খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোর থেকে জেলা সদরের মধুপুর, পানখাইয়া পাড়া, চাবাই সড়ক নোয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে বলে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান।
এসব জায়গায় যৌথ বাহিনীর টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসপি আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘আমরা অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছি। এছাড়া, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি-ঢাকা ও খাগড়াছড়ি-রাঙামাটির সড়কে সড়কে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
গত বুধবার ভোর সাড়ে ৬টায় খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটে। তারা বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষ করে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বাসের টিকেট না পাওয়ায় সদর উপজেলার কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপন করেছিলেন। সকাল ৭টার গাড়িতে তাদের চট্টগ্রামে ফেরার কথা।
অপহৃতরা হলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ-পিসিপি চবির শাখা সদস্য রিশন চাকমা ও তার চার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’
অপহরণের ঘটনায় আঞ্চলিক সংগঠনগুলো একে অন্যকে দুষছেন
পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফকে দায়ী করছে জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা। তবে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।
এদিকে, অপহৃতদের সুস্থ অবস্থায় নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত পাহাড়ি শিক্ষার্থী, পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা।
সন্তানদের ফিরে পেতে মরিয়া পরিবার। সন্তানদের অপহরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। অপহৃত দিব্যি চাকমার মা ভারতী চাকমা গত বুধবার সন্তানদের মুক্তি চেয়ে ফেইসবুকে একটি পোস্ট করেন; সন্তানের জন্য মায়ের এমন আকুতি, যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘প্লিজ কারোর মায়ের বুক খালি না করে, সন্তান হারানোর বেদনা যেন কারো বুকে না লাগে। আমি হাত জোড় করছি, ফিরিয়ে দেন আমাদের সন্তানদের।’
শিক্ষার্থীদের মুক্তির বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও অপহৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত ‘আদিবাসী’ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোর থেকে জেলা সদরের মধুপুর, পানখাইয়া পাড়া, চাবাই সড়ক নোয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে বলে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান।
এসব জায়গায় যৌথ বাহিনীর টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসপি আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘আমরা অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছি। এছাড়া, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি-ঢাকা ও খাগড়াছড়ি-রাঙামাটির সড়কে সড়কে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
গত বুধবার ভোর সাড়ে ৬টায় খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটে। তারা বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষ করে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বাসের টিকেট না পাওয়ায় সদর উপজেলার কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপন করেছিলেন। সকাল ৭টার গাড়িতে তাদের চট্টগ্রামে ফেরার কথা।
অপহৃতরা হলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ-পিসিপি চবির শাখা সদস্য রিশন চাকমা ও তার চার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’
অপহরণের ঘটনায় আঞ্চলিক সংগঠনগুলো একে অন্যকে দুষছেন
পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফকে দায়ী করছে জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা। তবে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।
এদিকে, অপহৃতদের সুস্থ অবস্থায় নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত পাহাড়ি শিক্ষার্থী, পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা।
সন্তানদের ফিরে পেতে মরিয়া পরিবার। সন্তানদের অপহরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। অপহৃত দিব্যি চাকমার মা ভারতী চাকমা গত বুধবার সন্তানদের মুক্তি চেয়ে ফেইসবুকে একটি পোস্ট করেন; সন্তানের জন্য মায়ের এমন আকুতি, যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘প্লিজ কারোর মায়ের বুক খালি না করে, সন্তান হারানোর বেদনা যেন কারো বুকে না লাগে। আমি হাত জোড় করছি, ফিরিয়ে দেন আমাদের সন্তানদের।’
শিক্ষার্থীদের মুক্তির বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও অপহৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত ‘আদিবাসী’ শিক্ষার্থীরা।