ওই শিক্ষকের ফ্ল্যাট থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো বঁটি, একটি ধারালো চাকু ও রক্তমাখা জামা-কাপড় এবং বিছানার চাদর উদ্ধার করেছে।
উত্তরখান থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৪টা পর্যন্ত যে কোনো সময়ের মধ্যে হাবীবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া উত্তরখান থানার পুরানপাড়ার বাতান এলাকার একটি ৬তলা বিল্ডিংয়ের ৪র্থ তলার ৬নং ফ্ল্যাটে তিনি খুন হয়। এই খুনের ঘটনায় তার ছোট ভাই মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ভূইয়া বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় গত ১১ মার্চ একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষক সাইফুর রহমান ভূইয়া উত্তরখানের পুরানপাড়া বাতান এলাকায় তার স্ত্রীর পৈতৃক সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য ৩ থেকে ৪ মাস ধরে একটি বাসায় ভাড়া হিসেবে বসবাস করতেন।
সোমবার বিকেলে মামলার বাদী খবর পায়, তার ভাইকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তার শয়ন কক্ষের ভিতরে ফেলে রেখেছে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি
হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান। উত্তরখান থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে উক্ত হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করে উত্তরখান থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ঘটনার ২ থেকে ৩ দিন আগে কমলাপুর রেলস্টেশনে শিক্ষক সাইফুর রহমান ভূইয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত নাজিম হোসেন ও রুপা বেগম ওরফে জান্নাতির পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার সুবাদে ওই শিক্ষক গ্রেপ্তারকৃতদের তার ফ্ল্যাটে নিয়ে যান।
ডিসি তালেবুর রহমান জানান, এক পর্যায়ে শিক্ষক সাইফুর রহমান ভূইয়া তার বাসায় আশ্রয় দেয়া রুপা বেগম ওরফে জান্নাতিকে তার ফ্ল্যাটে আটক করে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন শুরু করে। গ্রেপ্তারকৃতরা নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে অতিরিক্ত রাগ ও ক্ষোভ থেকে সোমবার রাতে ধারালো বঁটি দিয়ে শিক্ষক সাইফুর রহমান ভূইয়াকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।