ছবি: সংগৃহিত
বাংলাদেশের গণমাধ্যম খাতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশসহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে।
দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ এবং অন্যান্য সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে যেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চাই। এজন্য আমি চাইবো কমিশন আশু করণীয় বা দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো আলাদাভাবে আমাদের কাছে পেশ করুক।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এবং আগ্রহী বিদেশিরা দেখতে পারেন, সে ব্যবস্থা নেবে সরকার।"
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এই তথ্য জানানো হয়।
সারাদেশ থেকে মতামত নিয়ে তৈরি সুপারিশ
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ জানান, সারাদেশে মতবিনিময় এবং জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতেই সুপারিশমালা তৈরি করা হয়েছে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার গণমাধ্যমকে আরও স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে প্রস্তাব তৈরির উদ্দেশ্যে এই কমিশন গঠন করে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন—
- অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- শামসুল হক জাহিদ, সম্পাদক, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস
- আখতার হোসেন খান, সচিব, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)
- অ্যাটকো প্রতিনিধি
- সৈয়দ আবদাল আহমেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
- ফাহিম আহমেদ, সিইও, যমুনা টেলিভিশন
- জিমি আমির, আহ্বায়ক, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্ক
- মোস্তফা সবুজ, প্রতিনিধি, দ্য ডেইলি স্টার
- টিটু দত্ত গুপ্ত, উপসম্পাদক, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
- আবদুল্লাহ আল মামুন, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে দুই ধাপে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে।
গত অক্টোবরে প্রথম ধাপে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদন ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
এরপর ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনসহ আরও পাঁচটি কমিশন গঠন করা হয়।
এর মধ্যে ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার’ কমিশনের প্রাথমিক সুপারিশের প্রতিবেদন জমা পড়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি। এবার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা হলো। স্বাস্থ্য, শ্রম ও নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এখনো বাকি রয়েছে।
প্রতিটি কমিশনের উদ্দেশ্য সংশ্লিষ্ট খাতে কাঠামোগত সংস্কারের জন্য সুপারিশ তৈরি করা, যা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাস্তবায়নের পথ দেখাবে।
ছবি: সংগৃহিত
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের গণমাধ্যম খাতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশসহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে।
দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ এবং অন্যান্য সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে যেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চাই। এজন্য আমি চাইবো কমিশন আশু করণীয় বা দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো আলাদাভাবে আমাদের কাছে পেশ করুক।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এবং আগ্রহী বিদেশিরা দেখতে পারেন, সে ব্যবস্থা নেবে সরকার।"
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এই তথ্য জানানো হয়।
সারাদেশ থেকে মতামত নিয়ে তৈরি সুপারিশ
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ জানান, সারাদেশে মতবিনিময় এবং জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতেই সুপারিশমালা তৈরি করা হয়েছে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার গণমাধ্যমকে আরও স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে প্রস্তাব তৈরির উদ্দেশ্যে এই কমিশন গঠন করে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন—
- অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- শামসুল হক জাহিদ, সম্পাদক, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস
- আখতার হোসেন খান, সচিব, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)
- অ্যাটকো প্রতিনিধি
- সৈয়দ আবদাল আহমেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
- ফাহিম আহমেদ, সিইও, যমুনা টেলিভিশন
- জিমি আমির, আহ্বায়ক, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্ক
- মোস্তফা সবুজ, প্রতিনিধি, দ্য ডেইলি স্টার
- টিটু দত্ত গুপ্ত, উপসম্পাদক, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
- আবদুল্লাহ আল মামুন, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে দুই ধাপে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে।
গত অক্টোবরে প্রথম ধাপে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদন ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
এরপর ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনসহ আরও পাঁচটি কমিশন গঠন করা হয়।
এর মধ্যে ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার’ কমিশনের প্রাথমিক সুপারিশের প্রতিবেদন জমা পড়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি। এবার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা হলো। স্বাস্থ্য, শ্রম ও নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এখনো বাকি রয়েছে।
প্রতিটি কমিশনের উদ্দেশ্য সংশ্লিষ্ট খাতে কাঠামোগত সংস্কারের জন্য সুপারিশ তৈরি করা, যা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাস্তবায়নের পথ দেখাবে।