alt

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাতারের জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা ইউনূসের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরাতে কাতারকে জোরালো ভূমিকায় দেখতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসিকে সক্রিয় করতে কাতার তাদের কূটনৈতিক প্রভাব কাজে লাগাতে পারে।

“আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-কৌশলগত বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে, কাতার জোরালোভাবে তাদের সংহতি প্রকাশ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংকট সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে,” বলেন ইউনূস। তিনি আরও বলেন, “কাতার ওআইসি দেশগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে তহবিল সংগ্রহ জোরদার ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পক্ষে মত প্রকাশের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।”

বুধবার কাতারের দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তুচ্যুত জনগণের সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ-রোহিঙ্গা ইস্যু’ শীর্ষক এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। ক্যাম্পগুলোতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি ও অবৈধ অভিবাসনের চেষ্টায় তাদের হতাশার স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে তা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্বের অন্যান্য সংকটের কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে আন্তর্জাতিক মনোযোগ ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে বলেও আক্ষেপ জানান তিনি।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৯ মার্চ পর্যন্ত ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৬ জন রোহিঙ্গার তালিকা দাখিল করা হয়েছে, যার মধ্যে মিয়ানমার সরকার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬ জনকে যাচাই করেছে এবং ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ জনকে ‘মিয়ানমারে বসবাসকারী ব্যক্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিউ ইয়র্কে রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন হবে, যেখানে কাতারের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।

তিনি কাতার ফাউন্ডেশনকে এই বৈঠকের আয়োজন এবং নীতিগত বিবৃতির বাইরে গিয়ে বাস্তবসম্মত সমাধান, জবাবদিহিতা ও সংহতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।

ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার বিষয়ে আইসিজে, আইসিসি ও আইআইএমএম-এর চলমান উদ্যোগগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “জাতিসংঘ এবং রোম সংবিধির সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনোভাবেই শাস্তি এড়ানো উচিত নয়।”

মানবতা, স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচারের জন্য বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আসুন আমরা নিশ্চিত করি, আজকের আলোচনা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে একটি অর্থবহ অংশীদারিত্বের সূচনা করে যা রোহিঙ্গা সংকটকে আমাদের যৌথ মানবিক অগ্রাধিকারগুলোর শীর্ষে রাখে এবং একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে একযোগে কাজ করে।”

বিমানবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উদাসীনতা: দেড় কোটি টাকায় কেনা তিস্তার দুই রেসকিউ বোট অচল হয়ে পড়েছে

ছবি

‘পুলিশের ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব পালন দেখতে চায় মানুষ’

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে ‘ঘৃণা, বিভ্রান্তি ও মিথ্যাকে’ অর্থায়ন করা হয়: মাহফুজ আনাম

ক্ষমতা, ধন-দৌলত কোনো কিছুই স্থায়ী নয়: ধর্ম উপদেষ্টা

ছবি

সংসদ নির্বাচনে ‘রেকর্ডসংখ্যক’ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে

ছবি

অনিশ্চয়তার সেই মাসগুলোতে বিচার বিভাগ ছিল একমাত্র পূর্ণ কার্যকর সাংবিধানিক অঙ্গ: প্রধান বিচারপতি

ছবি

সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একইদিনে, ইসিকে অন্তর্বর্তী সরকারের চিঠি

ছবি

আরও তিন ভূমিকম্প, বিশেষজ্ঞদের সতর্কতার বার্তা

ছবি

নরসিংদীর ঘোড়াশালে ভূমিক্ষয় তদন্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের নমুনা সংগ্রহ

ছবি

সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর আবার ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশ

ছবি

গত সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় দেশে চারবার ভূমিকম্প, শিশুসহ নিহত ১০

ছবি

রাজধানীতে সন্ধ্যায় পরপর দুবার ভূমিকম্প, সকালে নরসিংদীতেও হালকা কম্পন

ছবি

নরসিংদীতে আজ মৃদু ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল নিয়ে বিভ্রান্তির পর সংশোধন

ছবি

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন, বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা

ছবি

ঢাকা সফরের প্রথম দিনেই বাংলাদেশ–ভুটান দুই সমঝোতা স্মারক সই

ছবি

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত

ছবি

বিশেষজ্ঞের অভিমত: বড় ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা

যারা গণভোটে ‘না’-এর পক্ষে, তারা বাংলাদেশপন্থি হতে পারে না: সারজিস

ছবি

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শনিবার ঢাকায় আসছেন

মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে থাকা ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

‘তুলে নিয়ে’ জিজ্ঞাসাবাদ: ‘ভয়ের সংস্কৃতি অব্যাহত রাখার দৃষ্টান্ত’ বলছে টিআইবি

ছবি

ভূমিকম্পে কাঁপলো দেশ: মৃত্যু ১০, আহত ৫ শতাধিক

ছবি

রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু

তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঢাকাসহ সারাদেশ

সৌদিতে অপহরণ, ঢাকায় মুক্তিপণ আদায়

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয়, আগামী সপ্তাহেই গেজেট

ছবি

পিয়াসকে ছাড়ার পর খুললো মোবাইল মার্কেট

বিদায়ের সময় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি খাদ্য মজুত থাকবে: উপদেষ্টা

রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল: রাজসাক্ষীকে জেরায় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়

দুষ্কৃতকারীদের ওপর সর্বোচ্চ বল প্রয়োগে পুলিশ দ্বিধা করবে না: ডিএমপি কমিশনার

ছবি

নিরাপত্তায় উন্মুক্ত সহযোগিতা, তবে সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ নয়: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

হাসিনাকে ফেরাতে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছে অন্তর্বর্তী সরকার

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, তবে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই

tab

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাতারের জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা ইউনূসের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরাতে কাতারকে জোরালো ভূমিকায় দেখতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসিকে সক্রিয় করতে কাতার তাদের কূটনৈতিক প্রভাব কাজে লাগাতে পারে।

“আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-কৌশলগত বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে, কাতার জোরালোভাবে তাদের সংহতি প্রকাশ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংকট সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে,” বলেন ইউনূস। তিনি আরও বলেন, “কাতার ওআইসি দেশগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে তহবিল সংগ্রহ জোরদার ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পক্ষে মত প্রকাশের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।”

বুধবার কাতারের দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তুচ্যুত জনগণের সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ-রোহিঙ্গা ইস্যু’ শীর্ষক এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। ক্যাম্পগুলোতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি ও অবৈধ অভিবাসনের চেষ্টায় তাদের হতাশার স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে তা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্বের অন্যান্য সংকটের কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে আন্তর্জাতিক মনোযোগ ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে বলেও আক্ষেপ জানান তিনি।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৯ মার্চ পর্যন্ত ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৬ জন রোহিঙ্গার তালিকা দাখিল করা হয়েছে, যার মধ্যে মিয়ানমার সরকার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬ জনকে যাচাই করেছে এবং ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ জনকে ‘মিয়ানমারে বসবাসকারী ব্যক্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিউ ইয়র্কে রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন হবে, যেখানে কাতারের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।

তিনি কাতার ফাউন্ডেশনকে এই বৈঠকের আয়োজন এবং নীতিগত বিবৃতির বাইরে গিয়ে বাস্তবসম্মত সমাধান, জবাবদিহিতা ও সংহতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।

ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার বিষয়ে আইসিজে, আইসিসি ও আইআইএমএম-এর চলমান উদ্যোগগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “জাতিসংঘ এবং রোম সংবিধির সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনোভাবেই শাস্তি এড়ানো উচিত নয়।”

মানবতা, স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচারের জন্য বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আসুন আমরা নিশ্চিত করি, আজকের আলোচনা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে একটি অর্থবহ অংশীদারিত্বের সূচনা করে যা রোহিঙ্গা সংকটকে আমাদের যৌথ মানবিক অগ্রাধিকারগুলোর শীর্ষে রাখে এবং একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে একযোগে কাজ করে।”

back to top