সংঘর্ষে নিহত যুবদলকর্মী হাসিব -সংবাদ
মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিব নামের এক যুবদল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবদলের কর্মী হাসিব চনপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদলের শামীম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের রব্বানীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতভর চলে সংঘর্ষ। এ সময় উভয় পক্ষই গুলি চালায়। এ সময় যুবদলের কর্মী হাসিবসহ উভয় পক্ষের আরও ৩০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে বুধবার সকালে গুলিবিদ্ধ হাসিব মারা যায়। এ ঘটনায় চনপাড়া এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতংকের সৃষ্টি হয়।
নিহত হাসিবের বড় ভাই যুবদল কর্মী বাবু বলেন, মঙ্গলবার রাতে মাদক ব্যবসায়ী রবিনকে এলাকার কয়েকজন আটক করে। এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানী ও তার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে তারা তাদের লোকজন নিয়ে বুধবার সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায় এতে আমার ছোট ভাই হাসিব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
এবিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক মোহাম্মদ শামীম বলেন, আমি এলাকায় নেই শুনেছি রবীন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানীর লোকজন আমার যুবদল কর্মী হাসিবকে গুলি করে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় তার পরিবার আইনি ব্যবস্থা নিবে।
এবিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। রব্বানী আমার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দল করে। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের ‘গ’ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী ইসলাম বলেন,
চনপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শামীম ও রব্বানী গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় আমাদের অভিযান চলছে। দোষী ব্যক্তি যেই হউক না কেন কোন ছাড় দেয়া হবেনা।
সংঘর্ষে নিহত যুবদলকর্মী হাসিব -সংবাদ
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিব নামের এক যুবদল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবদলের কর্মী হাসিব চনপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদলের শামীম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের রব্বানীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতভর চলে সংঘর্ষ। এ সময় উভয় পক্ষই গুলি চালায়। এ সময় যুবদলের কর্মী হাসিবসহ উভয় পক্ষের আরও ৩০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে বুধবার সকালে গুলিবিদ্ধ হাসিব মারা যায়। এ ঘটনায় চনপাড়া এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতংকের সৃষ্টি হয়।
নিহত হাসিবের বড় ভাই যুবদল কর্মী বাবু বলেন, মঙ্গলবার রাতে মাদক ব্যবসায়ী রবিনকে এলাকার কয়েকজন আটক করে। এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানী ও তার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে তারা তাদের লোকজন নিয়ে বুধবার সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায় এতে আমার ছোট ভাই হাসিব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
এবিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক মোহাম্মদ শামীম বলেন, আমি এলাকায় নেই শুনেছি রবীন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানীর লোকজন আমার যুবদল কর্মী হাসিবকে গুলি করে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় তার পরিবার আইনি ব্যবস্থা নিবে।
এবিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। রব্বানী আমার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দল করে। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের ‘গ’ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী ইসলাম বলেন,
চনপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শামীম ও রব্বানী গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় আমাদের অভিযান চলছে। দোষী ব্যক্তি যেই হউক না কেন কোন ছাড় দেয়া হবেনা।