alt

ব্রিটিশ স্মৃতিসৌধে বাবার নাম আর ’চাই না‘ – সিলেটের আতাউর

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

ব্রিটিশ স্মৃতিসৌধে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েও ভিসা পাননি সিলেটের বাসিন্দা আতাউর রহমান। এই অভিমানে তিনি এখন স্মৃতিসৌধ থেকে বাবার নাম মুছে ফেলতে চান।

৮৬ বছর বয়সী আতাউর বলেন, “যেহেতু আমাদের সম্মান জানানোর অধিকার নেই, তাই সেখানে আমার বাবার নাম থাকারও কোনো মানে নেই।”

কী ঘটেছিল?

গত ডিসেম্বরে লন্ডনের ‘টাওয়ার হিল মেমোরিয়াল’ দেখার জন্য ব্রিটিশ ভিসার আবেদন করেছিলেন আতাউর রহমান। সেখানে বাবার নাম খোদাই করা। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার সেই আবেদন নাকচ করে দেয়।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ আতাউর বলেন, “ব্রিটিশ সরকার যদি আমাদের সেখানে যেতে না দেয়, তবে স্মৃতিসৌধে বাবার নাম থাকারও প্রয়োজন নেই। আমি চাই, কমনওয়েলথ যুদ্ধ সংক্রান্ত সমস্ত রেকর্ড থেকেও তাঁর নাম মুছে ফেলা হোক।”

যুদ্ধে জীবন দেওয়া এক বীর

আতাউর রহমানের বাবা এরশাদ আলী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত ছিলেন**।

১৯৪৪ সালের ১৯ জুন, নেদারল্যান্ডসের একটি কার্গো জাহাজে থাকা অবস্থায় টর্পেডোর আঘাতে তিনি নিহত হন।

যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এরশাদ আলী পেয়েছেন পাঁচটি যুদ্ধ পদক: বার্মা স্টার,আটলান্টিক স্টার,১৯৩৯-৪৫ স্টার, ১৯৩৯-৪৫ ওয়ার মেডাল,ডাচ মোবিলাইজেশন ওয়ার ক্রস।

আতাউর রহমান বলেন, “আমি যখন ছয় মাস বয়সী, তখন বাবা যুদ্ধে যান। তিনি আর ফিরে আসেননি। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, আমি কখনো বাবাকে দেখিনি।”

তাঁর ছেলে সুহেল রানা ব্রিটিশ সরকারের কাছে তিন বছর ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে **এরশাদ আলীর স্বীকৃতি আনতে সক্ষম হন**।

“এটা শুধু আমার বাবার অপমান নয়”

ভিসা প্রত্যাখ্যানের ঘটনায় হতাশ আতাউর রহমান বলেন, “এটি শুধু আমার বাবার অপমান নয়, বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শহীদ সব সৈন্যের প্রতি অসম্মান।”

তিনি মনে করেন, “ভিসা আবেদন নাকচ করা ছিল ইচ্ছাকৃত। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ।”

আতাউরের বক্তব্য, যদি ব্রিটিশ সরকার তাঁকে বাবার স্মৃতিসৌধে যাওয়ার অনুমতি না দেয়, তবে সেই স্মৃতিসৌধে বাবার নাম থাকারও প্রয়োজন নেই।

নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট দু’টি আইন সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন

নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গোৎসব: ডিএমপি কমিশনার

ছবি

পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীতে নদীর বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ছবি

কাঁটাতারে ঝুলে মারা যাওয়া সেই ফেলানীর ছোট ভাই এখন বর্ডারগার্ড

ডেঙ্গু: আরও ৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৪৭ জন

৪ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসকে নতুন সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়: নাহিদ ইসলাম

ছবি

কুমিল্লায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪টি মাজারে হামলা, আগুন

ছবি

জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় রামপুরায় হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ: পাঁচ আসামির বিচার শুরু

ছবি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিসের আবেদন

ছবি

সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

টিআইবির প্রশ্ন: ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনায় অতি আগ্রহ কেন?

ছবি

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি: ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যায়িত করে অপমানিত করা হয়েছে

ছবি

জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ

ছবি

আমি যে কাজ করেছি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন হয় নি: সিলেটে আসিফ নজরুল

ছবি

অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার দুটি লকার জব্দ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৬২২

ছবি

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘে যাচ্ছেন ফখরুল-তাহের-আখতার

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে চারটি পদ্ধতির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

ছবি

ডেমু ট্রেন কেনায় রাষ্ট্রের ক্ষতি, দুদকের মামলা

ছবি

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতির বৈঠক

ছবি

ট্রাইব্যুনাল: নাহিদের সাক্ষ্য বুধবার, মাহমুদুর রহমানের জেরা শুরু

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, দলগুলোর সঙ্গে বুধবার আবার আলোচনায় বসছে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা: বাংলাদেশ-ভারতের ভৌগোলিক নৈকট্য ও আন্তঃনির্ভতা নতুন সুযোগে রূপান্তরের সম্ভাবনা

ছবি

ধর্মীয় উৎসবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নয়, সমান নাগরিক অধিকারের বাংলাদেশ চান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

ছবি

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য বুধবার

ছবি

জুলাই আন্দোলন: ইনু-নূরসহ ৯ আসামির ভার্চুয়াল হাজিরা

ছবি

বাংলাদেশে উষ্ণায়নের প্রভাব: কর্মদিবস নষ্ট, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যে বড় ক্ষতি

ছবি

এলডিসি থেকে উত্তরণ পিছিয়ে দিতে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য সচিব

ছবি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা

ছবি

দুর্গাপূজা প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালকদের দপ্তর বদল, একজনকে ওএসডি

ছবি

ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

ছবি

আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ৩৮ হাজার

tab

ব্রিটিশ স্মৃতিসৌধে বাবার নাম আর ’চাই না‘ – সিলেটের আতাউর

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

ব্রিটিশ স্মৃতিসৌধে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েও ভিসা পাননি সিলেটের বাসিন্দা আতাউর রহমান। এই অভিমানে তিনি এখন স্মৃতিসৌধ থেকে বাবার নাম মুছে ফেলতে চান।

৮৬ বছর বয়সী আতাউর বলেন, “যেহেতু আমাদের সম্মান জানানোর অধিকার নেই, তাই সেখানে আমার বাবার নাম থাকারও কোনো মানে নেই।”

কী ঘটেছিল?

গত ডিসেম্বরে লন্ডনের ‘টাওয়ার হিল মেমোরিয়াল’ দেখার জন্য ব্রিটিশ ভিসার আবেদন করেছিলেন আতাউর রহমান। সেখানে বাবার নাম খোদাই করা। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার সেই আবেদন নাকচ করে দেয়।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ আতাউর বলেন, “ব্রিটিশ সরকার যদি আমাদের সেখানে যেতে না দেয়, তবে স্মৃতিসৌধে বাবার নাম থাকারও প্রয়োজন নেই। আমি চাই, কমনওয়েলথ যুদ্ধ সংক্রান্ত সমস্ত রেকর্ড থেকেও তাঁর নাম মুছে ফেলা হোক।”

যুদ্ধে জীবন দেওয়া এক বীর

আতাউর রহমানের বাবা এরশাদ আলী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত ছিলেন**।

১৯৪৪ সালের ১৯ জুন, নেদারল্যান্ডসের একটি কার্গো জাহাজে থাকা অবস্থায় টর্পেডোর আঘাতে তিনি নিহত হন।

যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এরশাদ আলী পেয়েছেন পাঁচটি যুদ্ধ পদক: বার্মা স্টার,আটলান্টিক স্টার,১৯৩৯-৪৫ স্টার, ১৯৩৯-৪৫ ওয়ার মেডাল,ডাচ মোবিলাইজেশন ওয়ার ক্রস।

আতাউর রহমান বলেন, “আমি যখন ছয় মাস বয়সী, তখন বাবা যুদ্ধে যান। তিনি আর ফিরে আসেননি। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, আমি কখনো বাবাকে দেখিনি।”

তাঁর ছেলে সুহেল রানা ব্রিটিশ সরকারের কাছে তিন বছর ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে **এরশাদ আলীর স্বীকৃতি আনতে সক্ষম হন**।

“এটা শুধু আমার বাবার অপমান নয়”

ভিসা প্রত্যাখ্যানের ঘটনায় হতাশ আতাউর রহমান বলেন, “এটি শুধু আমার বাবার অপমান নয়, বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শহীদ সব সৈন্যের প্রতি অসম্মান।”

তিনি মনে করেন, “ভিসা আবেদন নাকচ করা ছিল ইচ্ছাকৃত। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ।”

আতাউরের বক্তব্য, যদি ব্রিটিশ সরকার তাঁকে বাবার স্মৃতিসৌধে যাওয়ার অনুমতি না দেয়, তবে সেই স্মৃতিসৌধে বাবার নাম থাকারও প্রয়োজন নেই।

back to top