অক্টোবরের আগে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ
আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সব ধরনের কাজ গুছিয়ে জুলাইয়ে ‘কর্মপরিকল্পনা’ প্রকাশ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরইমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আরপিও-আচরণবিধি, নীতিমালাসহ আইন সংস্কার, সীমানা নির্ধারণ, নতুন দলের নিবন্ধনসহ সার্বিক কাজ শেষ করে নতুন-পুরাতন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধারাবাহিকভাবে ইম্প্রুভ হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে নির্বাচন করতে বাধা নেই: নির্বাচন কমিশনার
মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার
বুধবার, ১৬ এপ্রিল খসড়া ‘রোডম্যাপ’ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। ইসিও বলে আসছে, সরকার ঘোষিত এই সময়সীমা অনুযায়ী ‘আর্লিয়েস্ট টাইম’ বা ডিসেম্বরকে ধরে তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ডিসেম্বরকে ঘিরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকার ঘোষিত ডিসেম্বরের ‘টাইমলাইনকে’ সামনে রেখে এগোচ্ছে।
ভোট আয়োজনের লক্ষ্যে ইসির কাজগুলোকে ‘রোডম্যাপ’ না বলে কর্মপরিকল্পনা (অ্যাকশন প্ল্যান/ওয়ার্ক প্ল্যান) হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে রোডম্যাপের যে বিষয়টি, যে কর্মপরিকল্পনাটি, আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে একটা নিজস্ব কর্মপরিকল্পা ধরেই এগোচ্ছি। সে কর্মপরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে আসনের প্রশাসনিক বিন্যাসের তথ্য, ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহ ও শেষ পর্যায়ে গুছিয়ে এনেছি, নিবন্ধনের কাজও একটা পর্যায়ে এসেছে।’
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আগামী তিন মাসের মধ্যে আমরা মোটামুটিভাবে ওয়ার্ক প্ল্যানের প্রি-ওয়ার্ক যেটি, সেটি হয়ে যাবে। আশা রাখি, মুদ্রিত কর্মপরিকল্পনা, যেটি নির্বাচনের আগে ইসি পাবলিশ করে, আমরা জুন-জুলাইয়ের দিকে প্রিন্টেড কপি পেয়ে যাব।’
আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সংলাপ
নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন কাজ শেষ করে নতুন-পুরনো সব দল নিয়ে সংলাপে বসতে চায় ইসি। এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, এখন পর্যন্ত তিনটি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। তবে তারা সময় বাড়ানোর জন্য বলেছে। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলোর আবেদন নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘সময় বাড়ানোর এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।’
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে অংশীজনদের সঙ্গে বসার কথা তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন দল শর্ত পূরণ করে আসার পরে, নতুন যারা হবে এবং পুরনো যারা আছে তাদের নিয়েই আমরা বসবো। নিবন্ধনের কাজ যদি শেষ না করি, তাহলে নতুনদের তো কষ্ট থাকবে আমরা আসতে পারলাম না।’ দল নিবন্ধন শেষ করে আগস্ট-সেপ্টেম্বর বা সম্ভব হলে আরও আগে মতবিনিময় হবে বলে জানান তিনি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
বিদ্যমান যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাতে নির্বাচন করা সম্ভব কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বাস্তবেও আমরা রমজান মাসে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখেছি বা অতীতের সঙ্গে একটা তুলনামূলক পর্যালোচনা করি তাহলে আমি মনে করি, ধারাবাহিকভাবে তা ইম্প্রুভ হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে গিয়েছি, তারা বলেছে যে, রমজান মাসে আমাদের যে পারফরম্যান্স এটি আমরা আরও ইম্প্রুভ করার চেষ্টা করছি এবং এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমরা নির্বাচন করতে কোনো বাধা মনে করি না।’
আগামী ছয় থেকে আট মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে আশা করেন তিনি।
অক্টোবরের আগে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সব ধরনের কাজ গুছিয়ে জুলাইয়ে ‘কর্মপরিকল্পনা’ প্রকাশ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরইমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আরপিও-আচরণবিধি, নীতিমালাসহ আইন সংস্কার, সীমানা নির্ধারণ, নতুন দলের নিবন্ধনসহ সার্বিক কাজ শেষ করে নতুন-পুরাতন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধারাবাহিকভাবে ইম্প্রুভ হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে নির্বাচন করতে বাধা নেই: নির্বাচন কমিশনার
মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার
বুধবার, ১৬ এপ্রিল খসড়া ‘রোডম্যাপ’ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। ইসিও বলে আসছে, সরকার ঘোষিত এই সময়সীমা অনুযায়ী ‘আর্লিয়েস্ট টাইম’ বা ডিসেম্বরকে ধরে তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ডিসেম্বরকে ঘিরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকার ঘোষিত ডিসেম্বরের ‘টাইমলাইনকে’ সামনে রেখে এগোচ্ছে।
ভোট আয়োজনের লক্ষ্যে ইসির কাজগুলোকে ‘রোডম্যাপ’ না বলে কর্মপরিকল্পনা (অ্যাকশন প্ল্যান/ওয়ার্ক প্ল্যান) হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে রোডম্যাপের যে বিষয়টি, যে কর্মপরিকল্পনাটি, আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে একটা নিজস্ব কর্মপরিকল্পা ধরেই এগোচ্ছি। সে কর্মপরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে আসনের প্রশাসনিক বিন্যাসের তথ্য, ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহ ও শেষ পর্যায়ে গুছিয়ে এনেছি, নিবন্ধনের কাজও একটা পর্যায়ে এসেছে।’
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আগামী তিন মাসের মধ্যে আমরা মোটামুটিভাবে ওয়ার্ক প্ল্যানের প্রি-ওয়ার্ক যেটি, সেটি হয়ে যাবে। আশা রাখি, মুদ্রিত কর্মপরিকল্পনা, যেটি নির্বাচনের আগে ইসি পাবলিশ করে, আমরা জুন-জুলাইয়ের দিকে প্রিন্টেড কপি পেয়ে যাব।’
আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সংলাপ
নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন কাজ শেষ করে নতুন-পুরনো সব দল নিয়ে সংলাপে বসতে চায় ইসি। এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, এখন পর্যন্ত তিনটি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। তবে তারা সময় বাড়ানোর জন্য বলেছে। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলোর আবেদন নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘সময় বাড়ানোর এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।’
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে অংশীজনদের সঙ্গে বসার কথা তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন দল শর্ত পূরণ করে আসার পরে, নতুন যারা হবে এবং পুরনো যারা আছে তাদের নিয়েই আমরা বসবো। নিবন্ধনের কাজ যদি শেষ না করি, তাহলে নতুনদের তো কষ্ট থাকবে আমরা আসতে পারলাম না।’ দল নিবন্ধন শেষ করে আগস্ট-সেপ্টেম্বর বা সম্ভব হলে আরও আগে মতবিনিময় হবে বলে জানান তিনি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
বিদ্যমান যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাতে নির্বাচন করা সম্ভব কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বাস্তবেও আমরা রমজান মাসে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখেছি বা অতীতের সঙ্গে একটা তুলনামূলক পর্যালোচনা করি তাহলে আমি মনে করি, ধারাবাহিকভাবে তা ইম্প্রুভ হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে গিয়েছি, তারা বলেছে যে, রমজান মাসে আমাদের যে পারফরম্যান্স এটি আমরা আরও ইম্প্রুভ করার চেষ্টা করছি এবং এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমরা নির্বাচন করতে কোনো বাধা মনে করি না।’
আগামী ছয় থেকে আট মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে আশা করেন তিনি।