পুলিশ অতীতে খারাপ মানুষের প্রভাবের মধ্যে থাকলেও এখন তা থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে তিনি বলেন, “ওই অন্ধকার যুগে পুলিশ অ্যাকটিভ পার্টিসিপেন্ট ছিল—নিজের ইচ্ছায় নয়, সরকারি আদেশ বাস্তবায়নের জন্য বাধ্য হয়েছিল। তবে নতুন বাংলাদেশে পুলিশকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা খারাপ ছিল না, বরং খারাপ পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “১৬ বছরের কালিমা গায়ে লেগে আছে, রাতারাতি সেটা মুছে ফেলা যাবে না। অতীতে পুলিশের যে ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে, তা বদলাতে হবে। এখন পুলিশের সামনে সুযোগ এসেছে সম্পূর্ণ নতুন এক ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার।”
প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ষড়যন্ত্রও তত বাড়ছে। আমরা এখন এক ধরনের যুদ্ধাবস্থায় আছি। ষড়যন্ত্রকারীরা এই সুযোগে শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা করবে, তাই পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।”
দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “দেশ বদলাতে হলে একক নির্দেশে হবে না, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে যত টিম আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিম হলো পুলিশ। সরকার যা কিছুই করতে চায়, শেষ পর্যন্ত পুলিশের মাধ্যমেই তা বাস্তবায়িত হয়।”
প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, “পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত না হলে যত বড় পরিকল্পনাই হোক, যত অর্থই থাকুক, কিছুই কাজে আসবে না।”
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
পুলিশ অতীতে খারাপ মানুষের প্রভাবের মধ্যে থাকলেও এখন তা থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে তিনি বলেন, “ওই অন্ধকার যুগে পুলিশ অ্যাকটিভ পার্টিসিপেন্ট ছিল—নিজের ইচ্ছায় নয়, সরকারি আদেশ বাস্তবায়নের জন্য বাধ্য হয়েছিল। তবে নতুন বাংলাদেশে পুলিশকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা খারাপ ছিল না, বরং খারাপ পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “১৬ বছরের কালিমা গায়ে লেগে আছে, রাতারাতি সেটা মুছে ফেলা যাবে না। অতীতে পুলিশের যে ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে, তা বদলাতে হবে। এখন পুলিশের সামনে সুযোগ এসেছে সম্পূর্ণ নতুন এক ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার।”
প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ষড়যন্ত্রও তত বাড়ছে। আমরা এখন এক ধরনের যুদ্ধাবস্থায় আছি। ষড়যন্ত্রকারীরা এই সুযোগে শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা করবে, তাই পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।”
দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “দেশ বদলাতে হলে একক নির্দেশে হবে না, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে যত টিম আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিম হলো পুলিশ। সরকার যা কিছুই করতে চায়, শেষ পর্যন্ত পুলিশের মাধ্যমেই তা বাস্তবায়িত হয়।”
প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, “পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত না হলে যত বড় পরিকল্পনাই হোক, যত অর্থই থাকুক, কিছুই কাজে আসবে না।”