ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছে হাই কোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে গণবিজ্ঞপ্তিটি কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম সোমবার এই রিট আবেদন করেন। তিনি গণবিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে বলেন, যে বিধিমালার আওতায় এটি জারি করা হয়েছে, তা সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থী। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রণীত বিধিমালা আওয়ামী লীগ সরকার আরও কঠোর করেছে।
রিটকারী পক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আবেদা গুলরুখ বলেন, এই বিধিমালা সংবিধানের পরিপন্থী, কারণ এটি সংবিধানে রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞার বিরোধী। আদালত গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেছে, তবে এই স্থগিতাদেশ শুধুমাত্র রিট আবেদনকারীর জন্য প্রযোজ্য হবে।
গত ১০ মার্চ নির্বাচন কমিশন এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে, যেখানে বলা হয়, নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য ১০টি তথ্য ও ৫ হাজার টাকা ফি জমা দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য তিনটি শর্তের মধ্যে একটি পূরণ করতে হয়—
১. দলটির অন্তত একজন সংসদ সদস্য থাকতে হবে।
২. কোনো এক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরা মোট প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ পেতে হবে।
৩. কমপক্ষে ২১টি প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানায় প্রত্যেকটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থন থাকতে হবে।
নতুন দলগুলোর জন্য কেবল তৃতীয় শর্তটি পূরণ করার সুযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদা কমিশন নিবন্ধন প্রথা চালু করে, যেখানে নিবন্ধিত দলগুলোকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছে হাই কোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে গণবিজ্ঞপ্তিটি কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম সোমবার এই রিট আবেদন করেন। তিনি গণবিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে বলেন, যে বিধিমালার আওতায় এটি জারি করা হয়েছে, তা সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থী। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রণীত বিধিমালা আওয়ামী লীগ সরকার আরও কঠোর করেছে।
রিটকারী পক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আবেদা গুলরুখ বলেন, এই বিধিমালা সংবিধানের পরিপন্থী, কারণ এটি সংবিধানে রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞার বিরোধী। আদালত গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেছে, তবে এই স্থগিতাদেশ শুধুমাত্র রিট আবেদনকারীর জন্য প্রযোজ্য হবে।
গত ১০ মার্চ নির্বাচন কমিশন এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে, যেখানে বলা হয়, নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য ১০টি তথ্য ও ৫ হাজার টাকা ফি জমা দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য তিনটি শর্তের মধ্যে একটি পূরণ করতে হয়—
১. দলটির অন্তত একজন সংসদ সদস্য থাকতে হবে।
২. কোনো এক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরা মোট প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ পেতে হবে।
৩. কমপক্ষে ২১টি প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানায় প্রত্যেকটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থন থাকতে হবে।
নতুন দলগুলোর জন্য কেবল তৃতীয় শর্তটি পূরণ করার সুযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদা কমিশন নিবন্ধন প্রথা চালু করে, যেখানে নিবন্ধিত দলগুলোকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়।