হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার সংবিধান অনুযায়ী তাকে অপসারণ করা হয়, যা পরদিন আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এর আগে, ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্টের ১২ জন বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান, যাদের মধ্যে খিজির হায়াতও ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাদের অপসারণের দাবি উঠেছিল।
গত ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল কাজ শুরু করবে। এর আগে, ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে, হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। তবে তখন বিচারকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
বিচারপতি অপসারণের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কের মধ্যে ছিল। ২০১৭ সালে আপিল বিভাগের এক রায়ে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেওয়া হয়েছিল, যা পরে আদালতে বাতিল হয়।
গত ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগ এক রায়ে বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করে, ফলে বিচারপতি অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতার সমাধান হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগ ওই রায়ের পুনর্বিবেচনা করে এবং বিচারপতি অপসারণের জন্য সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের ক্ষমতা পুনর্বহাল করে।
এর আগে, ২০১৯ সালে অভিযোগের কারণে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হককে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘদিন তারা বিচারিক দায়িত্ব পালন করেননি। নতুন সরকারের আমলে ১৯ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাদের পদত্যাগের বিষয়টি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার সংবিধান অনুযায়ী তাকে অপসারণ করা হয়, যা পরদিন আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এর আগে, ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্টের ১২ জন বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান, যাদের মধ্যে খিজির হায়াতও ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাদের অপসারণের দাবি উঠেছিল।
গত ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল কাজ শুরু করবে। এর আগে, ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে, হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। তবে তখন বিচারকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
বিচারপতি অপসারণের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কের মধ্যে ছিল। ২০১৭ সালে আপিল বিভাগের এক রায়ে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেওয়া হয়েছিল, যা পরে আদালতে বাতিল হয়।
গত ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগ এক রায়ে বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করে, ফলে বিচারপতি অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতার সমাধান হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগ ওই রায়ের পুনর্বিবেচনা করে এবং বিচারপতি অপসারণের জন্য সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের ক্ষমতা পুনর্বহাল করে।
এর আগে, ২০১৯ সালে অভিযোগের কারণে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হককে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘদিন তারা বিচারিক দায়িত্ব পালন করেননি। নতুন সরকারের আমলে ১৯ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাদের পদত্যাগের বিষয়টি জানানো হয়।