গাজীপুরের ভোগড়া ও শ্রীপুরে আলাদা দুটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শ্রীপুরে এক অপারেটরকে মারধরের বিচারসহ ১২ দফা দাবিতে ও ভোগড়ায় কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।
এসময় ওই মহাসড়কে যান চলাচল হয়ে যায়, দীর্ঘ যানজটে নাকাল হন যাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোগড়াতে জায়ান্ট নীট ফ্যাশন নামের কারখানায় গত কয়েকদিন আগে শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে বাকবিতন্ডা জেরে কারখানার তিন কর্মকর্তাকে মারধর করেন শ্রমিকেরা। এ ঘটনার জেরে শনিবার থেকে ওই কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয় । সকালে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক এসে অবস্থান নিয়ে সকাল সাড়ে আটটা থেকে অবরোধ সৃষ্টি করে। এসময় প্রায় আধা ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে গত ২০ মার্চ ওই কারখানার শ্রমিকরা ঈদ বোনাস না দেয়ায় এবং ১০ দিনের ছুটির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে। এছাড়া শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ম্যানেজমেন্টের তিনজন কর্মকর্তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় যৌথবাহিনী ৪ জন শ্রমিককে আটক করে পরবর্তীতে ছেড়ে দিয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে । অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় ৮-১০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, শ্রীপুরের নয়নপুরে এক্সিস নীটওয়্যারস লিমিটেড নামের কারখানার শ্রমিকরা এক অপারেটরকে মারধরের প্রতিবাদসহ ১২ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ শুরু করেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, উপজেলার নয়নপুর এলাকার এক্সিস নীটওয়্যারস লিমিটেড নামের কারখানার অপারেটর মোশারফ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। সুস্থ্য হয়ে কাজে যোগ দিয়ে শনিবার বেলা ১১টার দিকে প্রাকৃতিক কাজ সারতে কারখানার শৌচাগারে যান। শৌচাগারে সময় বেশি কাটানো হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ওই কারখানার সুপারভাইজার আল আমিনকে। এক পর্যায়ে অপারেটর মোশারফকে মারধর করা হলে অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় তানিয়া মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এই ঘটনার প্রতিবাদ ও শ্রমিকরা সম্পূর্ণ ছুটির টাকা, ঈদে ১২ দিনের ছুটি, এক হাজার টাকা হাজিরা বোনাস, সুপারভাইজার ফৌরদৌস, আল আমিন, নজরুল ও সোহাগকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়াসহ ১২টি দাবি উপস্থাপন করেন শ্রমিকরা।
এসময় অভিযুক্ত সুপারভাইজার আল-আমিনের শাস্তির দাবিতে কারখানার প্রায় ২ হাজার শ্রমিক বিক্ষুব্দ হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে শিল্প পুলিশ, মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ ও শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি আইয়ুব আলী বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষের আলোচনা করা হয়েছে। শ্রমিকরা যে দাবিগুলো উপস্থাপন করেছেন তা নিয়ে আলোচনা করার আশ্বাস দেয়া হলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যায়। এরপর বিকাল পৌনে ৩টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
গাজীপুরের ভোগড়া ও শ্রীপুরে আলাদা দুটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শ্রীপুরে এক অপারেটরকে মারধরের বিচারসহ ১২ দফা দাবিতে ও ভোগড়ায় কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।
এসময় ওই মহাসড়কে যান চলাচল হয়ে যায়, দীর্ঘ যানজটে নাকাল হন যাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোগড়াতে জায়ান্ট নীট ফ্যাশন নামের কারখানায় গত কয়েকদিন আগে শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে বাকবিতন্ডা জেরে কারখানার তিন কর্মকর্তাকে মারধর করেন শ্রমিকেরা। এ ঘটনার জেরে শনিবার থেকে ওই কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয় । সকালে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক এসে অবস্থান নিয়ে সকাল সাড়ে আটটা থেকে অবরোধ সৃষ্টি করে। এসময় প্রায় আধা ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে গত ২০ মার্চ ওই কারখানার শ্রমিকরা ঈদ বোনাস না দেয়ায় এবং ১০ দিনের ছুটির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে। এছাড়া শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ম্যানেজমেন্টের তিনজন কর্মকর্তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় যৌথবাহিনী ৪ জন শ্রমিককে আটক করে পরবর্তীতে ছেড়ে দিয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে । অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় ৮-১০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, শ্রীপুরের নয়নপুরে এক্সিস নীটওয়্যারস লিমিটেড নামের কারখানার শ্রমিকরা এক অপারেটরকে মারধরের প্রতিবাদসহ ১২ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ শুরু করেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, উপজেলার নয়নপুর এলাকার এক্সিস নীটওয়্যারস লিমিটেড নামের কারখানার অপারেটর মোশারফ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। সুস্থ্য হয়ে কাজে যোগ দিয়ে শনিবার বেলা ১১টার দিকে প্রাকৃতিক কাজ সারতে কারখানার শৌচাগারে যান। শৌচাগারে সময় বেশি কাটানো হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ওই কারখানার সুপারভাইজার আল আমিনকে। এক পর্যায়ে অপারেটর মোশারফকে মারধর করা হলে অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় তানিয়া মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এই ঘটনার প্রতিবাদ ও শ্রমিকরা সম্পূর্ণ ছুটির টাকা, ঈদে ১২ দিনের ছুটি, এক হাজার টাকা হাজিরা বোনাস, সুপারভাইজার ফৌরদৌস, আল আমিন, নজরুল ও সোহাগকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়াসহ ১২টি দাবি উপস্থাপন করেন শ্রমিকরা।
এসময় অভিযুক্ত সুপারভাইজার আল-আমিনের শাস্তির দাবিতে কারখানার প্রায় ২ হাজার শ্রমিক বিক্ষুব্দ হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে শিল্প পুলিশ, মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ ও শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি আইয়ুব আলী বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষের আলোচনা করা হয়েছে। শ্রমিকরা যে দাবিগুলো উপস্থাপন করেছেন তা নিয়ে আলোচনা করার আশ্বাস দেয়া হলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যায়। এরপর বিকাল পৌনে ৩টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।