কয়লা ব্যবসার নামে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যশোরের ডিবি পুলিশ।শুক্রবার গভীর রাতে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার, (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান জেলা ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঝালকাঠি সদর উপজেলার কৃষ্ণকাঠি গ্রামের আবদুল মালেক খানের ছেলে কালাম খান, ভান্ডরিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাটি গ্রামের মৃত লেহাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে নাসির উদ্দিন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রুস্তমপুর গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে মনিরুল ইসলাম ও জালাল উদ্দিনের ছেলে আক্তারুজ্জামান।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মনজুরুল হক ভূঁইয়া জানান, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইসবপুর গ্রমে এসবি ইট ভাটা কর্তৃপক্ষ কয়লা কেনার জন্য যশোরের মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর গত ১৯ মার্চ ওই ইট ভাটার মালিক মো. জামিউল হক প্রধান (সাজু) এবং প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার টুলু মিয়া কয়লা নিতে যশোরে আসেন। আসামিরা তাদের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাডার একটি কয়লা ডিপোতে নিয়ে যায়। এরপর তারা ৫টি ট্রাকে ১১৯ টন কয়লা লোড করে স্কেলের কাজ শেষ করে। কয়লার মূল্য বাবদ ২০ লাখ ১১ হাজার ১০০ টাকা দাবি করে। তাৎক্ষণিকভাবে এসবি ইট ভাটার পক্ষ থেকে আসামিদের মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ নামীয় দুটি একাউন্টে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। কয়লা পৌঁছানোর পর বাকি টাকা দেয়ার কথা হয়। কিন্তু তারা কয়লা না পাঠিয়ে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে এবং নিজেদের মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ করে দেয়। টাকা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ভাটার ম্যানেজার টুলু মিয়া মামলা করেন।
এরপর ডিবির একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাতে আসামি কালাম খান ও নাসির উদ্দিন নামে দুই প্রতারককে ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের দেয়া তথ্যে শনিবার ভোরে যশোরের কেশবপুর থেকে মনিরুল ইসলাম ও আক্তারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতদের নামে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, বরিশালে ১২টি মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে জানিয়েছেন ডিবির ওসি।
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
কয়লা ব্যবসার নামে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যশোরের ডিবি পুলিশ।শুক্রবার গভীর রাতে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার, (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান জেলা ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঝালকাঠি সদর উপজেলার কৃষ্ণকাঠি গ্রামের আবদুল মালেক খানের ছেলে কালাম খান, ভান্ডরিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাটি গ্রামের মৃত লেহাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে নাসির উদ্দিন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রুস্তমপুর গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে মনিরুল ইসলাম ও জালাল উদ্দিনের ছেলে আক্তারুজ্জামান।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মনজুরুল হক ভূঁইয়া জানান, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইসবপুর গ্রমে এসবি ইট ভাটা কর্তৃপক্ষ কয়লা কেনার জন্য যশোরের মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর গত ১৯ মার্চ ওই ইট ভাটার মালিক মো. জামিউল হক প্রধান (সাজু) এবং প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার টুলু মিয়া কয়লা নিতে যশোরে আসেন। আসামিরা তাদের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাডার একটি কয়লা ডিপোতে নিয়ে যায়। এরপর তারা ৫টি ট্রাকে ১১৯ টন কয়লা লোড করে স্কেলের কাজ শেষ করে। কয়লার মূল্য বাবদ ২০ লাখ ১১ হাজার ১০০ টাকা দাবি করে। তাৎক্ষণিকভাবে এসবি ইট ভাটার পক্ষ থেকে আসামিদের মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ নামীয় দুটি একাউন্টে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। কয়লা পৌঁছানোর পর বাকি টাকা দেয়ার কথা হয়। কিন্তু তারা কয়লা না পাঠিয়ে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে এবং নিজেদের মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ করে দেয়। টাকা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ভাটার ম্যানেজার টুলু মিয়া মামলা করেন।
এরপর ডিবির একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাতে আসামি কালাম খান ও নাসির উদ্দিন নামে দুই প্রতারককে ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের দেয়া তথ্যে শনিবার ভোরে যশোরের কেশবপুর থেকে মনিরুল ইসলাম ও আক্তারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতদের নামে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, বরিশালে ১২টি মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে জানিয়েছেন ডিবির ওসি।