ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন ও তার স্ত্রী রিজওয়ানা নূরের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মোট ১৬ কোটি ৪২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হচ্ছে।
অনুমোদনের তথ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,‘মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’ খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে প্রায় ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তার তিনটি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়ার অভিযোগও এনেছে দুদক।
খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অর্থপাচারের মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাড়ি কিনেছেন। খোকনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রায় ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার তিনটি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ কোটি ১২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়ার কথাও বলছে দুদক।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর খোকনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ৯ অক্টোবর তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। অনুসন্ধানের ভিত্তিতে দুদক বলছে, খোকনের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও রয়েছে। আশরাফুল আলম খোকন ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব পদে চুক্তিতে যোগ দেন। পরে বিভিন্ন সময় তার মেয়াদ ও গ্রেড বাড়ানো হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার করা অব্যাহতির আবেদন গ্রহণ করে ছুটিতে পাঠানোর খবর পাওয়া যায়। আশরাফুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেন। তিনি দীর্ঘদিন চ্যানেল আইয়ে কর্মরত ছিলেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আহতও হয়েছিলেন তিনি।
মামলার অনুমোদনের পর খোকন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন,‘শুনলাম, দুদক আমার বিরুদ্ধে ১৩ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা করেছে! অভিযোগের ভিত্তি আমেরিকায় আমার বাড়ির বর্তমান বাজারমূল্য ১৩ কোটি টাকা।
‘কিন্তু তারা কি জানে, আমেরিকাতে আমি বাড়ির মালিক ২০১১ সালে, আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগ দিয়েছি ২০১৩ সালে? তাছাড়া, আমেরিকায় মাত্র ১০% ডাউনপেমেন্ট দিয়ে বাড়ি কেনা যায়, বাকি টাকা বাড়ি ভাড়ার মতো করে ৩০ বছরে শোধ করতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘আর মজার বিষয় হলো, আমার বাড়ির সব তথ্য ও কাগজপত্র আমিই দুদককে দিয়েছি! ওরা আমার কাছে চেয়েছিল। ‘আরো বলেছে, তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা!’ ’কিন্তু এই হিসাব কীভাবে বানিয়েছে? ৬৭+ লাখ টাকা জমা হয়েছে, ৬৬+ লাখ উত্তোলন হয়েছে আর এই দুই যোগ করেই বলছে ১ কোটি ৩৪ লাখ!’ ’তার ওপর, এই পুরো ৬৭ লাখ টাকাই আমার বেতনের টাকা, আর প্রবাসে থাকাকালীন রেমিট্যান্স পাঠানোর টাকা।’
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন ও তার স্ত্রী রিজওয়ানা নূরের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মোট ১৬ কোটি ৪২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হচ্ছে।
অনুমোদনের তথ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,‘মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’ খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে প্রায় ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তার তিনটি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়ার অভিযোগও এনেছে দুদক।
খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অর্থপাচারের মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাড়ি কিনেছেন। খোকনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রায় ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার তিনটি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ কোটি ১২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়ার কথাও বলছে দুদক।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর খোকনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ৯ অক্টোবর তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। অনুসন্ধানের ভিত্তিতে দুদক বলছে, খোকনের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও রয়েছে। আশরাফুল আলম খোকন ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব পদে চুক্তিতে যোগ দেন। পরে বিভিন্ন সময় তার মেয়াদ ও গ্রেড বাড়ানো হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার করা অব্যাহতির আবেদন গ্রহণ করে ছুটিতে পাঠানোর খবর পাওয়া যায়। আশরাফুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেন। তিনি দীর্ঘদিন চ্যানেল আইয়ে কর্মরত ছিলেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আহতও হয়েছিলেন তিনি।
মামলার অনুমোদনের পর খোকন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন,‘শুনলাম, দুদক আমার বিরুদ্ধে ১৩ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা করেছে! অভিযোগের ভিত্তি আমেরিকায় আমার বাড়ির বর্তমান বাজারমূল্য ১৩ কোটি টাকা।
‘কিন্তু তারা কি জানে, আমেরিকাতে আমি বাড়ির মালিক ২০১১ সালে, আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগ দিয়েছি ২০১৩ সালে? তাছাড়া, আমেরিকায় মাত্র ১০% ডাউনপেমেন্ট দিয়ে বাড়ি কেনা যায়, বাকি টাকা বাড়ি ভাড়ার মতো করে ৩০ বছরে শোধ করতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘আর মজার বিষয় হলো, আমার বাড়ির সব তথ্য ও কাগজপত্র আমিই দুদককে দিয়েছি! ওরা আমার কাছে চেয়েছিল। ‘আরো বলেছে, তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা!’ ’কিন্তু এই হিসাব কীভাবে বানিয়েছে? ৬৭+ লাখ টাকা জমা হয়েছে, ৬৬+ লাখ উত্তোলন হয়েছে আর এই দুই যোগ করেই বলছে ১ কোটি ৩৪ লাখ!’ ’তার ওপর, এই পুরো ৬৭ লাখ টাকাই আমার বেতনের টাকা, আর প্রবাসে থাকাকালীন রেমিট্যান্স পাঠানোর টাকা।’