দীর্ঘ ১৫ বছর পর পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান।
পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এ আলোচনা, যা ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) নামে পরিচিত, অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল (বুধবার) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়। বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আর পাকিস্তানের পক্ষে থাকবেন আমনা বালুচ। সর্বশেষ এই ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১০ সালে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক ও জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের ব্যাপারে সম্মত হন তারা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, আটকেপড়া সম্পত্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টি আলোচনা থেকে বাদ যাবে না। তিনি বলেন, “একাত্তরকে বাদ দিয়ে ভালো সম্পর্ক নয়। বরং একাত্তরের প্রসঙ্গ রেখেই সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চলবে।”
এফওসি বৈঠকের পর আগামী ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। এই সফরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন এক মোড়ে প্রবেশ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সার্ক জোটকে পুনরায় সক্রিয় করার বিষয়েও আন্তরিক অবস্থান প্রকাশ করেছে বর্তমান সরকার। তবে ভারত এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকার সমালোচনা করে ঢাকাকে ‘সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক না করার’ পরামর্শ দিয়েছে।
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
দীর্ঘ ১৫ বছর পর পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান।
পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এ আলোচনা, যা ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) নামে পরিচিত, অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল (বুধবার) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়। বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আর পাকিস্তানের পক্ষে থাকবেন আমনা বালুচ। সর্বশেষ এই ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১০ সালে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক ও জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের ব্যাপারে সম্মত হন তারা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, আটকেপড়া সম্পত্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টি আলোচনা থেকে বাদ যাবে না। তিনি বলেন, “একাত্তরকে বাদ দিয়ে ভালো সম্পর্ক নয়। বরং একাত্তরের প্রসঙ্গ রেখেই সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চলবে।”
এফওসি বৈঠকের পর আগামী ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। এই সফরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন এক মোড়ে প্রবেশ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সার্ক জোটকে পুনরায় সক্রিয় করার বিষয়েও আন্তরিক অবস্থান প্রকাশ করেছে বর্তমান সরকার। তবে ভারত এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকার সমালোচনা করে ঢাকাকে ‘সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক না করার’ পরামর্শ দিয়েছে।