কাপড় চুরির অপবাদ দিয়ে যুবককে গাছের সঙ্গে বেধে নির্যাতন ও শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকায় মধ্যযুগীয় কায়দায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা সবার চোখে পড়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৭টা পর্যন্ত টানা ৪ ঘণ্টা ওই যুবককে কাঁঠাল গাছে বেধে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ওসমানপুর ফাঁড়ি পুলিশের কাছে তুলে দেয় ওই যুবককে। নির্যাতনের শিকার উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের ফারাজীপাড়ার পচা ফারাজীর ছেলে বজলু ফারাজী (৩৪)।
স্থানীয়রা জানায়, হারদি গ্রামের খালপাড়ার কালু হোসেনের বাড়ি থেকে তার স্ত্রীর পরিহিত মেক্সি কাপড় চুরি হয়। ওই কাপড় নির্যাতনের শিকার ওই যুবক নিজেই পড়ে বিভিন্ন বাড়ির জানালা দিয়ে উঁকি মারে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ভুক্তভোগী কালু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘুম থেকে ওঠেন। পরে তিনি লক্ষ্য করেন প্রতিবেশী জসির বসতবাড়ির জানালা দিয়ে মেক্সি পরিহিত একজন উঁকি দিচ্ছে। সে গোপনে লক্ষ্য করে পিছন থেকে চোর সন্দেহে বজলুকে চেপে ধরে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে আটকে কালুর বাড়ির পাশের একটি কাঁঠাল গাছে বেধে সারারাত নির্যাতন চালায়। মারপিটের একপর্যায়ে বজলুর পরনে পরিহিত মেক্সিতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আগুন লাগাতে দেখা যায়। এ সময় বজলু প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার দিতে থাকে।
হারদী ইউনিয়নের খালপাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, রাতের আধারে চুরি করতে গিয়ে বজলু নামে একজনকে আটক করে এলাকাবাসী। তাকে ধরে অনেকে মারপিট করেছে। সকাল ৬টার দিকে আমি জানতে পারলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁড়ি পুলিশকে খবর দিয়ে তাকে প্রশাসনের জিম্মায় তুলে দিয়েছি।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক ও নির্যাতনের শিকার হওয়া যুবক বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পর্যাবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
কাপড় চুরির অপবাদ দিয়ে যুবককে গাছের সঙ্গে বেধে নির্যাতন ও শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকায় মধ্যযুগীয় কায়দায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা সবার চোখে পড়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৭টা পর্যন্ত টানা ৪ ঘণ্টা ওই যুবককে কাঁঠাল গাছে বেধে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ওসমানপুর ফাঁড়ি পুলিশের কাছে তুলে দেয় ওই যুবককে। নির্যাতনের শিকার উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের ফারাজীপাড়ার পচা ফারাজীর ছেলে বজলু ফারাজী (৩৪)।
স্থানীয়রা জানায়, হারদি গ্রামের খালপাড়ার কালু হোসেনের বাড়ি থেকে তার স্ত্রীর পরিহিত মেক্সি কাপড় চুরি হয়। ওই কাপড় নির্যাতনের শিকার ওই যুবক নিজেই পড়ে বিভিন্ন বাড়ির জানালা দিয়ে উঁকি মারে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ভুক্তভোগী কালু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘুম থেকে ওঠেন। পরে তিনি লক্ষ্য করেন প্রতিবেশী জসির বসতবাড়ির জানালা দিয়ে মেক্সি পরিহিত একজন উঁকি দিচ্ছে। সে গোপনে লক্ষ্য করে পিছন থেকে চোর সন্দেহে বজলুকে চেপে ধরে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে আটকে কালুর বাড়ির পাশের একটি কাঁঠাল গাছে বেধে সারারাত নির্যাতন চালায়। মারপিটের একপর্যায়ে বজলুর পরনে পরিহিত মেক্সিতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আগুন লাগাতে দেখা যায়। এ সময় বজলু প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার দিতে থাকে।
হারদী ইউনিয়নের খালপাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, রাতের আধারে চুরি করতে গিয়ে বজলু নামে একজনকে আটক করে এলাকাবাসী। তাকে ধরে অনেকে মারপিট করেছে। সকাল ৬টার দিকে আমি জানতে পারলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁড়ি পুলিশকে খবর দিয়ে তাকে প্রশাসনের জিম্মায় তুলে দিয়েছি।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক ও নির্যাতনের শিকার হওয়া যুবক বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পর্যাবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।