alt

সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা: এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড

‘মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এই আসামির কাছে কোনো নারী ও শিশু নিরাপদ নয়, এই আসামির পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই,’ রায় পর্যবেক্ষণে আদালত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

আট বছর আগে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক রোকসানা বেগম হ্যাপি বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি রফিকুল

ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাজ্জাদ হোসেন সবুজ।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, সাত বছরের শিশুকে আসামি হাত-পা বেঁধে, মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে, ঘাড় মটকে, পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করে। এই আসামির পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। পৃথিবীর আলোবাতাস গ্রহণের কোনও অধিকার নেই।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত আরও বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এই আসামির কাছে কোনও নারী ও শিশু নিরাপদ নয়। তাকে এই শাস্তির মাধ্যমে এই ট্রাইব্যুনাল সমাজের কাছে এ দৃষ্টান্ত ও সংবাদ পৌঁছে দিতে চান যে নারী ও শিশুর প্রতি এ জাতীয় নৃশংস অপরাধের বিচার হয়।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, সাত বছরের শিশুটি যাত্রাবাড়ীতে তার মা-বাবার সঙ্গে বসবাস করত। গত ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর সকাল ছয়টার সময় শিশুটি তাদের বাসার পাশের বাথরুমে যায়। বাথরুমে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পরেও শিশুটি বাসায় না ফিরে আসায় শিশুটির মা-বাবা তাকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে অজ্ঞাত একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে শিশুটির মা-বাবাকে ফোন দেয় এক ব্যক্তি। একবার শুধু বলেছিল, সে জানে শিশুটি কোথায়। কোথাও খোঁজ না পেয়ে পুলিশকে জানান শিশুটির মা-বাবা।

পরে পুলিশ এসে শিশুটির বাসার পাশের ভাড়াটে রফিকুলের কক্ষের দরজা ভেঙে ফেলে। পুলিশ শিশুটিকে ওই কক্ষের ভেতরেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার মামলা করলে পুলিশ রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে।

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার হাতে ১২ তরুণ পেলেন ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’

ছবি

ইসিতে নিবন্ধন: নতুন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চলছে

ছবি

সেপ্টেম্বরের শেষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

ছবি

দ্বিমতের কোনো জায়গা নাই, এই সুযোগ আর আসবে না: ইউনূস

ছবি

নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারিত সময়ের আগেই

ছবি

মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোতে ১১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাত: ১৩ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সিদ্ধান্ত

ছবি

টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি: দেড় মাসে নিবন্ধন প্রায় ৮৯ লাখ শিশু

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যোগদান

ছবি

মানুষের জন্ম উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

আসামের ভূমিকম্পে কাঁপলো বাংলাদেশ

ছবি

নারীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ২০ বছর করার ভাবনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

সাগরে লঘুচাপ, ছয় বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই: উপদেষ্টা

ছবি

মরমী সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন মারা গেছেন

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৩৭ হাজার ছাড়াল, চলতি বছর মৃতের সংখ্যা ১৪৭

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ডিআইজি ও মেহেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলাম কারাগারে

ছবি

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রবেশে নতুন নিয়ম

ছবি

লন্ডনে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজের গাড়িতে ছুঁড়ে মারা হলে ডিম

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ছবি

কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি সেবা চালু

ছবি

পল্লী বিদ্যুতের ‘গণছুটি’ কর্মসূচি স্থগিত, কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান

ছবি

ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন, এটি আমাদের কমিটমেন্ট: প্রেস সচিব

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গুরুত্ব আরোপ প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের

ছবি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ধর্ম উপদেষ্টার

ছবি

বিদিশার গাড়ি চুরি মামলার আসামিকে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে

ছবি

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়লো

ছবি

ঐকমত্য ছাড়াই ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শেষ

ছবি

৪৮তম বিশেষ বিসিএসের ফল: চিকিৎসক নিয়োগে সুপারিশ পেলেন ৩,১২০ জন

ছবি

নেপালে মারধর ও লুটের শিকার এক বাংলাদেশি পরিবার

ছবি

ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ, ‘ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে’ কমেছে ভোটকক্ষের সংখ্যা

ছবি

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

হাই কোর্টের আদেশ: পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ স্থগিত

ছবি

কাতারে ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি

জুলাই সনদ: দলগুলোর সঙ্গে ফের বসবে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

১৬ বছরেই মিলবে জাতীয় পরিচয়পত্র: ইসি

ছবি

২০ জনের হাত বা পা কাটতে হয়েছিল, ট্রাইব্যুনালে চিকিৎসকের ভাষ্য

tab

news » national

সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা: এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড

‘মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এই আসামির কাছে কোনো নারী ও শিশু নিরাপদ নয়, এই আসামির পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই,’ রায় পর্যবেক্ষণে আদালত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

আট বছর আগে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক রোকসানা বেগম হ্যাপি বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি রফিকুল

ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাজ্জাদ হোসেন সবুজ।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, সাত বছরের শিশুকে আসামি হাত-পা বেঁধে, মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে, ঘাড় মটকে, পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করে। এই আসামির পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। পৃথিবীর আলোবাতাস গ্রহণের কোনও অধিকার নেই।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত আরও বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এই আসামির কাছে কোনও নারী ও শিশু নিরাপদ নয়। তাকে এই শাস্তির মাধ্যমে এই ট্রাইব্যুনাল সমাজের কাছে এ দৃষ্টান্ত ও সংবাদ পৌঁছে দিতে চান যে নারী ও শিশুর প্রতি এ জাতীয় নৃশংস অপরাধের বিচার হয়।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, সাত বছরের শিশুটি যাত্রাবাড়ীতে তার মা-বাবার সঙ্গে বসবাস করত। গত ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর সকাল ছয়টার সময় শিশুটি তাদের বাসার পাশের বাথরুমে যায়। বাথরুমে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পরেও শিশুটি বাসায় না ফিরে আসায় শিশুটির মা-বাবা তাকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে অজ্ঞাত একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে শিশুটির মা-বাবাকে ফোন দেয় এক ব্যক্তি। একবার শুধু বলেছিল, সে জানে শিশুটি কোথায়। কোথাও খোঁজ না পেয়ে পুলিশকে জানান শিশুটির মা-বাবা।

পরে পুলিশ এসে শিশুটির বাসার পাশের ভাড়াটে রফিকুলের কক্ষের দরজা ভেঙে ফেলে। পুলিশ শিশুটিকে ওই কক্ষের ভেতরেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার মামলা করলে পুলিশ রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে।

back to top