রাজধানীর পল্লবীর বারনটেকের ‘গ্রিন সিটি’ এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে এক নারী সাংবাদিককে সারারাত আটকে রেখে ‘দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের’ অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতের এ ঘটনায় মঙ্গলবার দায়ের করা মামলায় ৮ জনের নাম দিয়ে এবং পরিচয় না দিয়ে আরও ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এনামুল হক (৩৮) ও হামিদুর রহমানকে (৫০) গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছেন পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম। অসামাজিক কাজের সংবাদ সংগ্রহের কথা বলে তাকে ডেকে নেয়া হয়। পরে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত একটি নির্মার্ণাধীন ভবনে আটকে রেখে ‘ধর্ষণ’ করা হয় বলে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। ঘটনার শিকার নারীকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। ওই নারী একটি স্বল্প প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক বলে পুলিশকে পরিচয় দিয়েছেন।
ওসি নজরুল বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি যারা এই মামলার আসামি তাদের কেউ যোগসাজশ করে তাকে ডেকে আনে। এরপর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত একটি নির্মাণাধীন ভবনে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। ‘পরে সকালে তিনি ৯৯৯ এ ফোন করলে প্রথমে সেখানে ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ যায়। পরে ঘটনাস্থল পল্লবী থানায় দেখে ক্যান্টনমেন্ট থানার দলটি ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পল্লবী থানায় দিয়ে যায়।’ গ্রেপ্তার ব্যক্তি ও মামলার আসামিদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরা সবাই ওখানকার কেয়ারটেকার। পুলিশ
বলছে, পল্লবীর ওই জায়গায় অনেক বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
একজনের স্বীকারোক্তি, অন্যজন কারাগারে
ধর্ষণের মামলায় এনামুল হক (৩৮) নামে এক আসামি আদালতে দোষস্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। হামিদুর রহমান রাসেল (৫৩) নামে অপরজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাইয়ূম দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এনামুল হক স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। হামিদুর রহমানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত এনামুল হকের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে হামিদুর রহমানের রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাইয়ূম আদালতে উপস্থিত না থাকায় রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়নি। আগামী ২৩ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। পল্লবী থানার (নারী-শিশু) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
রাজধানীর পল্লবীর বারনটেকের ‘গ্রিন সিটি’ এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে এক নারী সাংবাদিককে সারারাত আটকে রেখে ‘দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের’ অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতের এ ঘটনায় মঙ্গলবার দায়ের করা মামলায় ৮ জনের নাম দিয়ে এবং পরিচয় না দিয়ে আরও ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এনামুল হক (৩৮) ও হামিদুর রহমানকে (৫০) গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছেন পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম। অসামাজিক কাজের সংবাদ সংগ্রহের কথা বলে তাকে ডেকে নেয়া হয়। পরে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত একটি নির্মার্ণাধীন ভবনে আটকে রেখে ‘ধর্ষণ’ করা হয় বলে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। ঘটনার শিকার নারীকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। ওই নারী একটি স্বল্প প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক বলে পুলিশকে পরিচয় দিয়েছেন।
ওসি নজরুল বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি যারা এই মামলার আসামি তাদের কেউ যোগসাজশ করে তাকে ডেকে আনে। এরপর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত একটি নির্মাণাধীন ভবনে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। ‘পরে সকালে তিনি ৯৯৯ এ ফোন করলে প্রথমে সেখানে ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ যায়। পরে ঘটনাস্থল পল্লবী থানায় দেখে ক্যান্টনমেন্ট থানার দলটি ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পল্লবী থানায় দিয়ে যায়।’ গ্রেপ্তার ব্যক্তি ও মামলার আসামিদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরা সবাই ওখানকার কেয়ারটেকার। পুলিশ
বলছে, পল্লবীর ওই জায়গায় অনেক বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
একজনের স্বীকারোক্তি, অন্যজন কারাগারে
ধর্ষণের মামলায় এনামুল হক (৩৮) নামে এক আসামি আদালতে দোষস্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। হামিদুর রহমান রাসেল (৫৩) নামে অপরজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাইয়ূম দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এনামুল হক স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। হামিদুর রহমানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত এনামুল হকের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে হামিদুর রহমানের রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাইয়ূম আদালতে উপস্থিত না থাকায় রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়নি। আগামী ২৩ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। পল্লবী থানার (নারী-শিশু) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।