কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন নৌ-ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যাওয়া আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি থাকা ৫৫ জেলেকে ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার, ১৬ এপ্রিল দুপুরে টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাট দিয়ে তাদের ফেরত আনা হয়। কিন্তু ফেরত দেয়নি মাছ ধরার ১০টি ট্রলার ও জাল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২-বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান।
১০টি ট্রলার ও জাল ফিরিয়ে আনতে আরাকান আর্মির সঙ্গে কথা বলবে প্রশাসন
তিনি বলেন, ৫৫ জেলে বিভিন্ন সময়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গেলে, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করার কারণে মায়ানমারের জলসীমা থেকে নৌকাসহ তাদের আটক করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। এর পরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় জেলেদের ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছি। ফেরত আনা জেলেদের তথ্য সংগ্রহ করে, স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিজিবির এ কর্মকর্তা আরও বলেন, দেশের নাগরিকদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিজিবি সর্বদা নিবেদিত, সতর্ক ও সদা প্রস্তুত। সীমান্তে বিজিবি’র পেশাদারিত্ব, কৌশল, দায়িত্ববোধ এবং দেশপ্রেমের দৃষ্টান্তের নজির অজস্র। তাই বিজিবি সীমান্তের যেকোনো সংকটেই জনসাধরণের আস্থার জায়গা। আটক জেলেদের সফল প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে আবারও সর্বসাধারণের আস্থার কার্যকরি প্রতিফলন ঘটলো।
এ বিষয়ে টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ফেরত আসা ৫৫ জেলেদের মধ্যে আমার বোটের ছয় মাঝি-মাল্লাও রয়েছে। তবে তারা ফেরত দেয়নি ট্রলার ও জাল। আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে একটি মাছ ধরার বোট, নয়টি ট্রলারসহ কোটি টাকার সামগ্রী।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসন যদি আরেকটু আন্তরিক হয় তাদেরকে কাছে হেফাজতে থাকা ট্রলার ও জাল
ফেরত আনা সম্ভব হবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, মায়ানমারের আরাকান আর্মি বিভিন্ন সময় ধরে নিয়ে যাওয়া ৫৫ জন জেলেকে প্রশাসনের প্রচেষ্টায় ফেরত আনা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে হেফাজতে থাকা জেলেদের মাছ ধরার ট্রলার ও জাল ফেরত আনা যায় কিনা- সে ব্যাপারে বিজিবির সঙ্গে কথা বলব।
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন নৌ-ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যাওয়া আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি থাকা ৫৫ জেলেকে ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার, ১৬ এপ্রিল দুপুরে টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাট দিয়ে তাদের ফেরত আনা হয়। কিন্তু ফেরত দেয়নি মাছ ধরার ১০টি ট্রলার ও জাল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২-বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান।
১০টি ট্রলার ও জাল ফিরিয়ে আনতে আরাকান আর্মির সঙ্গে কথা বলবে প্রশাসন
তিনি বলেন, ৫৫ জেলে বিভিন্ন সময়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গেলে, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করার কারণে মায়ানমারের জলসীমা থেকে নৌকাসহ তাদের আটক করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। এর পরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় জেলেদের ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছি। ফেরত আনা জেলেদের তথ্য সংগ্রহ করে, স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিজিবির এ কর্মকর্তা আরও বলেন, দেশের নাগরিকদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিজিবি সর্বদা নিবেদিত, সতর্ক ও সদা প্রস্তুত। সীমান্তে বিজিবি’র পেশাদারিত্ব, কৌশল, দায়িত্ববোধ এবং দেশপ্রেমের দৃষ্টান্তের নজির অজস্র। তাই বিজিবি সীমান্তের যেকোনো সংকটেই জনসাধরণের আস্থার জায়গা। আটক জেলেদের সফল প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে আবারও সর্বসাধারণের আস্থার কার্যকরি প্রতিফলন ঘটলো।
এ বিষয়ে টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ফেরত আসা ৫৫ জেলেদের মধ্যে আমার বোটের ছয় মাঝি-মাল্লাও রয়েছে। তবে তারা ফেরত দেয়নি ট্রলার ও জাল। আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে একটি মাছ ধরার বোট, নয়টি ট্রলারসহ কোটি টাকার সামগ্রী।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসন যদি আরেকটু আন্তরিক হয় তাদেরকে কাছে হেফাজতে থাকা ট্রলার ও জাল
ফেরত আনা সম্ভব হবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, মায়ানমারের আরাকান আর্মি বিভিন্ন সময় ধরে নিয়ে যাওয়া ৫৫ জন জেলেকে প্রশাসনের প্রচেষ্টায় ফেরত আনা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে হেফাজতে থাকা জেলেদের মাছ ধরার ট্রলার ও জাল ফেরত আনা যায় কিনা- সে ব্যাপারে বিজিবির সঙ্গে কথা বলব।