১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
আসন্ন ঈদুল ফিতরে রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত রাখতে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে জরুরি বিভাগ, লেবার রুম, অস্ত্রোপচার কক্ষ ও পরীক্ষাগার চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানের সই করা নির্দেশনায় বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু রাখার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ বছর সরকারি গেজেট অনুযায়ী ঈদের ছুটি পাঁচ দিন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, টানা পাঁচ দিন বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলে রোগীদের ভোগান্তি হতে পারে। তাই হাসপাতালের ছুটি কমিয়ে তিন দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া জনবল সংকট এড়াতে কর্মীদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৬ দফা নির্দেশনা-
১. জরুরি বিভাগে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
২. জরুরি বিভাগ, লেবার রুম, অস্ত্রোপচার কক্ষ ও ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৩. পর্যাপ্ত জনবল নিশ্চিত করতে কর্মীদের ঈদের আগে ও পরে পর্যায়ক্রমে ছুটি দিতে হবে।
৪. প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থ বিবেচনায় ছুটি মঞ্জুর করতে হবে।
৫. সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
৬. প্রতিটি হাসপাতালে অন্তঃবিভাগ ইউনিট প্রধানরা নিয়মিত তদারকি করবেন। বিশেষায়িত হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে ও ল্যাব সেবা চালু রাখতে হবে।
৭. ছুটির আগে পর্যাপ্ত ওষুধ, আইভি ফ্লুইড, সার্জিক্যাল সামগ্রী ও কেমিক্যাল রি-অ্যাজেন্ট মজুদ নিশ্চিত করতে হবে।
৮. অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৯. হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে চিঠি দিতে হবে।
১০. স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে।
১১. ছুটিকালীন সেবা পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভাগের প্রধানরা কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করবেন।
১২. প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটিতে গেলে বিকল্প দায়িত্ব নির্ধারণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
১৩. ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রোগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হবে।
১৪. বহির্বিভাগ টানা ৭২ ঘণ্টার বেশি বন্ধ রাখা যাবে না।
১৫. বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে—
ক) জরুরি ও প্রসূতি বিভাগ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
খ) রোগী রেফার করার আগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে।
গ) রেফার্ড রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স নিশ্চিত করতে হবে।
১৬. যেকোনো দুর্যোগ বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আশা করছে, এসব নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করলে ঈদের ছুটিতেও রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হবে না।
১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
আসন্ন ঈদুল ফিতরে রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত রাখতে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে জরুরি বিভাগ, লেবার রুম, অস্ত্রোপচার কক্ষ ও পরীক্ষাগার চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানের সই করা নির্দেশনায় বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু রাখার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ বছর সরকারি গেজেট অনুযায়ী ঈদের ছুটি পাঁচ দিন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, টানা পাঁচ দিন বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলে রোগীদের ভোগান্তি হতে পারে। তাই হাসপাতালের ছুটি কমিয়ে তিন দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া জনবল সংকট এড়াতে কর্মীদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৬ দফা নির্দেশনা-
১. জরুরি বিভাগে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
২. জরুরি বিভাগ, লেবার রুম, অস্ত্রোপচার কক্ষ ও ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৩. পর্যাপ্ত জনবল নিশ্চিত করতে কর্মীদের ঈদের আগে ও পরে পর্যায়ক্রমে ছুটি দিতে হবে।
৪. প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থ বিবেচনায় ছুটি মঞ্জুর করতে হবে।
৫. সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
৬. প্রতিটি হাসপাতালে অন্তঃবিভাগ ইউনিট প্রধানরা নিয়মিত তদারকি করবেন। বিশেষায়িত হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে ও ল্যাব সেবা চালু রাখতে হবে।
৭. ছুটির আগে পর্যাপ্ত ওষুধ, আইভি ফ্লুইড, সার্জিক্যাল সামগ্রী ও কেমিক্যাল রি-অ্যাজেন্ট মজুদ নিশ্চিত করতে হবে।
৮. অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৯. হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে চিঠি দিতে হবে।
১০. স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে।
১১. ছুটিকালীন সেবা পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভাগের প্রধানরা কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করবেন।
১২. প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটিতে গেলে বিকল্প দায়িত্ব নির্ধারণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
১৩. ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রোগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হবে।
১৪. বহির্বিভাগ টানা ৭২ ঘণ্টার বেশি বন্ধ রাখা যাবে না।
১৫. বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে—
ক) জরুরি ও প্রসূতি বিভাগ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
খ) রোগী রেফার করার আগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে।
গ) রেফার্ড রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স নিশ্চিত করতে হবে।
১৬. যেকোনো দুর্যোগ বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আশা করছে, এসব নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করলে ঈদের ছুটিতেও রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হবে না।