লুট হয়েছিল ৫৭৫০টি অস্ত্র গোলাবারুদ লুট ছয় লাখের বেশি
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও গুলি
গেল বছর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ও পরবর্তীতে থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় জনতার হামলা ও ভাঙচুরের সময় বিভিন্ন ধরনের ৫,৭৫০টি অস্ত্র ও ৬ লাখের বেশি গোলাবারুদ লুটপাট করা হয়েছে। এরমধ্যে এখনও বহু অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়নি।
মাঝে মধ্যে দুই একটি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। আবার পরিত্যক্ত অবস্থায় পুলিশ পুকুর থেকে অস্ত্র, গুলি ও গ্রেনেড উদ্ধার করছে। অভিযোগ রয়েছে, বহু অস্ত্র এখন অপরাধীদের হাতে চলে গেছে।
পুলিশের একাধিক সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১১০৬টি চাইনিজ রাইফেল লুট হয়েছে। তার মধ্যে উদ্ধার ৯৮৪টির বেশি হবে। এখনও ১শ’র বেশি চাইনিজ রাইফেল উদ্ধার হয়নি। রাইফেল-টি ১২টি লুট হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ১১টি। চায়না এসএমজি-টি ৫৬ লুট হয়েছে ২৫১টি। উদ্ধার হয়েছে ২শ’র বেশি।
চায়না পিস্তল লুট হয়েছে ৫৩৯টি। এখনও ২শ’র বেশি পিস্তল উদ্ধার হয়নি। ৯ এমএম পিস্তল এক হাজার ৯২টি। উদ্ধার হয়েছে ৬শ’র বেশি। বাকিগুলো এখনও উদ্ধার হয়নি।
১২ বোরের শটগান লুট হয়েছে ২০৭৬টি। উদ্ধার হয়েছে ১৬শ’র বেশি। বাকিগুলো এখনও উদ্ধার হয়নি। গ্যাস গান সিঙ্গেল শট লুট হয়েছে ৫৮৯টি। উদ্ধার হয়েছে ৪শ’র বেশি। টিয়ার গ্যাসলঞ্চার লুট হয়েছে ১৫টি। অধিকাংশই উদ্ধার হয়েছে। সিগন্যাল পিস্তল ৩টি লুট হয়েছে। উদ্ধার ১টি। গত জানুয়ারির হিসাব তথ্যমতে, সর্বমোট অস্ত্র লুট হয়েছে ৫,৭৫০টি। উদ্ধার হয়েছে ৪ হাজার ৩শ’র বেশি। এখনও উদ্ধার হয়নি ১৩শ’র বেশি।
গোলাবারুদ : বিভিন্ন বোরের গুলি লুট হয়েছে ৬ লাখ ১৩ হাজার ৯৯টি। উদ্ধার হয়েছে ৩ লাখ ৬৬ হাজারেরও বেশি। এখনও উদ্ধার হয়নি ২ লাখের বেশি। টিয়ার গ্যাস শেল লুট হয়েছে ৩১,২৩৯টি। উদ্ধার হয়েছে ১৯,৮০৩টি। এখনও উদ্ধার হয়নি ১১,৪৩৬টি। টিয়ার গ্যাস গ্রেনেড লুট হয়েছে ১৪৭৫। উদ্ধার হয়েছে ১১৮২। সাউন্ড গ্রেনেড লুট হয়েছে ৪৭৫১টি। উদ্ধার হয়েছে ৩২৫৪টি। ব্যাং স্টান গ্রেনেড লুট হয়েছে ৯০০টি। উদ্ধার ৬শ’র বেশি। হ্যান্ড গ্রেনেন্ড টিয়ার গ্যাস স্প্রে লুট হয়েছে ১৭৮টি। এখনও ১শ’র বেশি উদ্ধার হয়নি।
মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট অস্ত্র লুট হয়েছে ৫৭৫০টি। তার মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৪৩৭২টি। এখনও উদ্ধার হয়নি ১,৩৭৮টি। গোলাবারুদ লুট হয়েছে ৬ লাখের বেশি। এখনও উদ্ধার হয়নি ২ লাখ ৪৫ হাজার ২৫৬ রাউন্ড।
পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখা থেকে বলা হয়েছে, লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সন্ত্রাসীদের হাতে রয়েছে? আবার অনেকেই এসব অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা- ঘটিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন।
আবার কেউ কেউ ভয়ে পুলিশের অস্ত্র ও গোলাবারুদ পুকুরসহ বিভিন্ন পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে রাখছে। সেখান থেকে মাঝে মধ্যে উদ্ধার হচ্ছে। পুলিশের তৎপরতার কারণে অনেকে অস্ত্র লুকিয়ে রাখছে। এরপরও পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে।
লুট হয়েছিল ৫৭৫০টি অস্ত্র গোলাবারুদ লুট ছয় লাখের বেশি
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও গুলি
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
গেল বছর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ও পরবর্তীতে থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় জনতার হামলা ও ভাঙচুরের সময় বিভিন্ন ধরনের ৫,৭৫০টি অস্ত্র ও ৬ লাখের বেশি গোলাবারুদ লুটপাট করা হয়েছে। এরমধ্যে এখনও বহু অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়নি।
মাঝে মধ্যে দুই একটি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। আবার পরিত্যক্ত অবস্থায় পুলিশ পুকুর থেকে অস্ত্র, গুলি ও গ্রেনেড উদ্ধার করছে। অভিযোগ রয়েছে, বহু অস্ত্র এখন অপরাধীদের হাতে চলে গেছে।
পুলিশের একাধিক সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১১০৬টি চাইনিজ রাইফেল লুট হয়েছে। তার মধ্যে উদ্ধার ৯৮৪টির বেশি হবে। এখনও ১শ’র বেশি চাইনিজ রাইফেল উদ্ধার হয়নি। রাইফেল-টি ১২টি লুট হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ১১টি। চায়না এসএমজি-টি ৫৬ লুট হয়েছে ২৫১টি। উদ্ধার হয়েছে ২শ’র বেশি।
চায়না পিস্তল লুট হয়েছে ৫৩৯টি। এখনও ২শ’র বেশি পিস্তল উদ্ধার হয়নি। ৯ এমএম পিস্তল এক হাজার ৯২টি। উদ্ধার হয়েছে ৬শ’র বেশি। বাকিগুলো এখনও উদ্ধার হয়নি।
১২ বোরের শটগান লুট হয়েছে ২০৭৬টি। উদ্ধার হয়েছে ১৬শ’র বেশি। বাকিগুলো এখনও উদ্ধার হয়নি। গ্যাস গান সিঙ্গেল শট লুট হয়েছে ৫৮৯টি। উদ্ধার হয়েছে ৪শ’র বেশি। টিয়ার গ্যাসলঞ্চার লুট হয়েছে ১৫টি। অধিকাংশই উদ্ধার হয়েছে। সিগন্যাল পিস্তল ৩টি লুট হয়েছে। উদ্ধার ১টি। গত জানুয়ারির হিসাব তথ্যমতে, সর্বমোট অস্ত্র লুট হয়েছে ৫,৭৫০টি। উদ্ধার হয়েছে ৪ হাজার ৩শ’র বেশি। এখনও উদ্ধার হয়নি ১৩শ’র বেশি।
গোলাবারুদ : বিভিন্ন বোরের গুলি লুট হয়েছে ৬ লাখ ১৩ হাজার ৯৯টি। উদ্ধার হয়েছে ৩ লাখ ৬৬ হাজারেরও বেশি। এখনও উদ্ধার হয়নি ২ লাখের বেশি। টিয়ার গ্যাস শেল লুট হয়েছে ৩১,২৩৯টি। উদ্ধার হয়েছে ১৯,৮০৩টি। এখনও উদ্ধার হয়নি ১১,৪৩৬টি। টিয়ার গ্যাস গ্রেনেড লুট হয়েছে ১৪৭৫। উদ্ধার হয়েছে ১১৮২। সাউন্ড গ্রেনেড লুট হয়েছে ৪৭৫১টি। উদ্ধার হয়েছে ৩২৫৪টি। ব্যাং স্টান গ্রেনেড লুট হয়েছে ৯০০টি। উদ্ধার ৬শ’র বেশি। হ্যান্ড গ্রেনেন্ড টিয়ার গ্যাস স্প্রে লুট হয়েছে ১৭৮টি। এখনও ১শ’র বেশি উদ্ধার হয়নি।
মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট অস্ত্র লুট হয়েছে ৫৭৫০টি। তার মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৪৩৭২টি। এখনও উদ্ধার হয়নি ১,৩৭৮টি। গোলাবারুদ লুট হয়েছে ৬ লাখের বেশি। এখনও উদ্ধার হয়নি ২ লাখ ৪৫ হাজার ২৫৬ রাউন্ড।
পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখা থেকে বলা হয়েছে, লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সন্ত্রাসীদের হাতে রয়েছে? আবার অনেকেই এসব অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা- ঘটিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন।
আবার কেউ কেউ ভয়ে পুলিশের অস্ত্র ও গোলাবারুদ পুকুরসহ বিভিন্ন পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে রাখছে। সেখান থেকে মাঝে মধ্যে উদ্ধার হচ্ছে। পুলিশের তৎপরতার কারণে অনেকে অস্ত্র লুকিয়ে রাখছে। এরপরও পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে।