বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কুশপুত্তলিকায় জুতা পেটা করে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সোমবার, (২১ এপ্রিল) দুপুর পৌনে একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণচূড়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এর আগে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতীকী কুশপুত্তলিকা বানিয়ে বিদ্যুৎ খুঁটির সঙ্গে বেঁধে সেখানে আমি নারীলোভী যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক লিখে সেই কুশপুত্তলিকায় স্যান্ডেল ও জুতা পেটা করেছেন। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সেটার মধ্যে অনবরত জুতা পেটা করে প্রতিবাদ জানিয়ে শাস্তি দাবি করেছেন। শিক্ষার্থীরা দুই শিক্ষকের নামও উল্লেখ করেছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া বেরোবির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের দুই শিক্ষক রশীদুল ইসলাম ও অতুল চন্দ্রের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় নম্বর টেম্পারিং এবং বিশেষ করে রশীদুল স্যারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
তিনি বলেন, আমাদের সবার দাবি একটা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে এমন শাস্তি দেয়া হয় যাতে ভবিষ্যতে অন্য কেউ এমন ন্যক্কারজনক কাজ করতে না পারেন।
অন্যদিকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রহমান আলী বলেন, যৌন নিপীড়নের জন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নের আলাদা সেল থাকা উচিত। তিনি বলেন, আমরা দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে নম্বর বাড়িয়ে দেয়া অনেক বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথোপকথন দেখেছি। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে এখনও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান বলেন, আমরা একটি যৌন হয়রানি অভিযোগ পেয়েছি। ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিন কার্যদিবসে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, আরও কিছু অভিযোগ ফেইসবুকে ঘুরছে। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ নিয়ে এলে দায়ীদের চিহ্নিত করা যায় কিন্তু অনেকেই বলেন কিন্তু অভিযোগ করেন না
এদিকে অভিযোগ ওঠা পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক রশীদুল ইসলামের সঙ্গের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের নম্বর কম দেয়ার অভিযোগ করা শিক্ষক অতুল রায়েও ফোন রিসিভ করেননি।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকত আলী বলেন , যৌন নিপীড়নের একটি সেল গঠন করা হয়েছে। সেখানে যে কেউ অভিযোগ দিতে পারবে। আর পরিসংখ্যান বিভাগের যে অভিযোগ পত্র এসেছে সেটির জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কুশপুত্তলিকায় জুতা পেটা করে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সোমবার, (২১ এপ্রিল) দুপুর পৌনে একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণচূড়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এর আগে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতীকী কুশপুত্তলিকা বানিয়ে বিদ্যুৎ খুঁটির সঙ্গে বেঁধে সেখানে আমি নারীলোভী যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক লিখে সেই কুশপুত্তলিকায় স্যান্ডেল ও জুতা পেটা করেছেন। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সেটার মধ্যে অনবরত জুতা পেটা করে প্রতিবাদ জানিয়ে শাস্তি দাবি করেছেন। শিক্ষার্থীরা দুই শিক্ষকের নামও উল্লেখ করেছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া বেরোবির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের দুই শিক্ষক রশীদুল ইসলাম ও অতুল চন্দ্রের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় নম্বর টেম্পারিং এবং বিশেষ করে রশীদুল স্যারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
তিনি বলেন, আমাদের সবার দাবি একটা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে এমন শাস্তি দেয়া হয় যাতে ভবিষ্যতে অন্য কেউ এমন ন্যক্কারজনক কাজ করতে না পারেন।
অন্যদিকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রহমান আলী বলেন, যৌন নিপীড়নের জন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নের আলাদা সেল থাকা উচিত। তিনি বলেন, আমরা দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে নম্বর বাড়িয়ে দেয়া অনেক বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথোপকথন দেখেছি। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে এখনও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান বলেন, আমরা একটি যৌন হয়রানি অভিযোগ পেয়েছি। ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিন কার্যদিবসে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, আরও কিছু অভিযোগ ফেইসবুকে ঘুরছে। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ নিয়ে এলে দায়ীদের চিহ্নিত করা যায় কিন্তু অনেকেই বলেন কিন্তু অভিযোগ করেন না
এদিকে অভিযোগ ওঠা পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক রশীদুল ইসলামের সঙ্গের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের নম্বর কম দেয়ার অভিযোগ করা শিক্ষক অতুল রায়েও ফোন রিসিভ করেননি।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকত আলী বলেন , যৌন নিপীড়নের একটি সেল গঠন করা হয়েছে। সেখানে যে কেউ অভিযোগ দিতে পারবে। আর পরিসংখ্যান বিভাগের যে অভিযোগ পত্র এসেছে সেটির জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।