রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে (ডিএই) সব ধরনের দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কেউ দলীয় নাম বা পরিচয় ব্যবহার করে কোনো বিশৃঙ্খলা বা চাঁদাবাজি করতে পারবেনা।
মঙ্গলবার দুপুরে খামারবাড়ির সামনে দুর্নীতি বিরোধী নাগরিক ও ছাত্র সমাজের ব্যানারে মানববন্ধনে এ দাবি জানান কৃষিবিদসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ।
তারা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি বদলি বাণিজ্যের অভিযোগে অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপ-পরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে বদলি করা হয়। বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পর বৃহস্পতিবার থেকে মাহবুবুর রশীদের অনুসারীরা খামারবাড়ির গেটে তালা, বহিরাগতদের দিয়ে সড়ক অবরোধ ও সংবাদ সম্মেলনের মতো কর্মসূচি দিয়ে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন। তারা সেখানে প্লেকার্ড প্রদর্শণ করে; ‘মুকুল, মাহাবুব হাসিবুল, দুর্নীতির তিন ফুল’, ‘সিন্ডিকেট ভাঙো, কৃষিকে বাচাঁও’ ইত্যাদি।
তারা কৃষিতে অস্থিরতা তৈরির সঙ্গে জড়িত কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশীদ ও রেজাউল ইসলাম মুকুলসহ জড়িতের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া কৃষিবিদদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর রেজাউল ইসলাম মুকুল, মুহাম্মদ মাহবুবুর রশিদ এবং এ কে এম হাসিবুল হাসান নামে তিন কর্মকর্তা ‘বিএনপির’ নাম ভাঙিয়ে বদলি-পদায়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে ‘কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে’ নিয়েছেন। এখন কৃষি মন্ত্রণণালয় দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ নেয়ার পর সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ‘পরিকল্পিতভাবে’ অস্থিরতা তৈরি করছে ওই বিতর্কিত কর্মকর্তাদের ‘সিন্ডেকেট’।
মানববন্ধন থেকে কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি তহবিল যথাযথভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
ে পৃষ্ঠা : ২ ক : ৪
খামারবাড়িতে অস্থিরতা
(১২ পৃষ্ঠার পর)
কৃষিকে দুর্নীতিমুক্ত করার এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে কৃষিবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘কৃষকরা যেখানে সরকারি সহায়তার অপেক্ষায় থাকেন, সেখানে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার লুটে নিচ্ছেন। সরকার যদি কৃষি খাতকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে।’
আনিসুর রহমান নামে আরেক কৃষিবিদ বলেন, ‘একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বদলির পর বৃহস্পতিবার থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা খামারবাড়িতে বিশৃঙ্খলা করছে। সড়ক অবরোধ করে রোজাদার মানুষ ও রোগীকে কষ্ট দিয়েছে। আতঙ্ক তৈরি করে খামারবাড়িকে অচল করেছে। অথচ নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী সেই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কৃষিতে এ রকম ঘটনা অতীতে ঘটেনি। এবার শাস্তি না হলে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে।’
আন্দোলনে আসা একজন বলেন, ‘তারেক রহমানের স্পষ্ট বার্তা কেউ দলীয় নাম বা পরিচয় ব্যবহার করে কোনো বিশৃঙ্খলা বা চাঁদাবাজি করতে পারবেনা। যতো বড় মাপের নেতাই হোক খামারবাড়িতে আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা হতে দিবোনা।’
বৃহস্পতিবার ডিএই এর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপ-পরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে মেহেরপুরের বারাদি হর্টিকালচার সেন্টারে উপ-পরিচালক পদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে কৃষি মন্ত্রণালয়। মাহবুবুর রশীদের স্থলাভিষিক্ত করা হয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের উপ-পরিচলক (আমদানি) মো. মুরাদুল হাসানকে।
বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পর পরই মাহবুবুর রশীদের অনুসারীরা খামারবাড়ির গেটে তালা, বহিরাগতদের দিয়ে সড়ক অবরোধ ও সংবাদ সম্মেলনের মতো কর্মসূচি দিয়ে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন।
অভিযোগ রয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের পর খামারবাড়ির বিভিন্ন ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপিপন্থি হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ ও রেজাউল ইসলাম মুকুলের অনুসারীরা।
ডিএইর একাধিক কর্মকর্তারা জানান, ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ ব্যবহার করে এই দুই কর্মকর্তা ও তাদের অনুসারীরা খামারবাড়িতে অনেক ‘অনিয়ম’ করেছে। বদলি-পদায়ন নিয়ে অনেক ‘বাণিজ্য’ করেছে। বড় প্রকল্পগুলোর পিডি হতে তারা মরিয়া হয়ে উঠে। তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই স্বৈরাচারের দোসর ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করা হয়। এক্ষেত্রে ঢাল হিসেবে কিছু শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করা হয়।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে (ডিএই) সব ধরনের দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কেউ দলীয় নাম বা পরিচয় ব্যবহার করে কোনো বিশৃঙ্খলা বা চাঁদাবাজি করতে পারবেনা।
মঙ্গলবার দুপুরে খামারবাড়ির সামনে দুর্নীতি বিরোধী নাগরিক ও ছাত্র সমাজের ব্যানারে মানববন্ধনে এ দাবি জানান কৃষিবিদসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ।
তারা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি বদলি বাণিজ্যের অভিযোগে অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপ-পরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে বদলি করা হয়। বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পর বৃহস্পতিবার থেকে মাহবুবুর রশীদের অনুসারীরা খামারবাড়ির গেটে তালা, বহিরাগতদের দিয়ে সড়ক অবরোধ ও সংবাদ সম্মেলনের মতো কর্মসূচি দিয়ে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন। তারা সেখানে প্লেকার্ড প্রদর্শণ করে; ‘মুকুল, মাহাবুব হাসিবুল, দুর্নীতির তিন ফুল’, ‘সিন্ডিকেট ভাঙো, কৃষিকে বাচাঁও’ ইত্যাদি।
তারা কৃষিতে অস্থিরতা তৈরির সঙ্গে জড়িত কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশীদ ও রেজাউল ইসলাম মুকুলসহ জড়িতের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া কৃষিবিদদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর রেজাউল ইসলাম মুকুল, মুহাম্মদ মাহবুবুর রশিদ এবং এ কে এম হাসিবুল হাসান নামে তিন কর্মকর্তা ‘বিএনপির’ নাম ভাঙিয়ে বদলি-পদায়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে ‘কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে’ নিয়েছেন। এখন কৃষি মন্ত্রণণালয় দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ নেয়ার পর সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ‘পরিকল্পিতভাবে’ অস্থিরতা তৈরি করছে ওই বিতর্কিত কর্মকর্তাদের ‘সিন্ডেকেট’।
মানববন্ধন থেকে কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি তহবিল যথাযথভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
ে পৃষ্ঠা : ২ ক : ৪
খামারবাড়িতে অস্থিরতা
(১২ পৃষ্ঠার পর)
কৃষিকে দুর্নীতিমুক্ত করার এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে কৃষিবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘কৃষকরা যেখানে সরকারি সহায়তার অপেক্ষায় থাকেন, সেখানে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার লুটে নিচ্ছেন। সরকার যদি কৃষি খাতকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে।’
আনিসুর রহমান নামে আরেক কৃষিবিদ বলেন, ‘একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বদলির পর বৃহস্পতিবার থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা খামারবাড়িতে বিশৃঙ্খলা করছে। সড়ক অবরোধ করে রোজাদার মানুষ ও রোগীকে কষ্ট দিয়েছে। আতঙ্ক তৈরি করে খামারবাড়িকে অচল করেছে। অথচ নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী সেই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কৃষিতে এ রকম ঘটনা অতীতে ঘটেনি। এবার শাস্তি না হলে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে।’
আন্দোলনে আসা একজন বলেন, ‘তারেক রহমানের স্পষ্ট বার্তা কেউ দলীয় নাম বা পরিচয় ব্যবহার করে কোনো বিশৃঙ্খলা বা চাঁদাবাজি করতে পারবেনা। যতো বড় মাপের নেতাই হোক খামারবাড়িতে আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা হতে দিবোনা।’
বৃহস্পতিবার ডিএই এর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপ-পরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে মেহেরপুরের বারাদি হর্টিকালচার সেন্টারে উপ-পরিচালক পদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে কৃষি মন্ত্রণালয়। মাহবুবুর রশীদের স্থলাভিষিক্ত করা হয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের উপ-পরিচলক (আমদানি) মো. মুরাদুল হাসানকে।
বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পর পরই মাহবুবুর রশীদের অনুসারীরা খামারবাড়ির গেটে তালা, বহিরাগতদের দিয়ে সড়ক অবরোধ ও সংবাদ সম্মেলনের মতো কর্মসূচি দিয়ে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন।
অভিযোগ রয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের পর খামারবাড়ির বিভিন্ন ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপিপন্থি হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ ও রেজাউল ইসলাম মুকুলের অনুসারীরা।
ডিএইর একাধিক কর্মকর্তারা জানান, ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ ব্যবহার করে এই দুই কর্মকর্তা ও তাদের অনুসারীরা খামারবাড়িতে অনেক ‘অনিয়ম’ করেছে। বদলি-পদায়ন নিয়ে অনেক ‘বাণিজ্য’ করেছে। বড় প্রকল্পগুলোর পিডি হতে তারা মরিয়া হয়ে উঠে। তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই স্বৈরাচারের দোসর ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করা হয়। এক্ষেত্রে ঢাল হিসেবে কিছু শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করা হয়।