ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন শিক্ষার্থীরা রোববার (২১ এপ্রিল) দেশজুড়ে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। ঢাকায় সমাবেশ হবে আগারগাঁওয়ের মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন নতুন সড়কে। সকাল ১১টায় শুরু হবে এ কর্মসূচি।
শনিবার রাতে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্মের পক্ষে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, “প্রথমে মহাসমাবেশ বললেও এখন আমরা একে ‘সমাবেশ’ বলছি। পরবর্তীতে সারাদেশে বৃহৎ কর্মসূচি হলে সেটিকে মহাসমাবেশ বলা হবে।”
তিনি জানান, সকাল ১০টায় ঢাকা পলিটেকনিকের দক্ষিণ গেট থেকে মিছিল করে শিক্ষার্থীরা আগারগাঁওয়ের সমাবেশস্থলে যাবেন।
এর আগে শুক্রবার মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকাসহ বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে হয় মশাল মিছিল। আন্দোলনকারীদের দাবি, কুমিল্লার কর্মসূচিতে ‘হামলার’ প্রতিবাদ ও দাবি আদায়ে আন্দোলন আরও জোরালো করা হবে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। এরপর মূল ফটকের নামফলকে লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন তাঁরা। এ কর্মসূচির নাম দেন ‘রাইজ ইন রেড’।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা “মামা থেকে মাস্টার, মামা বাড়ির আবদার”, “ডুয়েট যদি একটা হয়, ডিপ্লোমারা যাবে কই?”, “কারিগরিতে নন-টেক, চলবে না”, “কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই”— এমন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল–
১. জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাই কোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
২. ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদী অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা।
৩. উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬০০০ টাকা দেওয়া।
৪. কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব/নিয়োগ দেওয়া।
৫. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
৬. ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।
রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন শিক্ষার্থীরা রোববার (২১ এপ্রিল) দেশজুড়ে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। ঢাকায় সমাবেশ হবে আগারগাঁওয়ের মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন নতুন সড়কে। সকাল ১১টায় শুরু হবে এ কর্মসূচি।
শনিবার রাতে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্মের পক্ষে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, “প্রথমে মহাসমাবেশ বললেও এখন আমরা একে ‘সমাবেশ’ বলছি। পরবর্তীতে সারাদেশে বৃহৎ কর্মসূচি হলে সেটিকে মহাসমাবেশ বলা হবে।”
তিনি জানান, সকাল ১০টায় ঢাকা পলিটেকনিকের দক্ষিণ গেট থেকে মিছিল করে শিক্ষার্থীরা আগারগাঁওয়ের সমাবেশস্থলে যাবেন।
এর আগে শুক্রবার মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকাসহ বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে হয় মশাল মিছিল। আন্দোলনকারীদের দাবি, কুমিল্লার কর্মসূচিতে ‘হামলার’ প্রতিবাদ ও দাবি আদায়ে আন্দোলন আরও জোরালো করা হবে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। এরপর মূল ফটকের নামফলকে লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন তাঁরা। এ কর্মসূচির নাম দেন ‘রাইজ ইন রেড’।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা “মামা থেকে মাস্টার, মামা বাড়ির আবদার”, “ডুয়েট যদি একটা হয়, ডিপ্লোমারা যাবে কই?”, “কারিগরিতে নন-টেক, চলবে না”, “কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই”— এমন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল–
১. জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাই কোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
২. ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদী অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা।
৩. উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬০০০ টাকা দেওয়া।
৪. কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব/নিয়োগ দেওয়া।
৫. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
৬. ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।