মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুর ধর্ষণ মামলার বিচার আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন অতীতে নজির আছে ৭-৮ দিনের মধ্যে বিচার কাজ শুরু হওয়ার। বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘অতীতে নজির আছে ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে বিচার কাজ শুরুর। সব বিচার রাষ্ট্র করতে পারে না, কিন্তু কিছু কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হয়। এখানে যে বর্বরতা, যে নির্মমতা, যে পাশবিকতা হয়েছে, এটা শুধু এই বিচার না, এটা হচ্ছে যারা ভিকটিম হবে, যারা অতীতে ভিকটিম হয়েছে, তাদের সবার জন্য এটা একটা মেসেজ হবে।’
সাত দিনের মধ্যে বিচারকাজ শুরু হলে কত দিনে শেষ হবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সাত দিনের মধ্যে বিচারকাজ শুরু হলেও কত দিনে শেষ হবে, তা বলতে পারছি না। তবে সাত থেকে আট দিনে বিচারকাজ শেষ করার নজির রয়েছে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা নতুন একটি আইন করছি। আশা করা হচ্ছে আগামী রোববার বা সোমবার নতুন আইন তৈরি করা হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনার বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।’
আসিফ নজরুল বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনালের কাজ হবে শিশু ও বলাৎকারের ঘটনার বিচার করা; যাতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়া যায়। আগামী রোববারের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের গেজেট প্রকাশ করা হবে। আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ, শিশুটিকে
ধর্ষণের ঘটনায় যারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বিষয়ে আপনারা সজাগ থাকবেন। এই বিষয়ে কোনও ধরনের নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না। আমাদের কোনও ভুলত্রুটি থাকলে সুনির্দিষ্ট করে বলবেন। আমরা নিজেদের জবাবদিহি করব। শিশু ধর্ষণের বিষয়ে আমাদের কোনো ভুল নেই। ভবিষ্যতে কোনো ভুল হলে সংশোধন করব। ধর্ষণ ব্যক্তির ঘটনা হলেও রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে।’
আসিফ নজরুল বলেন, আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, সরকারের বিন্দুমাত্র অবহেলা নেই। সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, সব বিচার রাষ্ট্র করতে পারবে না। কিন্তু কিছু বিচার করতে হয়। সমাজে একটা বার্তা দিতে হয়। মাগুরার শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘দাফনের জন্য আজকেই মৃতদেহ হেলিকপ্টারযোগে মাগুরায় নেয়া হবে। মৃতদেহ ও পরিবারের সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার যাবেন। দাফন পর্যন্ত তিনি থাকবেন। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়া যাবে। স্যাম্পল কালেকশন হয়ে হয়েছে। এরই মধ্যে ১২-১৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি। সাত দিনের মধ্যে বিচারকাজ শুরু হবে।’
মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টায় ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যায়। হাসপাতালের শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) চিকিৎসা চলছিল শিশুটির।
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুর ধর্ষণ মামলার বিচার আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন অতীতে নজির আছে ৭-৮ দিনের মধ্যে বিচার কাজ শুরু হওয়ার। বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘অতীতে নজির আছে ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে বিচার কাজ শুরুর। সব বিচার রাষ্ট্র করতে পারে না, কিন্তু কিছু কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হয়। এখানে যে বর্বরতা, যে নির্মমতা, যে পাশবিকতা হয়েছে, এটা শুধু এই বিচার না, এটা হচ্ছে যারা ভিকটিম হবে, যারা অতীতে ভিকটিম হয়েছে, তাদের সবার জন্য এটা একটা মেসেজ হবে।’
সাত দিনের মধ্যে বিচারকাজ শুরু হলে কত দিনে শেষ হবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সাত দিনের মধ্যে বিচারকাজ শুরু হলেও কত দিনে শেষ হবে, তা বলতে পারছি না। তবে সাত থেকে আট দিনে বিচারকাজ শেষ করার নজির রয়েছে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা নতুন একটি আইন করছি। আশা করা হচ্ছে আগামী রোববার বা সোমবার নতুন আইন তৈরি করা হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনার বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।’
আসিফ নজরুল বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনালের কাজ হবে শিশু ও বলাৎকারের ঘটনার বিচার করা; যাতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়া যায়। আগামী রোববারের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের গেজেট প্রকাশ করা হবে। আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ, শিশুটিকে
ধর্ষণের ঘটনায় যারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বিষয়ে আপনারা সজাগ থাকবেন। এই বিষয়ে কোনও ধরনের নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না। আমাদের কোনও ভুলত্রুটি থাকলে সুনির্দিষ্ট করে বলবেন। আমরা নিজেদের জবাবদিহি করব। শিশু ধর্ষণের বিষয়ে আমাদের কোনো ভুল নেই। ভবিষ্যতে কোনো ভুল হলে সংশোধন করব। ধর্ষণ ব্যক্তির ঘটনা হলেও রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে।’
আসিফ নজরুল বলেন, আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, সরকারের বিন্দুমাত্র অবহেলা নেই। সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, সব বিচার রাষ্ট্র করতে পারবে না। কিন্তু কিছু বিচার করতে হয়। সমাজে একটা বার্তা দিতে হয়। মাগুরার শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘দাফনের জন্য আজকেই মৃতদেহ হেলিকপ্টারযোগে মাগুরায় নেয়া হবে। মৃতদেহ ও পরিবারের সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার যাবেন। দাফন পর্যন্ত তিনি থাকবেন। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়া যাবে। স্যাম্পল কালেকশন হয়ে হয়েছে। এরই মধ্যে ১২-১৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি। সাত দিনের মধ্যে বিচারকাজ শুরু হবে।’
মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টায় ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যায়। হাসপাতালের শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) চিকিৎসা চলছিল শিশুটির।