জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। পাশাপাশি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৫১টিতে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছেন দলটির প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম।
রবিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে বৈঠকটি চলে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত, যেখানে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাত সদস্য প্রতিনিধিত্ব করেন।
হাসনাত কাইয়ুম জানান, সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে তা গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে তারা রাজি। তিনি বলেন, “আমরা চাই, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের সঙ্গে সংবিধান সংস্কার হোক, যেন এটি নির্বাচিত সংসদের হাতে চলে না যায়।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ১৫১টিতে একমত, ১০টিতে আংশিকভাবে একমত, আর ৫টিতে দ্বিমত পোষণ করেছে। এছাড়া দলটি দুটি অতিরিক্ত মতামতও দিয়েছে।
জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন, পুলিশ, স্থানীয় সরকার ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখন স্বাস্থ্য, শ্রম ও নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া বাকি।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের জন্য জেলায় নাগরিক আদালত গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুরনো ১৯টি জেলায় জেলা সরকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব এসেছে, যা প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাবে। পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদলে বিশেষ অর্থনৈতিক ট্রাইবুনাল গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছে দলটি।
সংবিধানের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ নীতিমালার শিরোনাম পরিবর্তন করে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ করা হতে পারে বলে আলোচনা হয়েছে বলে জানান কাইয়ুম। তবে সংবিধানের অন্যান্য অংশ আগের মতোই থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ছয় মাসের মধ্যে সম্ভব বলে মনে করেন কাইয়ুম। তবে বিএনপির অভিযোগ—সংস্কারের নামে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানোর চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে কাইয়ুম বলেন, “আমরা জাতীয় সংবিধান কাউন্সিল (এনসিসি)-এর পক্ষে। স্বাভাবিক অবস্থায় এতে নির্বাচিত প্রতিনিধিই বেশি থাকবে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অনির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যা বেশি মনে হতে পারে, যা তাদের ধারণার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ নয়।”
সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। পাশাপাশি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৫১টিতে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছেন দলটির প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম।
রবিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে বৈঠকটি চলে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত, যেখানে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাত সদস্য প্রতিনিধিত্ব করেন।
হাসনাত কাইয়ুম জানান, সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে তা গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে তারা রাজি। তিনি বলেন, “আমরা চাই, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের সঙ্গে সংবিধান সংস্কার হোক, যেন এটি নির্বাচিত সংসদের হাতে চলে না যায়।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ১৫১টিতে একমত, ১০টিতে আংশিকভাবে একমত, আর ৫টিতে দ্বিমত পোষণ করেছে। এছাড়া দলটি দুটি অতিরিক্ত মতামতও দিয়েছে।
জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন, পুলিশ, স্থানীয় সরকার ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখন স্বাস্থ্য, শ্রম ও নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া বাকি।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের জন্য জেলায় নাগরিক আদালত গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুরনো ১৯টি জেলায় জেলা সরকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব এসেছে, যা প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাবে। পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদলে বিশেষ অর্থনৈতিক ট্রাইবুনাল গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছে দলটি।
সংবিধানের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ নীতিমালার শিরোনাম পরিবর্তন করে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ করা হতে পারে বলে আলোচনা হয়েছে বলে জানান কাইয়ুম। তবে সংবিধানের অন্যান্য অংশ আগের মতোই থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ছয় মাসের মধ্যে সম্ভব বলে মনে করেন কাইয়ুম। তবে বিএনপির অভিযোগ—সংস্কারের নামে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানোর চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে কাইয়ুম বলেন, “আমরা জাতীয় সংবিধান কাউন্সিল (এনসিসি)-এর পক্ষে। স্বাভাবিক অবস্থায় এতে নির্বাচিত প্রতিনিধিই বেশি থাকবে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অনির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যা বেশি মনে হতে পারে, যা তাদের ধারণার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ নয়।”
সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।