আসামি ও তার পরিবারের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগের অভিযোগ বাদীর শিগগিরই মামলাটি ধর্ষণ মামলায় রূপান্তর এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ
ধর্ষণে শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে রাজধানীতে কাফনের কাপড় পরে প্রতিবাদ
সময়টা- গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি। বুদ্ধিতে কিছুটা কম বলে অনেকেই ডাকে পাগলি বলে, দৃষ্টির জোরও খানিক কম। তা সত্ত্বেও ঘরকন্নার কাজ নিয়ে ছিল ভালোই। কিন্তু একই গ্রামের বাসিন্দা মতিন চন্দ্র বর্মণের নজর পড়ে এই দৃষ্টি ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীর ওপর। ধর্ষণের শিকার হন তিনি। ঘটনার সপ্তাহখানেক পর মামলা করতে গেলে পুলিশ নেয় ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ মামলা। তারপর ছয় মাস পার হয়েছে। এখনও আসামি আছে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ঘটনাটি রংপুরের পীরগঞ্জে। দৃষ্টি ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীর করা ধর্ষণ মামলার আসামি মতিন চন্দ্র বর্মণকে এতদিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। বাদীপক্ষের অভিযোগ, পুলিশ অজানা কারণে মামলার আসামি মতিকে গ্রেপ্তার করছে না।
জানা গেছে, উপজেলার চতরা ইউনিয়নের এক ভূমিহীনের স্ত্রী ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে রান্না করছিলেন। এ সময় তাকে সেখান থেকে জোরপূর্বক তারই ঘরে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে মতিন। ওই নারীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে তার স্বামী বাদী হয়ে ২১ অক্টোবর থানায় মামলা রেকর্ড করে।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, ঘটনার পর বাদী ধর্ষণের অভিযোগ দিতে পীরগঞ্জ থানায় যায়। কিন্তু, পীরগঞ্জ থানা সময়ক্ষেপণ করে অভিযোগ দেয়ার ৭২ ঘণ্টা পরে ধর্ষণের চেষ্টা দেখিয়ে মামলা রেকর্ড করে। সেসময় ধর্ষণের শিকার ওই নারীর মেডিকেল টেস্ট নিয়েও টালবাহানা করে পুলিশ।
পরে ভিকটিম আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে তাকে ধর্ষণের কথা জানায়। তার বক্তব্যের
পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেয়। তিন মাস পর আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ওই নারীর মেডিকেল টেস্ট করা হয়।
ভিকটিমের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশনা আসার পরও তখনকার পীরগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মো. হাবিবুর রহমান তাদের মেডিকেল টেস্ট না করাতে নিরুৎসাহিত করে। তারপর ভিকটিমের পরিবারের সহযোগিতায় বিচার পেতে তারা মেডিকেল টেস্ট করেন। তখন তিনিই ধর্ষণ মামলা না নিয়ে মামলাটিকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’র মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।
স্থানীয়রা বলছেন, এই মামলার আসামি মতিন তার পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে। অথচ পুলিশ তাকে ধরতে পারছে না। তার পরিবারের সঙ্গে থানা পুলিশেরও যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি এলাকাবাসীর।
তারা বলছেন, আসামি মতিন চন্দ্রের পরিবার স্থানীয়ভাবে কিছুটা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে বিচারের কাজ ব্যাহত করছে।
ক্ষমতাধরের নমুনা বোঝাতে এলাকাবাসী জানায়, আসামির বাবা যতিন বর্মণের জমি থাকা সত্ত্বেও বড় ভগবানপুর হিন্দুপাড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাদের পরিবারের নামে দু’টি ঘর বরাদ্দ নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে রংপুর পুলিশ সুপার মো. আবু সায়েম বলেন, শিগগিরই মামলাটি ‘ধর্ষণ’ মামলায় রূপান্তর করা হবে। আসামিকেও গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা চলবে।
আসামি ও তার পরিবারের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগের অভিযোগ বাদীর শিগগিরই মামলাটি ধর্ষণ মামলায় রূপান্তর এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ
ধর্ষণে শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে রাজধানীতে কাফনের কাপড় পরে প্রতিবাদ
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
সময়টা- গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি। বুদ্ধিতে কিছুটা কম বলে অনেকেই ডাকে পাগলি বলে, দৃষ্টির জোরও খানিক কম। তা সত্ত্বেও ঘরকন্নার কাজ নিয়ে ছিল ভালোই। কিন্তু একই গ্রামের বাসিন্দা মতিন চন্দ্র বর্মণের নজর পড়ে এই দৃষ্টি ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীর ওপর। ধর্ষণের শিকার হন তিনি। ঘটনার সপ্তাহখানেক পর মামলা করতে গেলে পুলিশ নেয় ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ মামলা। তারপর ছয় মাস পার হয়েছে। এখনও আসামি আছে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ঘটনাটি রংপুরের পীরগঞ্জে। দৃষ্টি ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীর করা ধর্ষণ মামলার আসামি মতিন চন্দ্র বর্মণকে এতদিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। বাদীপক্ষের অভিযোগ, পুলিশ অজানা কারণে মামলার আসামি মতিকে গ্রেপ্তার করছে না।
জানা গেছে, উপজেলার চতরা ইউনিয়নের এক ভূমিহীনের স্ত্রী ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে রান্না করছিলেন। এ সময় তাকে সেখান থেকে জোরপূর্বক তারই ঘরে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে মতিন। ওই নারীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে তার স্বামী বাদী হয়ে ২১ অক্টোবর থানায় মামলা রেকর্ড করে।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, ঘটনার পর বাদী ধর্ষণের অভিযোগ দিতে পীরগঞ্জ থানায় যায়। কিন্তু, পীরগঞ্জ থানা সময়ক্ষেপণ করে অভিযোগ দেয়ার ৭২ ঘণ্টা পরে ধর্ষণের চেষ্টা দেখিয়ে মামলা রেকর্ড করে। সেসময় ধর্ষণের শিকার ওই নারীর মেডিকেল টেস্ট নিয়েও টালবাহানা করে পুলিশ।
পরে ভিকটিম আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে তাকে ধর্ষণের কথা জানায়। তার বক্তব্যের
পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেয়। তিন মাস পর আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ওই নারীর মেডিকেল টেস্ট করা হয়।
ভিকটিমের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশনা আসার পরও তখনকার পীরগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মো. হাবিবুর রহমান তাদের মেডিকেল টেস্ট না করাতে নিরুৎসাহিত করে। তারপর ভিকটিমের পরিবারের সহযোগিতায় বিচার পেতে তারা মেডিকেল টেস্ট করেন। তখন তিনিই ধর্ষণ মামলা না নিয়ে মামলাটিকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’র মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।
স্থানীয়রা বলছেন, এই মামলার আসামি মতিন তার পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে। অথচ পুলিশ তাকে ধরতে পারছে না। তার পরিবারের সঙ্গে থানা পুলিশেরও যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি এলাকাবাসীর।
তারা বলছেন, আসামি মতিন চন্দ্রের পরিবার স্থানীয়ভাবে কিছুটা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে বিচারের কাজ ব্যাহত করছে।
ক্ষমতাধরের নমুনা বোঝাতে এলাকাবাসী জানায়, আসামির বাবা যতিন বর্মণের জমি থাকা সত্ত্বেও বড় ভগবানপুর হিন্দুপাড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাদের পরিবারের নামে দু’টি ঘর বরাদ্দ নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে রংপুর পুলিশ সুপার মো. আবু সায়েম বলেন, শিগগিরই মামলাটি ‘ধর্ষণ’ মামলায় রূপান্তর করা হবে। আসামিকেও গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা চলবে।