মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে দুটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে হাজির করা হয়। তার সঙ্গে আরও পাঁচ সহযোগী ছিলেন।
বিচারক তাদের ৬ জনের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান জানান। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে তোলা হয় তাদের। এদের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিন করে দুই মামলায় মোট ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি ওরফে আতাউল্লাহ (৪৮), সহযোগী মোস্তাক আহমেদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), মো. আসমতউল্লাহ (২৪) ও হাসান (৪৩)। এরা সবাই মায়ানমারের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। আতাউল্লাহ ছাড়া বাকি সবাই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতেন। তাদের সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামানকেও (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খোরশেদ আলম মোল্লা জানান, আসামিরা নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক অপরাধ কর্মকা- সংঘটিত করার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করে আসছিলেন। র্যাব ও পুলিশের তথ্য ছিল আসামিরা সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমি পল্লি আবাসন এলাকার একটি বহুতল ভবনে গোপন বৈঠক করছেন। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আসামিদের কাছ থেকে ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার
করা হয়।রোববার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ শহরের নতুন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরসার প্রধান জুনুনিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান। গ্রেপ্তার বাকি চারজনের মধ্যে তিনজন নারী এবং একজন শিশু। তাদেরকে একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।