alt

বসুন্ধরার সাব্বির হত্যা: ঘুষের মামলায় তারেক, বাবরসহ সবাই খালাস

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

বসুন্ধরা গ্রুপের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সাব্বির আহমেদ হত্যা মামলার আসামিদের বাঁচাতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নেয়ার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবরসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন- বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম ও তার দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান এবং সাদাত সোবহান, আবু সুফিয়ান, কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সহকারী সচিব (এপিএস) মিয়া নুরুদ্দিন অপু।

তাদের মধ্যে আবু সুফিয়ান, কাজী সলিমুল হক কামাল এদিন আদালতে হাজির ছিলেন। জামিনে থাকা অপর আসামিদের পক্ষে সময় আবেদন করা হয় বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন জানান।

২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৬ সালের ৪ জুলাই সাব্বির খুন হওয়ার পর আসামি সাফিয়াত সোবহান লন্ডনে পালিয়ে যান এবং তার বাবা আকবর সোবহান ছেলেকে বাঁচাতে নানামুখি তদবির শুরু করেন। এ কারণে মামলার তদন্তে ‘স্থবিরতা’ দেখা দেয়।

দুদক সে সময় বলেছিল, ঘটনা ধামাচাপা দিতে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের সঙ্গে বেইলি রোডে ‘বৈঠক করেন’ শাহ আলম। বৈঠকে শাহ আলমের কাছে ‘১০০ কোটি টাকা দাবি করেন ‘তারেক ও বাবর। পরে তাদের মধ্যে ‘৫০ কোটি টাকার চুক্তি’ হয়।

অভিযোগে বলা হয়, চুক্তি অনুসারে শাহ আলমের কাছ থেকে বাবর ‘২১ কোটি টাকা’ নেন। এর মধ্যে এক কোটি টাকা তারেকের পিএস অপুকে ‘বুঝিয়ে দেন’ বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান। বাবর ৫ কোটি টাকা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে ‘নগদ গ্রহণ করে’ কাজী সালিমুল হক কামালের কাছে ‘জমা রাখেন’। বাকি ১৫ কোটি টাকা বাবরের নির্দেশে আবু সুফিয়ান প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সালিমুল হক কামালকে ‘২০টি চেকের মাধ্যমে’ দেন।

২০০৮ সালের ১৪ জুলাই আদালত ওই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করে আসামিদের বিচার শুরু করে। কিন্তু পরে দীর্ঘদিন এ মামলার বিচার ঝুলে থাকে।

২০০৬ সালের ৪ জুলাই রাতে গুলশানের একটি বাড়িতে খুন হন বসুন্ধরা টেলিকমিউনিকেশসন্স নেটওয়ার্ক লিমিটেডের পরিচালক সাব্বির। এর তিন দিন পর নিহতের ভগ্নিপতি এএফএম আসিফ এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. আরমান আলী ২০০৮ সালের ১২ মে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন। সেখানে বলা হয়, গুলশানের ১০৪ নম্বর সড়কে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ৩/জি নম্বর বাসার ছাদ থেকে সাব্বিরকে ফেলে দেয়া হয়।

ওই মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে সাফিয়াত সোবহানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

রাষ্ট্রপক্ষ উপযুক্ত সাক্ষী হাজির করতে ‘ব্যর্থ হওয়ায়’ ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাঁচ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ওই রায় কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০১৬ সালে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। তবে পরে আর বিষয়টি এগোয়নি।

ছবি

নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা স্বৈরাচারের দোসর : শফিকুল আলম

সাঁওতাল হত্যা দিবস: তিন হত্যার বিচার দাবি, সাঁওতালদের বিক্ষোভ

ছবি

আধুনিক অর্থনীতির ভিত্তি তৈরিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা ব্যাপক অবদান রাখছেন: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া ভোট করা যায় না, আমাদের ভাবতে হয়: আসিফ

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় নিয়ে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন: কমিশনের প্রতিবাদ

ছবি

ইসি শতভাগ প্রস্তুত, ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব: মাছউদ

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন: প্রেস সচিব

ছবি

আইআরআইয়ের প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন প্রতিবেদন, বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচনী পরিবেশ এখনও নাজুক

ছবি

মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করলেন সেতু বিভাগের সচিব

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায় ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ দেয়া হয়েছিল দাবি অ্যাটর্নি জেনারেলের

হালদা নদীকে মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: দলগুলোকে দায়িত্ব দেয়ার চার দিনেও অগ্রগতি নেই

ছবি

শতভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে বড় বাধা দুর্বল আইন, শক্তিশালীকরণের দাবি

ছবি

ইন্টারনেট বন্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, বিলুপ্ত হচ্ছে এনটিএমসি

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪ জন

ছবি

আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনও কাজ হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

জুলাইযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমকে নির্যাতনের অভিযোগে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

ছবি

সাবেক বিচারপতিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১,০৬৯ জন

জামিনে মুক্তি পাওয়া আ’লীগ নেতারা অপরাধে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: উপদেষ্টা

ছবি

তদন্ত প্রতিবেদন: পাইলটের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়

ছবি

বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার আগ্রহ আয়ারল্যান্ডের

ছবি

নির্বাচন হলে দেশে স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে, আশা সেনাবাহিনীর

ছবি

অগ্নিঝুঁকিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের পণ্যাগার, ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ, নিরাপত্তা জোরদার

ছবি

নির্বাচন হলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে, সেনাবাহিনী ফিরবে ব্যারাকে: জিওসি মাইনুর রহমান

ছবি

নিষিদ্ধ দলের মিছিলের চেষ্টা করলে আইনের কঠোর প্রয়োগ: প্রেস সচিব

দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতা: হাই কোর্টের বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের অপসারণ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে একদিনে প্রাণ গেল ১০ জনের

ছবি

আইসিটি মামলায় আটক ১৫ সেনা কর্মকর্তার চাকরি নিয়ে সেনাসদরের ব্যাখ্যা: “এটি একটি আইনগত প্রক্রিয়া”

ছবি

১৪ মাসে ৪০ বিচারবহির্ভূত হত্যা, আইনের মাধ্যমে ফয়সালা করা হবে: স্বরাষ্ট্র্র উপদেষ্টা

ছবি

আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি: বিএনপির আপত্তি আমলে নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার

কোটা আন্দোলনে হামলায় ঢাবির আরও ২৭৫ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত

ছবি

নির্বাচন: দেড় লাখের মধ্যে ৪৮ হাজার পুলিশের প্রশিক্ষণ শেষ

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় তিনবারেও সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থ প্রসিকিউশন

ছবি

নভেম্বর মাসেও কমছে না ডেঙ্গু, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

tab

বসুন্ধরার সাব্বির হত্যা: ঘুষের মামলায় তারেক, বাবরসহ সবাই খালাস

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

বসুন্ধরা গ্রুপের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সাব্বির আহমেদ হত্যা মামলার আসামিদের বাঁচাতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নেয়ার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবরসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন- বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম ও তার দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান এবং সাদাত সোবহান, আবু সুফিয়ান, কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সহকারী সচিব (এপিএস) মিয়া নুরুদ্দিন অপু।

তাদের মধ্যে আবু সুফিয়ান, কাজী সলিমুল হক কামাল এদিন আদালতে হাজির ছিলেন। জামিনে থাকা অপর আসামিদের পক্ষে সময় আবেদন করা হয় বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন জানান।

২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৬ সালের ৪ জুলাই সাব্বির খুন হওয়ার পর আসামি সাফিয়াত সোবহান লন্ডনে পালিয়ে যান এবং তার বাবা আকবর সোবহান ছেলেকে বাঁচাতে নানামুখি তদবির শুরু করেন। এ কারণে মামলার তদন্তে ‘স্থবিরতা’ দেখা দেয়।

দুদক সে সময় বলেছিল, ঘটনা ধামাচাপা দিতে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের সঙ্গে বেইলি রোডে ‘বৈঠক করেন’ শাহ আলম। বৈঠকে শাহ আলমের কাছে ‘১০০ কোটি টাকা দাবি করেন ‘তারেক ও বাবর। পরে তাদের মধ্যে ‘৫০ কোটি টাকার চুক্তি’ হয়।

অভিযোগে বলা হয়, চুক্তি অনুসারে শাহ আলমের কাছ থেকে বাবর ‘২১ কোটি টাকা’ নেন। এর মধ্যে এক কোটি টাকা তারেকের পিএস অপুকে ‘বুঝিয়ে দেন’ বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান। বাবর ৫ কোটি টাকা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে ‘নগদ গ্রহণ করে’ কাজী সালিমুল হক কামালের কাছে ‘জমা রাখেন’। বাকি ১৫ কোটি টাকা বাবরের নির্দেশে আবু সুফিয়ান প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সালিমুল হক কামালকে ‘২০টি চেকের মাধ্যমে’ দেন।

২০০৮ সালের ১৪ জুলাই আদালত ওই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করে আসামিদের বিচার শুরু করে। কিন্তু পরে দীর্ঘদিন এ মামলার বিচার ঝুলে থাকে।

২০০৬ সালের ৪ জুলাই রাতে গুলশানের একটি বাড়িতে খুন হন বসুন্ধরা টেলিকমিউনিকেশসন্স নেটওয়ার্ক লিমিটেডের পরিচালক সাব্বির। এর তিন দিন পর নিহতের ভগ্নিপতি এএফএম আসিফ এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. আরমান আলী ২০০৮ সালের ১২ মে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন। সেখানে বলা হয়, গুলশানের ১০৪ নম্বর সড়কে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ৩/জি নম্বর বাসার ছাদ থেকে সাব্বিরকে ফেলে দেয়া হয়।

ওই মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে সাফিয়াত সোবহানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

রাষ্ট্রপক্ষ উপযুক্ত সাক্ষী হাজির করতে ‘ব্যর্থ হওয়ায়’ ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাঁচ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ওই রায় কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০১৬ সালে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। তবে পরে আর বিষয়টি এগোয়নি।

back to top