জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এতে দলটি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুর ওপর জোর দিয়েছে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বৃহস্পতিবার সকালে সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজের কাছে দলের মতামত জমা দেন।
প্রস্তাব জমা দেয়ার পরে মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ব্যাখ্যাসহ আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছি। আমিরে জামায়াতসহ নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত একটি অর্থবহ নির্বাচন দেয়ার জন্য বারবার বলে আসছেন।’
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি
সংখ্যানুপাতিক (আনুপাতিক) প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে একটি দল সারাদেশে সব আসনে মিলিয়ে যত ভোট পাবে, তার আনুপাতে সংসদে ঐ দলের আসন সংখ্যা নির্ধারিত হবে। এই পদ্ধতি চালু হলে, বাংলাদেশে ৩০০ সংসদীয় আসনের হিসেবে সব আসনে মোট কাস্ট হওয়া (পড়া) ভোটের এক শতাংশ পেলেই একটি দল সংসদে তিনটি আসন পাবে।
সংসদীয় পদ্ধতি
দেশে প্রচলিত সংসদীয় পদ্ধতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান যা-ই হোক, একটি আসনে যে দলের প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনি ওই আসনে সংসদ সদস্য হবেন। এই পদ্ধতিতে ওই আসনের মোট ভোটের বিশ শতাংশ পেয়েও একজন প্রার্থী জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারেন। এতে ৮০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন না পেয়েও একটি
দল সংসদে একটি আসন পেতে পারে। বাকি সব দলের প্রাপ্তি এখানে শূন্য।
মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। আজ আমরা পাঁচটি বিষয়ের ওপর আমাদের মতামত তুলে ধরেছি। কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা একমত হতে পারিনি। আবার অনেক বিষয়েই একমত হয়েছি।’
*জামায়াতের আশা*
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন বলে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী আশা করে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ শুরু করবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে। গত বছর জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনায় দায়িত্ব নেয়া এই সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এরমধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কারের জন্যে গঠিত ছয় কমিশন তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে আসা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর গত ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত জানাতে ৩৮টি দলকে অনুরোধ জানিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। সেসব সুপারিশ ও মতামত নিয়ে আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে কমিশন। তবে বিএনপিসহ বেশকিছু দল এখনও তাদের মতামত দেয়নি।
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এতে দলটি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুর ওপর জোর দিয়েছে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বৃহস্পতিবার সকালে সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজের কাছে দলের মতামত জমা দেন।
প্রস্তাব জমা দেয়ার পরে মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ব্যাখ্যাসহ আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছি। আমিরে জামায়াতসহ নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত একটি অর্থবহ নির্বাচন দেয়ার জন্য বারবার বলে আসছেন।’
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি
সংখ্যানুপাতিক (আনুপাতিক) প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে একটি দল সারাদেশে সব আসনে মিলিয়ে যত ভোট পাবে, তার আনুপাতে সংসদে ঐ দলের আসন সংখ্যা নির্ধারিত হবে। এই পদ্ধতি চালু হলে, বাংলাদেশে ৩০০ সংসদীয় আসনের হিসেবে সব আসনে মোট কাস্ট হওয়া (পড়া) ভোটের এক শতাংশ পেলেই একটি দল সংসদে তিনটি আসন পাবে।
সংসদীয় পদ্ধতি
দেশে প্রচলিত সংসদীয় পদ্ধতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান যা-ই হোক, একটি আসনে যে দলের প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনি ওই আসনে সংসদ সদস্য হবেন। এই পদ্ধতিতে ওই আসনের মোট ভোটের বিশ শতাংশ পেয়েও একজন প্রার্থী জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারেন। এতে ৮০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন না পেয়েও একটি
দল সংসদে একটি আসন পেতে পারে। বাকি সব দলের প্রাপ্তি এখানে শূন্য।
মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। আজ আমরা পাঁচটি বিষয়ের ওপর আমাদের মতামত তুলে ধরেছি। কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা একমত হতে পারিনি। আবার অনেক বিষয়েই একমত হয়েছি।’
*জামায়াতের আশা*
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন বলে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী আশা করে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ শুরু করবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে। গত বছর জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনায় দায়িত্ব নেয়া এই সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এরমধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কারের জন্যে গঠিত ছয় কমিশন তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে আসা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর গত ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত জানাতে ৩৮টি দলকে অনুরোধ জানিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। সেসব সুপারিশ ও মতামত নিয়ে আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে কমিশন। তবে বিএনপিসহ বেশকিছু দল এখনও তাদের মতামত দেয়নি।