alt

টঙ্গীতে শিশু ভাই-বোন হত্যা: বাবার মামলায় মা গ্রেপ্তার

জেলা বার্তা পরিবেশক, গাজীপুর : শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে চাঞ্চল্যকর দুই সহোদর শিশুকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে বাবার দায়েরকৃত মামলায় মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মায়ের বাম হাতের আঙ্গুল কাটা থাকায় সন্দেহভাজন হিসেবে মাকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনার ক্লু এখনও উদ্ঘাটন হয়নি।

শনিবার, (১৯ এপ্রিল) টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ এসব তথ্য জানায়।

মামলার বাদী নিহত শিশুদের বাবা আব্দুল বাতেন (৪৭)। মামলায় গ্রেপ্তার নিহত শিশুদের মা আলেয়া বেগম (৩০)।

আব্দুল বাতেনের গ্রামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার তাতুয়াকান্দি। সপরিবারে পূর্ব আরিচপুর এলাকার জনৈক সানোয়ারের ৮তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। শুক্রবার বিকেলে এই

দম্পতির দুই শিশু সন্তান খুন হন। শিশু দুটির নাম মালিহা (০৬) এবং আব্দুল্লাহ (০৩)।

পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, শুক্রবার বিকেল পৌনে তিনটা থেকে পৌনে পাঁচটার মধ্যে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে শিশু দুটিকে হত্যা করে চলে যায়। এই ঘটনায় বাবার দায়েরকৃত হত্যা মামলায় মা ও অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা হয়। এই মামলায় নিহত শিশুদের মাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে এই ঘটনা কে বা কারা কেন ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মামলার বাদী তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৩০), বড় মেয়ে বর্ষা আক্তার ফাতেমা (০৯), ছোট মেয়ে মালিহা আক্তার (০৬) ও এক ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (০৩)দের নিয়ে টঙ্গীতে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। গত ১৮ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর অনুমান ২টা ৪০ মিনিটের দিকে বাদী গাড়ির কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন সাহারা মার্কেট এলাকায় চলে যায়। বাদী বাইরে যাওয়ার পরপরই তার বড় মেয়ে বর্ষা আক্তার ফাতেমা (০৯) বাসা থেকে বের হয়ে বড় চাচার বাসায় যায়। তখন বাদীর স্ত্রী আলেয়া বেগম ও ছোট মেয়ে মালিহা আক্তার ও ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বাসায় ছিল। অতঃপর অজ্ঞাতনামা আসামি/আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সবার অগোচরে ফ্ল্যাটের রুমে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মালিহা আক্তার (০৬) ও আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরকে (০৩) গলা কেটে এবং শরীরের একাধিক স্থানে গুরুতর আঘাত করে হত্যা করে।

তদন্ত কর্মকর্তারা আরও জানান, উক্ত ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহসহ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণ, উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে বাদীর স্ত্রী আলেয়া বেগম (৩০)কে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটনে আরও গভীর তদন্তের প্রয়োজন। এছাড়াও আরও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ততথ্য যাচাই-বাছাই অব্যাহত আছে।

শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, নিহত শিশুদের লাশ নিয়ে তাদের বাবা গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য চলে গেছেন।

প্রতিবেশী আ. করিম জানান, আলেয়া ও তার স্বামী ভালো মানুষ। কেন এমন হলো তার কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।

প্রতিবেশী ফাতেমা বেগম বলেন, তারা সবাই ভালো মানুষ। আলেয়ার মানসিক সমস্যা আছে। তার চিকিৎসাও চলছিল।

নিহত শিশুদের বাবা ও মামলার বাদী আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্ত্রীর একটু সমস্যা ছিল। তার চিকিৎসাও চলছিল। আমার স্ত্রী খারাপ না। কারা আমার দুই সন্তানকে হত্যা করল? আমি তাদের বিচার চাই।

শিশুদের নানা আরফান মিয়া ও নানি শিল্পী বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তাদের মেয়ের জামাই আব্দুল বাতেন দুই বছর পূর্বে বিদেশ থেকে আসে। আসার পূর্ব থেকে তাদের মেয়ের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। পরে তার স্বামী বিদেশ থেকে এসে চিকিৎসা করালে ভালো হয়ে যায়। আলেয়ার সমস্যা দেখা দিলে সে কখনও ভাঙচুর কিংবা উগ্র আচরণ করতেন না। তাদের মেয়ে এমন ঘটনা ঘটাবে বলে তারা বিশ্বাস করেন না।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জিএমপির অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন সংবাদকে বলেন, শিশুটির মায়ের বাম হাতের আঙ্গুল কাটা। সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ড কে বা কারা কী কারণে সংঘটিত করেছে তা জানতে আরও সময় লাগবে।

ছবি

নির্বাচন পর্যন্ত ‘অপরিহার্য কারণ’ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ নয়: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

ছবি

হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ

ছবি

মায়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: বাঁচলেন না বিজিবি সদস্য আক্তার

ছবি

মোন্থার প্রভাবে বৃষ্টি, চলবে ৫ দিন বলে পূর্বাভাস

ত্বকী হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম দ্রুতই শেষ হবে: র‌্যাব

ছবি

ডেঙ্গু: আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৭০ হাজার, মৃত্যু ২৭৮

আওয়ামী লীগের ‘সব খারাপ কাজ’ অন্য দলগুলো কন্টিনিউ করছে: আসিফ নজরুল

ছবি

চালু হলো খুলনার নতুন কারাগার, প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি-লুটপাটের অভিযোগ

ছবি

শন্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনী প্রধানকে নির্দেশ মুহাম্মদ ইউনূসের

ছবি

ঘূর্ণিঝড় ‘মোনথা’র প্রভাবে বৃষ্টি, সাগরে ফের লঘুচাপের আভাস

ছবি

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে, অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি সর্বোচ্চ

ছবি

সংস্কারের পক্ষে যারা থাকবে সংসদ নির্বাচনে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে হাসনাত আব্দুল্লাহ

ছবি

শনিবার থেকে এক ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সিম বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করবে বিটিআরসি

ছবি

বেস্টিনেটের আমিনুল, রুহুলকে প্রত্যর্পণে দুই দেশের পুলিশ সমন্বয় করছে: মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

আগামী সংসদ নির্বাচনে কয়েদিরাও ভোট দিতে পারবেন: নির্বাচন কমিশনার

ছবি

গণভোট নিয়ে যে সিদ্ধান্তই হোক, নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে হবে: প্রেস সচিব

ছবি

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা: হাসিনাসহ ২৬১ জনকে ‘পলাতক’ দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি

ছবি

ভারতের লঘুচাপের প্রভাবে বাংলাদেশে তিনটি বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, অনিবন্ধিত মুঠোফোনের ব্যবহার বন্ধে ১৬ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে এনইআইআর

দুর্ঘটনার সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর সিলেট ছাড়লো লন্ডনগামী বিমান

‘তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার’ মুখে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ: কর্মশালায় বিশ্লেষণ

ছবি

দুদক সংস্কার কমিশনের ‘কৌশলগত সুপারিশ বাদ দিয়ে’ খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদন, টিআইবির উদ্বেগ

ছবি

ভিন্ন কোনো দেশের কারণে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: চীনের রাষ্ট্রদূত

ছবি

ভোট কবে, জানা যাবে ‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে’

টিভি সূচি

ছবি

পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে উন্নয়ন ‘টেকসই হতে পারে না’: সৈয়দা রিজওয়ানা

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু

ছবি

হালদা নদী রক্ষায় গেজেট পরিবর্তন করা হবে : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ছবি

‘সেনা কর্মকর্তাদের চাকরিতে থাকা’ নিয়ে মন্তব্যের ব্যাখ্যা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের

ছবি

নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তা বাড়াতে ডিএমপিকে ইসির চিঠি

ছবি

সংবিধান সংস্কার ‘জুলাই সনদ অনুসারে’: ২৭০ পঞ্জিকা দিবসে না হলে ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল পাস’

আইনি প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বেসরকারি স্কুল ও কলেজে এমপিও নীতিমালায় বড় পরিবর্তন: জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত, অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ যোগ্যতায় পরিবর্তন

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বাংলাদেশের অতীত থেকে মুক্তির পথ দেখাবে: প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

জুলাই সনদে সংবিধান সংস্কারে সরকারের জন্য দুটি বিকল্প পথ প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের

ছবি

নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বডি-ওর্ন-ক্যামেরা কেনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

tab

টঙ্গীতে শিশু ভাই-বোন হত্যা: বাবার মামলায় মা গ্রেপ্তার

জেলা বার্তা পরিবেশক, গাজীপুর

শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে চাঞ্চল্যকর দুই সহোদর শিশুকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে বাবার দায়েরকৃত মামলায় মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মায়ের বাম হাতের আঙ্গুল কাটা থাকায় সন্দেহভাজন হিসেবে মাকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনার ক্লু এখনও উদ্ঘাটন হয়নি।

শনিবার, (১৯ এপ্রিল) টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ এসব তথ্য জানায়।

মামলার বাদী নিহত শিশুদের বাবা আব্দুল বাতেন (৪৭)। মামলায় গ্রেপ্তার নিহত শিশুদের মা আলেয়া বেগম (৩০)।

আব্দুল বাতেনের গ্রামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার তাতুয়াকান্দি। সপরিবারে পূর্ব আরিচপুর এলাকার জনৈক সানোয়ারের ৮তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। শুক্রবার বিকেলে এই

দম্পতির দুই শিশু সন্তান খুন হন। শিশু দুটির নাম মালিহা (০৬) এবং আব্দুল্লাহ (০৩)।

পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, শুক্রবার বিকেল পৌনে তিনটা থেকে পৌনে পাঁচটার মধ্যে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে শিশু দুটিকে হত্যা করে চলে যায়। এই ঘটনায় বাবার দায়েরকৃত হত্যা মামলায় মা ও অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা হয়। এই মামলায় নিহত শিশুদের মাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে এই ঘটনা কে বা কারা কেন ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মামলার বাদী তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৩০), বড় মেয়ে বর্ষা আক্তার ফাতেমা (০৯), ছোট মেয়ে মালিহা আক্তার (০৬) ও এক ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (০৩)দের নিয়ে টঙ্গীতে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। গত ১৮ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর অনুমান ২টা ৪০ মিনিটের দিকে বাদী গাড়ির কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন সাহারা মার্কেট এলাকায় চলে যায়। বাদী বাইরে যাওয়ার পরপরই তার বড় মেয়ে বর্ষা আক্তার ফাতেমা (০৯) বাসা থেকে বের হয়ে বড় চাচার বাসায় যায়। তখন বাদীর স্ত্রী আলেয়া বেগম ও ছোট মেয়ে মালিহা আক্তার ও ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বাসায় ছিল। অতঃপর অজ্ঞাতনামা আসামি/আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সবার অগোচরে ফ্ল্যাটের রুমে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মালিহা আক্তার (০৬) ও আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরকে (০৩) গলা কেটে এবং শরীরের একাধিক স্থানে গুরুতর আঘাত করে হত্যা করে।

তদন্ত কর্মকর্তারা আরও জানান, উক্ত ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহসহ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণ, উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে বাদীর স্ত্রী আলেয়া বেগম (৩০)কে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটনে আরও গভীর তদন্তের প্রয়োজন। এছাড়াও আরও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ততথ্য যাচাই-বাছাই অব্যাহত আছে।

শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, নিহত শিশুদের লাশ নিয়ে তাদের বাবা গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য চলে গেছেন।

প্রতিবেশী আ. করিম জানান, আলেয়া ও তার স্বামী ভালো মানুষ। কেন এমন হলো তার কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।

প্রতিবেশী ফাতেমা বেগম বলেন, তারা সবাই ভালো মানুষ। আলেয়ার মানসিক সমস্যা আছে। তার চিকিৎসাও চলছিল।

নিহত শিশুদের বাবা ও মামলার বাদী আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্ত্রীর একটু সমস্যা ছিল। তার চিকিৎসাও চলছিল। আমার স্ত্রী খারাপ না। কারা আমার দুই সন্তানকে হত্যা করল? আমি তাদের বিচার চাই।

শিশুদের নানা আরফান মিয়া ও নানি শিল্পী বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তাদের মেয়ের জামাই আব্দুল বাতেন দুই বছর পূর্বে বিদেশ থেকে আসে। আসার পূর্ব থেকে তাদের মেয়ের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। পরে তার স্বামী বিদেশ থেকে এসে চিকিৎসা করালে ভালো হয়ে যায়। আলেয়ার সমস্যা দেখা দিলে সে কখনও ভাঙচুর কিংবা উগ্র আচরণ করতেন না। তাদের মেয়ে এমন ঘটনা ঘটাবে বলে তারা বিশ্বাস করেন না।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জিএমপির অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন সংবাদকে বলেন, শিশুটির মায়ের বাম হাতের আঙ্গুল কাটা। সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ড কে বা কারা কী কারণে সংঘটিত করেছে তা জানতে আরও সময় লাগবে।

back to top