ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সংঘটিত ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের মেয়াদ আরও সাড়ে তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, কমিশনের মেয়াদ ১৫ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
কমিশন গত ১৪ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন একটি প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়, যার কিছু অংশ পরদিন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি, গুমের ঘটনায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা এবং র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়।
কমিশনের প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মার্চ মাসে আরও একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে, তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে আরও এক বছর সময় লাগবে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ‘আয়নাঘর’ নামে তিনটি গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ ও গুম তদন্ত কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গুমের ঘটনা তদন্তে গত বছরের ২৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের এই কমিশন গঠন করা হয়। শুরুতে কমিশনের কার্যকালের সময়সীমা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৫ মার্চ করা হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন কমিশন ৩০ জুন পর্যন্ত সময় পাচ্ছে।
কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে—আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা বা সরকারের মদদে সংঘটিত গুমের ঘটনা তদন্ত করা। এছাড়া গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা। পাশাপাশি, বলপূর্বক গুম রোধে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারের পরামর্শও দেবে কমিশন।
পাঁচ সদস্যের এই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন—হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সংঘটিত ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের মেয়াদ আরও সাড়ে তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, কমিশনের মেয়াদ ১৫ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
কমিশন গত ১৪ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন একটি প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়, যার কিছু অংশ পরদিন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি, গুমের ঘটনায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা এবং র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়।
কমিশনের প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মার্চ মাসে আরও একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে, তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে আরও এক বছর সময় লাগবে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ‘আয়নাঘর’ নামে তিনটি গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ ও গুম তদন্ত কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গুমের ঘটনা তদন্তে গত বছরের ২৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের এই কমিশন গঠন করা হয়। শুরুতে কমিশনের কার্যকালের সময়সীমা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৫ মার্চ করা হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন কমিশন ৩০ জুন পর্যন্ত সময় পাচ্ছে।
কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে—আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা বা সরকারের মদদে সংঘটিত গুমের ঘটনা তদন্ত করা। এছাড়া গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা। পাশাপাশি, বলপূর্বক গুম রোধে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারের পরামর্শও দেবে কমিশন।
পাঁচ সদস্যের এই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন—হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।